বাংলাদেশে এসে বিদেশি ক্রিকেট কোচদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয় মানিয়ে নেওয়া। এখানকার সংস্কৃতি ও সামাজিকতায় খাপ খাইয়ে নেওয়া। লম্বা সময়ের জন্য এখানে আসতে ও থাকতে তাই অনীহা থাকে অনেকের। সিডন্স ছিলেন ব্যতিক্রম। ২০০৭ সালের অক্টোবরে তিনি দায়িত্ব নেন প্রধান কোচ হিসেবে। এখানে এসে খুব দ্রুত তিনি মিশে যান এই দেশের আলো-হাওয়া আর মানুষের সঙ্গে।
মাঠের বাইরেও তিনি ঘুরে বেড়াতেন বেশ। মানুষের সঙ্গে মিশতেন, কথা বলতেন। ঢাকা শহরে ঘুরতেন রিকশায়, পরিবার নিয়ে উপভোগ করতেন সময়।
২০১১ বিশ্বকাপে দেশের মাঠে বাংলাদেশ দলের ব্যর্থতার পর তার সঙ্গে আর চুক্তি নবায়ন করেনি বিসিবি। তিনি নিজে যদিও থাকতে মরিয়া ছিলেন। এমনকি, প্রধান কোচ থেকে স্রেফ ব্যাটিং কোচ হয়ে থেকে যাওয়ার প্রস্তাবও দিয়েছিলেন বলে শোনা যায়। তবে তাকে আর রাখেনি বোর্ড।
এরপর সিডন্স কোচিং করিয়েছেন নিউ জিল্যান্ডে, নিজ দেশে। ব্যাটিং কোচ হিসেবে তার দারুণ দক্ষতার কথা ভেবে গত ১১ বছরে বেশ কবারই তাকে ফিরিয়ে আনার প্রসঙ্গ উঠেছে বাংলাদেশ ক্রিকেটে। অবশেষে ১১ বছর পর প্রিয় দেশে তিনি ফিরতে পেরেছেন নতুন দায়িত্বে। অ্যাশওয়েল প্রিন্স জাতীয় দলের ব্যাটিং কোচের দায়িত্ব ছাড়ার পর সিডন্সকেই এই ভার সঁপে দিয়েছে বিসিবি।
বাংলাদেশে আবার ফিরে আসা, নিজের দায়িত্বের ধরন আর এই দেশের প্রতি ভালোবাসা, সবকিছুই তিনি বললেন শনিবার চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে।
“বাংলাদেশের সঙ্গে সংযোগটা আমার টিকেই ছিল। বোর্ড সদস্যদের সঙ্গে, যাদের খুব ভালো করে চিনতাম এবং ক্রিকেটারদের অনেকের সঙ্গে যোগাযোগ হতো। এবার একটি সুযোগ আসে এইচপি দলের ব্যাটিং পরামর্শক হওয়ার। যেখানে জুনিয়রদের সঙ্গে জাতীয় দলও ছিল। জাতীয় দলে ক্রিকেটারদের সঙ্গে তো কাজ করতামই। সেটা পূর্ণকালীন নাকি নয়, তা নিশ্চিত ছিলাম না। সেটাকে পাত্তাও দেইনি।”
“সবশেষবার আমি বাংলাদেশকে ভালোবেসেছিলাম, কিন্তু কিছু লোক তা বিশ্বাস করেনি। আগেরবারের তিন বছর আমার ভালো লেগেছে। অপেক্ষায় ছিলাম ও আশা করছিলাম, কোনো একটি সুযোগ আবার আসবে। এখন, এই তো আমি এখানে।”