একটা সময় এই চাপ খুব একটা ছিল না বাংলাদেশ দলে। ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করার মতো ক্রিকেটার ছিল কম। উপযুক্ত বিকল্পও খুব একটা ছিল না। খুব ভালো পারফর্ম না করেও তাই জাতীয় দলে টিকে থাকা যেত অনেকটা সময়। এখন সেই সুযোগ কম। তুমুল প্রতিভাবান না হলে বা বিশেষ কোনো কারণ না থাকলে পারফর্ম না করে এখন দলে টানা সুযোগ পাওয়া কঠিন।
প্রতিপক্ষের পাশাপাশি লড়াইটা তাই নিজের সঙ্গে ও নিজ দলেও। মিরাজ নিজেও চেষ্টা করে চলেছেন সেই দাবি মেটাতে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে চলতি সিরিজের প্রথম ম্যাচে আঁটসাঁট বোলিং করে ও দলের ব্যাটিং ধসের পর অসাধারণ এক ইনিংস খেলে ম্যাচ সেরা হন তিনি। পরের ম্যাচে বোলিংয়ের শুরুটা ভালো করতে না পারলেও পরে ঘুরে দাঁড়ান।
দেশের মাঠে সবশেষ ওয়ানডে সিরিজে গত মে মাসে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে তিনি নিয়েছিলেন ৪ উইকেট, পরের ম্যাচে তিনটি।
একটা সময় মাঠে পার্থক্য গড়ে দেওয়ার জন্য সিনিয়র ক্রিকেটারদের ওপরই ছিল দলের বড় নির্ভরতা। এখন চিত্র বদলাতে শুরু করেছে, এটি বলে দিচ্ছে মিরাজের পারফরম্যান্সই। সঙ্গে তরুণদের মধ্যে আরও বেশ কজন পারফর্ম করছেন।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের শেষ ওয়ানডের আগের দিন চট্টগ্রামে সংবাদ সম্মেলনে মিরাজ বললেন, দলে টিকে থাকার জন্য এখন ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের বিকল্প নেই।
“আসলে প্রতিযোগিতা প্রতিনিয়তই থাকে। জাতীয় দলে খেলতে হলে সবসময় পারফর্ম করেই খেলতে হবে। পারফর্ম না করলে খেলতে পারবেন না। চ্যালেঞ্জ যেটা বললেন, জাতীয় দলে যারা আছে… কেউ হয়তো অভিজ্ঞতার দিক থেকে তরুণ, কিন্তু জাতীয় দলে আপনি কোনো অজুহাত দিতে পারবেন না যে জুনিয়র-সিনিয়র বা এরকম। দিনশেষে এখানে সবাইকে পারফর্ম করতে হবে।”
“আমি যদি পারফর্ম না করি তাহলে সবাই বলবে যে আমার জায়গায় আরেকজন এলে ভালো হবে। নিজেকে যত দ্রুত গুছিয়ে নিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া, এটাই গুরুত্বপূর্ণ। আমি মনে করি, যত তাড়াতাড়ি মানিয়ে নেওয়া যায়, তত তাড়াতাড়ি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সাফল্য আসে এবং ক্যারিয়ারও অনেক বড় হবে।”