বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজেও এবার এই ডেলিভারি কয়েকটি করেছেন রশিদ। যদিও সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে নিজের সেরা চেহারায় তাকে দেখা যায়নি। শেষ ম্যাচে সোমবার দারুণ বোলিংয়ে নেন তিন উইকেট।
এই পারফরম্যান্সের পর টিভি আলাপচারিতায় ধারাভাষ্যকার ও সাবেক লঙ্কান পেসার ফারভিজ মাহারুফের প্রশ্নে রশিদ শোনালেন এই ডেলিভারির কথা। খুব উদ্ভাবনী বা নাটকীয় কিছু অবশ্য নয়। তবে গতির অনেক বেশি হেরফের করে ব্যাটসম্যানকে চমকে দেওয়ার চেষ্টা থাকে এই ডেলিভারিতে।
“ভিন্ন কিছু ডেলিভারি নিয়ে কাজ করছি আমি। বিশেষ করে, স্লোয়ার যে ডেলিভারি আমি করছি। সাধারণত আমি ৯৫-৯৬ কিলোমিটার গতিতে বল করি। সেখান থেকে আচমকা ৬৫-৭০ কিলোমিটারে নেমে আসে এটা। এতে ব্যাটসম্যানের মোমেন্টাম বদলে যায়।”
“সবচেয়ে ভালো ব্যাপার হলো, ওয়ানডে ও টেস্টের মতো বড় দৈর্ঘ্যের সংস্করণে এটা ব্যবহার করতে পারি। টি-টোয়েন্টিতে এসব কিছু পরীক্ষার সময় থাকে না। বড় দৈর্ঘ্যের সংস্করণে এটা কাজে লাগানোর চেষ্টা করছি। আরও বেশি নিয়ন্ত্রণে চলে এলে ছোট সংস্করণেও এই ডেলিভারি করব।”
বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম দুই ম্যাচে সিরিজ হেরে গেলেও তৃতীয় ম্যাচে বড় জয় পায় আফগানিস্তান। ৩৭ রানে ৩ উইকেট নিয়ে জয়ের ভিত গড়ে দেওয়ার পথে রশিদ এদিন পূর্ণ করেন দেড়শ ওয়ানডে উইকেট।
৮০ ম্যাচেই এই মাইলফলক ধরা দিল তার। তার চেয়ে কম ম্যাচে করতে পেরেছেন কেবল দুজন, ৭৭ ম্যাচে মিচেল স্টার্ক ও ৭৮ ম্যাচে সাকলায়েন মুশতাক।
বিশ্বরেকর্ড গড়তে না পারলেও অর্জনের মাহাত্ম কম নয়। রশিদ উচ্ছ্বসিত নিজের মাইলফলকে।
“অসাধারণ লাগছে। আফগানিস্তান থেকে কেউ একজন দ্রুততম দেড়শ উইকেটের তালিকায় তৃতীয়, এটা গর্বের ব্যাপার। এখানে পৌঁছানোর ব্যাপারটির মাথায় ছিল না আমার। এখানে থাকতে পেরে তাই খুবই গর্বিত ও খুশি।”