সাকিবের কাছে ১ বছরের পরিকল্পনা জানতে চাইবে বোর্ড

নিলামে দল না পাওয়ায় সাকিব আল হাসানের আইপিএল না খেলা নিশ্চিত হয়ে গেছে দুই সপ্তাহ আগেই। তবে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে বাংলাদেশের হয়ে টেস্ট সিরিজে তাকে পাওয়া নিশ্চিত হয়নি এখনও। এই অনিশ্চয়তা কাটাতে দু-একদিনের মধ্যেই সাকিবের সঙ্গে বৈঠক করবে বিসিবি। সেখানে এই অলরাউন্ডারের কাছে জানতে চাওয়া হবে টেস্ট নিয়ে তার এক বছরের পরিকল্পনা।

ক্রীড়া প্রতিবেদকচট্টগ্রাম থেকে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 Feb 2022, 10:29 AM
Updated : 28 Feb 2022, 10:29 AM

এই ধরনের অনিশ্চয়তা এড়াতেই গত বছর কেন্দ্রীয় চুক্তির আগে বিশেষ ব্যবস্থা নেয় বিসিবি। ক্রিকেটারদের কাছ থেকে আলাদা করে জানতে চাওয়া হয় কাকে কোন সংস্করণে পাওয়া যাবে। সাকিব তখন টেস্ট ক্রিকেটে নিজের আগ্রহের কথা জানিয়ে রাখেন।

তবে গত বছর শ্রীলঙ্কা সফরে তিনি টেস্ট খেলতে যাননি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতির জন্য টেস্ট না খেলে তিনি তখন যান আইপিএল খেলতে। এরপর গত মাসে নিউ জিল্যান্ডে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে তিনি খেলতে যাননি পারিবারিক কারণে।

শেষ নয় সেখানেই। এবার আইপিএল নিলামের আগে তিনি টেস্ট থেকে ৬ মাসের বিরতি চেয়ে আবেদন করেন। বিসিবি সেটায় রাজি না হয়ে শুধু দক্ষিণ আফ্রিকা সফর থেকে ছুটির আশ্বাস দেয় তাকে। তবে আইপিএল নিলামে তিনি দল না পাওয়ায় দক্ষিণ আফ্রিকায় টেস্ট সিরিজে তাকে পাওয়ার আশা জেগে ওঠে আবার।

আশা-নিরাশার সেই দোলাচল চলছে এখনও। চট্টগ্রামে সোমবার আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচ চলার ফাঁকে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান জালাল ইউনুস জানান, শিগগিরই কেটে যাবে ধোঁয়াশা।

“সাকিব একটা চিঠি দিয়েছিল যে, ৬ মাসের জন্য খেলবে না। টেস্ট থেকে অব্যাহতি চেয়েছিল। কিন্তু সেটা আইপিএল নিলামের আগে। এরপর আলোচনার মাধ্যমে ঠিক করা হয়েছিল সে শ্রীলঙ্কা সিরিজে খেলবে (মে মাসে), দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে টেস্ট খেলার কথা ছিল না। এখন আইপিএলে যেহেতু যাচ্ছে না, পরিস্থিতি বদলে গেছে। সে বলেছে, এই ওয়ানডে সিরিজের পরই প্রেসিডেন্ট স্যারের সঙ্গে বসবে, কথা বলবে।”

সাকিব বা কাউকেই কোনো সংস্করণে জোর করে খেলাতে চায় না বোর্ড। তবে সাকিবের টেস্ট খেলা নিয়ে বারবার অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হচ্ছে বলে তার কাছে এবার খানিকটা দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা জানতে চাওয়া হবে, জানালেন জালাল ইউনুস।

“আমরা ক্রিকেটারদের কর্মচারী হিসেবে বিবেচনা করি না। তারাও ক্রিকেটের স্টেকহোল্ডার, চুক্তিগত বাধ্যবাধকতা তাদের থাকে, কিন্তু কারও সমস্যা থাকলে বলতেও পারে। এই সিদ্ধান্ত হচ্ছে আমাদের যে আমরা কীভাবে নেব।”

“সে (সাকিব) যদি মনে করে যে এই বছর খেলব, আগামী বছর খেলব না, বা এই কটা টেস্ট খেলব, এটা বলতে পারে। এই স্বাধীনতা একটা ক্রিকেটারের থাকতে পারে। দেখা যাক, কী বলে। সার্বিক ভাবনা নিয়েই কথা হবে, অন্তত এক বছরের পরিকল্পনাটা জানতে চাই আমরা।”

এবারের আগে ২০১৭ সালেও টেস্ট থেকে ৬ মাসের বিরতি চেয়েছিলেন সাকিব। সেবার তাকে শুধু দক্ষিণ আফ্রিকা সফর থেকে ছুটি দিয়েছিল বিসিবি। তার টেস্ট খেলা নিয়ে বারবার যে অনিশ্চয়তা, সেখানে সাকিবের দায়ই বেশি দেখছেন বোর্ডের ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান।

“কেউ যদি বলে এই সিরিজে খেলব, অন্য সিরিজে খেলব না, এই ফরম্যাটে খেলব, অন্য ফরম্যাটে খেলব না, এটা তো তাদেরকেও তাদের চিন্তা থেকে পরিষ্কার করতে হবে। আজকে একটা বলল, কালকে আবার বদলে ফেলল। হয়তো কোন একটা সমস্যার মধ্যে ছিল, হয়তো পরে বলল সে খেলবে-খেলবে না। আমরা তাকে সেই সুযোগটা দিচ্ছি যে আলোচনার মাধ্যমে শেষ করো।”