বিসিবির ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম বাংলাদেশ টাইগার্সের প্রথম ক্যাম্পের অনুশীলন শুরু হয়েছে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে। চলবে আগামী ৭ মার্চ পর্যন্ত।
বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে মঙ্গলবারের অনুশীলনের ফাঁকে অভিজ্ঞ বাঁহাতি ওপেনার ইমরুল জানালেন কেমন চলছে ক্যাম্প।
“আমরা সারাদিনই তো মাঠে থাকি। এখান থেকে ফিরি বিকাল ৫টার দিকে। হোটেলে গিয়ে পরে ক্রিকেট নিয়েই আলোচনা হয়। সব মিলিয়ে ভালোভাবেই উপভোগ করছি সময়টা।”
“মিজানুর রহমান বাবুল স্যার আমাদের যেভাবে নির্দেশনা দিয়েছেন সবাই সেভাবেই অনুশীলন করছে। আমি মনে করি, এখানে প্রত্যেকটা সেশনে আমাদের খুব উপকার হচ্ছে।”
ক্যাম্পের জন্য শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামের স্পোর্টিং উইকেট বেছে নেওয়ায় খুশি ইমরুল। ২০১৯ সালের ভারত সফরের পর থেকে জাতীয় দলের বাইরে থাকা অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটার মনে করেন, এতে ব্যাটসম্যানদের দক্ষতা বাড়বে
“সকালে এখানে বোলারদের বলের মুখোমুখি হলে অনেক চ্যালেঞ্জ থাকে। সব দিক থেকে বিবেচনা করে বলব যে, এখানে খুব সিরিয়াস অনুশীলন হচ্ছে। (দেশের মাটিতে আমরা) বেশিরভাগ সময় আমরা মন্থর উইকেটে ব্যাটিং করে থাকি। তো এই ধরনের উইকেট থাকলে অবশ্যই ব্যাটসম্যানদের স্কিলের উন্নতি হবে। প্রত্যেকটা ব্যাটসম্যান সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে। সবাই এটা উপভোগ করছে এবং প্রতিটি ফ্যাসিলিটিজ কাজে লাগাচ্ছে।”
বিপিএল শেষে বেশিরভাগ খেলোয়াড়ই চলে গেছেন মাঠের বাইরে। আবার ফিরবেন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ দিয়ে। মাঝের এই সময়ে ক্যাম্পে সুযোগ পেয়ে উচ্ছ্বসিত ইমরুল।
“জাতীয় দলের বাইরে যারা আছে, তাদের যদি সময়, সুযোগ থাকে তাদের নিয়ে লম্বা সময় ক্যাম্প করা উচিত। এতে, খেলোয়াড়েরা সব সময়ই তৈরি থাকবে। সেটা বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য ভালো হবে।”
“এখানে ফিল্ডিং সেশন হচ্ছে, আমাদের ফিটনেস সেশন হচ্ছে। সব মিলিয়ে আমাদের জন্য কার্যকর সেশন হচ্ছে এখানে। অনেক দিন ধরেই ফিটনেস নিয়ে এভাবে কাজ করা হয়নি, সে জন্য আমি বলব, এটাও একটা ভালো অ্যাডভান্টেজ হচ্ছে।’
জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার আফতাব খেলোয়াড়ি জীবন শেষে যুক্ত হয়েছেন কোচিংয়ে। ক্যাম্পে ব্যাটিং কোচ হিসেবে আছেন তিনি। বিসিবির ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত এই ক্যাম্প তার কাছে নিজের উন্নতির অনেক বড় সুযোগ।
“আমি এখানে কাজ খুব উপভোগ করছি। এবারই প্রথম এই ধরনের কোনো সেটআপে এলাম। আমাদেরও অনেক কিছু শেখার আছে। আমি চাচ্ছি, অনেক কিছু যেন এখান থেকে শিখে যেতে পারি।”
“এটা একটা বড় প্ল্যাটফর্ম। এখানে সব জাতীয় দলের খেলোয়াড়রা কাজ করছে। তো এখানে তাদের সঙ্গে কাজ করা অনেক বড় ব্যাপার, এর জন্য আমি গর্বিত। আশা করি, এখান থেকে অনেক কিছু সামনে আমি প্রয়োগ করতে পারব।”
এক সময়ে প্রতিনিধিত্ব করছেন দেশের। সামনে কাজ করতে চান জাতীয় দলে। সেদিকে নজর রেখেই নিজেকে তৈরি করছেন তিনি।
“খেলোয়াড়ি জীবনে সবসময় চেষ্টা ছিল যে, জাতীয় দলে খেলব। কোচ হিসেবেও বড় স্বপ্ন থাকাই ভালো। তবে আমি সব জায়গায় একটু আস্তে আস্তে যেতে চাই। এই যে ক্যাম্পে এসেছি, এখান থেকে আমি অনেক কিছুই শেখার চেষ্টা করছি। আর এখান থেকে নিজের উন্নতির চেষ্টা করছি। এভাবেই আমি আস্তে আস্তে সামনে যেতে চাই। সবচেয়ে বড় চূড়াটাই ধরতে চাই।”