ইংল্যান্ডের কোচ হতে আগ্রহী ওয়ার্ন

প্রতিভাবান ও সক্ষম ক্রিকেটারে ঠাসা দল। তবুও ধরা দিচ্ছে না কাঙ্ক্ষিত সাফল্য। কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাওয়া ইংল্যান্ড দলের হাল ধরতে চান শেন ওয়ার্ন। অস্ট্রেলিয়ান কিংবদন্তি লেগ স্পিনারের মতে, ইংলিশদের কোচ হওয়ার এখনই উপযুক্ত সময়।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Feb 2022, 12:57 PM
Updated : 26 Feb 2022, 12:57 PM

অস্ট্রেলিয়ায় সবশেষ অ্যাশেজ সিরিজে ভরাডুবির পর ইংল্যান্ড ক্রিকেটে এসেছে বেশ কিছু পরিবর্তন। চলতি মাসের শুরুতে চাকরি হারান গত তিন বছর ইংল্যান্ড দলের পরিচালকের দায়িত্ব পালন করা অ্যাশলে জাইলস। সেই ধারাবাহিকতায় প্রধান কোচের দায়িত্ব ছেড়ে দেন ক্রিস সিলভারউড।

আগামী ৮ মার্চ শুরু হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ইংলিশদের তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। ক্যারিবিয়ানে হতে যাওয়া আসছে সিরিজের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন কোচের দায়িত্ব পালন করবেন দলটির সাবেক অধিনায়ক পল কলিংউড।

কেবল অ্যাশেজ নয়, টেস্টে লম্বা সময় ধরেই সময় ভালো কাটছে না ইংল্যান্ডের। সবশেষ ১৪ টেস্টে তাদের জয় কেবল একটি। দলটির নামের পাশে যা সত্যিই বেমানান।

ইংল্যান্ডে কোচিং করানোর অভিজ্ঞতা আছে ওয়ার্নের। একশ বলের টুর্নামেন্ট দা হানড্রেডে লন্ডন স্পিরিটের প্রধান কোচ তিনি। এবার ইংলিশ জাতীয় দলের কোচ হওয়ার আগ্রহের কথা স্কাই স্পোর্টসের পডকাস্টে বললেন ৫২ বছর বয়সী ওয়ার্ন।

“আমি ইংল্যান্ডের কোচ হতে আগ্রহী, এখনই দলটির কোচ হওয়ার আদর্শ সময়। মনে হয়, বেশ ভালো কাজই করব আমি, দলটির সঙ্গে অনেক কাজ করার আছে। ইংল্যান্ডে ভালো অনেক ক্রিকেটার আছে এবং দলের গভীরতাও অনেক। কিন্তু কিছু মৌলিক বিষয় ঠিক করতে হবে। বেশি ‘নো’ বল করা যাবে না, অতিরিক্ত ক্যাচ ছাড়া যাবে না। ইংল্যান্ড দলে যথেষ্ট ক্রিকেটার আছে, তারা কেবল ঠিকঠাক পারফর্ম করতে পারছে না।”

সবশেষ অ্যাশেজে অস্ট্রেলিয়ার সামনে দাঁড়াতেই পারেনি ইংল্যান্ড। পাঁচ ম্যাচের সিরিজে তারা হেরেছে ৪-০ ব্যবধানে। এমন পারফরম্যান্সের জন্য ইংলিশদের পরিকল্পনাকে দায় করছেন ওয়ার্ন। তার মতে, সিরিজের শুরুতেই ভুল পথে এগিয়েছে ইংল্যান্ড।

“(অ্যাশেজ) সিরিজে অনেক সুযোগ পেয়েছিল ইংল্যান্ড, কিন্তু বিশেষ মুহূর্তে তারা ব্যাট কিংবা বল হাতে তা কাজে লাগাতে পারেনি। ব্রিজবেনে হওয়া প্রথম টেস্টে যেমন-পুরো সিরিজই (ইংল্যান্ডের জন্য) হতে পারত ভিন্ন, যদি তারা অ্যাডিলেইডের দিবা-রাত্রির টেস্টে কে আর এই ম‍্যাচে কে খেলবে সেই পরিকল্পনা না করে স্রেফ প্রথম টেস্টের উইকেটের দিকে তাকাত।”

“আগের তিন সপ্তাহ ধরে ব্রিজবেনে বৃষ্টি হয়েছিল। উইকেট ছিল সবুজ, পুরোপুরি পেস সহায়ক আর তাদের দলে আছে বিশ্বসেরা পেসার জিমি অ্যান্ডারসন, তারা কিনা গোলাপি বলের ম্যাচের জন্য তাকে বসিয়ে রাখল। যেটা তাদের কোনো উপকারেই আসেনি।”