‘লজ্জার কিছু নেই, আরও ভালো হতে হবে আমাকে’

একজনের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার ১৫ বছরের, অভিজ্ঞতা সাড়ে তিনশর বেশি ম্যাচের। আরেকজন তরুণ এক পেসার, আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের সবে হাঁটি হাঁটি পা পা চলছে। আফগানিস্তানের সেই ২১ বছর বয়সী ফজলহক ফারুকি এবার নাকানিচুবানি খাইয়েছেন অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ তামিম ইকবালকে। দুঃস্বপ্নের মতো কাটানো সিরিজ শেষে অবশ্য বিব্রত নন বাংলাদেশ অধিনায়ক। নিজের ব্যর্থতা মেনে নিয়েই বাংলাদেশ অধিনায়ক জানালেন উন্নতি করার তাড়না।

ক্রীড়া প্রতিবেদকচট্টগ্রাম থেকে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 Feb 2022, 04:07 PM
Updated : 28 Feb 2022, 04:07 PM

সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে এলবিডব্লিউ হন তামিম। দুবারই ফারুকির ভেতরে ঢোকা ডেলিভারি তিনি সামলাতে পারেননি। পা একটু বেশি বাড়িয়ে মাথার পজিশন নড়ে যাওয়াতেই হয়ে যায় গড়বড়।

তৃতীয় ম্যাচের আগে ব্যাটিং কোচ জেমি সিডন্স জানান, তামিম নিজেও সমস্যাটি অনুভব করছেন এবং তারা এটি নিয়ে কাজ করবেন। তৃতীয় ম্যাচে সোমবার আবার একইভাবে চিত্র। এবার অবশ্য এলবিডব্লিউ নন, বোল্ড হন তামিম। তবে বোলার, ডেলিভারি ও খেলার ধরন ছিল প্রায় একই।

ফারুকির ছোবলে এই সিরিজে ৩ ম্যাচে তার মোট রান ৩১। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে দ্বিপাক্ষিক সিরিজে ৩ ইনিংস খেলে এর চেয়ে কম রান করেছেন তিনি তিনবার। ২০১১ সালে দেশের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে করেন মোটে ৪ রান, ২০১৯ সালে নিউ জিল্যান্ড সফরে ১০ রান ও একই বছর শ্রীলঙ্কায় ২১ রান।

সিরিজ শেষে সংবাদ সম্মেলনে তামিম লুকালেন না নিজের হতাশা। তবে মুষড়ে না পড়ে বোলারকে প্রাপ্য কৃতিত্ব দিয়েই তিনি বললেন, কাজ করবেন সমস্যাটি কাটিয়ে উঠতে।

“আমার এত বড় ক্যারিয়ারে খুব কম সময়ই গোটা সিরিজে রান করতে পারিনি। আগে হয়তো দু-একবার হয়েছে এমন। হ্যাঁ, আমি হতাশ। বিশেষ করে আমার কাছে মনে হয়, এক বোলারের বলেই বারবার… এটা মনে নেওয়ায় লজ্জার কিছু নেই যে, সে আমাকে হারিয়ে দিয়েছে। এটা নিয়ে কাজ করতে হবে আমার মনে হয়।”

“একই ধরনের ডেলিভারিতে তিনবার আউট হয়েছি বলেই যে কাজ করতে হবে, এমন নয়। কারণ, ওই জায়গায় আমি অনেক রানও করেছি। হয়তো আমাকে আরেকটু ভালো করতে হবে। একটু ভালো হতে হবে। আর এটা নিয়ে আমি কাজ করে যাব। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার হিসেবে, আমি সবসময় বলে এসেছি, কাজ করে যেতে হবে, করে যেতেই হবে। কাজ করতে থাকলে এতে ভালো হয়ে উঠবেনই।”

আউট হওয়ার ধরনের চেয়ে তামিম বেশি হতাশ দলে অবদান রাখতে না পারায় ও নিজের মানের প্রতি সুবিচার করতে না পারায়।

“আউট হওয়ার ধরনের চেয়ে আমি বেশি হতাশ যে দলে অবদান রাখতে পারিনি। ওটা নিয়ে দুর্ভাবনা বেশি নেই আমার, কারণ এই জায়গাটায় আমি আগেও আউট হয়েছি, অনেক রানও করেছি। তবে গোটা সিরিজে রান না করা ও তিনবার আউট হওয়া হতাশাজনক। কারণ নিজের ব্যাটিংয়ে আমি অনেক গর্ব খুঁজে নেই এবং নিজের কাছে নিজের ব্যাটিংয়ের মানদণ্ড অনেক উঁচুতে।”

“তো হতাশাজনক, তবে এটাই ক্রিকেট। এটা নিয়েই এগোতে হবে। এখানেই দুনিয়ার শেষ নয়। কখনও সময় আসে, যখন রান করা হয়ে ওঠে না। আবার সময় আসে, যখন রানের জোয়ার বয়ে যায়। আমার সময় এলে, নিশ্চিত করব যেন অনেক রান করতে পারি।”