ফজলহক ফারুকির নতুন বলের চ্যালেঞ্জ সামলানোর পর লিটনদের অপেক্ষায় ছিল আরও কঠিন পরীক্ষা। আফগান বোলিং লাইন আপের মূল অস্ত্র রশিদ খান তো বোলিংয়ে আসেন পরের দিকেই! নতুন বলে কয়েক ওভার বোলিংয়ের পর মাঝের ওভারগুলোয় আবার রহস্য নিয়ে হাজির হন মুজিবও। যে সময়টায় তাই ইনিংস গড়ার কথা, সেসময় ব্যাটসম্যানদের কাজ হয়ে ওঠে কঠিন।
লিটনের জন্য চ্যালেঞ্জটা আরও বেশি ছিল এ দিন তার শুরুটা একটু মন্থর ছিল বলে। ফারুকিকে তিনি সাবধানে খেলে পার করে দেন। ২০ ওভার শেষে তার রান ছিল ৩৫। পরের দিকে রানের গতি যখন বাড়ানোর সময়, তখন বোলিংয়ে আসেন রশিদরা। লিটন ও মুশফিক তবু সেখানে সফল হন দারুণভাবে। দুজনে গড়ে তোলেন ২০২ রানের জুটি। তৃতীয় উইকেটে বাংলাদেশের প্রথম দ্বিশতক রানের জুটি এটি।
রশিদ ও মুজিব এই দুজনের জুটি ভাঙতে পারেননি। বরং তারা রানও তোলেন বেশ গতিময়তায়। ১০ ওভারে ৫৪ রান দেন রশিদ, বাংলাদেশের বিপক্ষে ৮ ওয়ানডে খেলে তার সবচেয়ে খরুচে বোলিং। মুজিবের ১০ ওভারে আসে ৪৯ রান। বাংলাদেশের সঙ্গে ৫ ওয়ানডেতে প্রথমবার তিনি গুনলেন চল্লিশের বেশি রান।
ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে লিটন বললেন, আগের অভিজ্ঞতা আর সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা থেকেই এসেছে এই সাফল্য।
“তাদের স্পিন কোয়ালিটি যদি দেখেন, দুই বোলারই খুব ভালো বোলার, মুজিব ও রশিদ। মুজিবকে আমরা পুরো বিপিএলেই খেলেছি। সেখান থেকে একটা ধারণা আছে। রশিদকেও আগে খেলার অভিজ্ঞতা আছে। ওই অভিজ্ঞতা থেকেই আমাদের পরিকল্পনা সাজানো ছিল। যে কারণে সাফল্য পাওয়ার হার ভালো। এসব বোলারকে পরিকল্পনা করেই খেলতে হয়। আমার মনে হয়, আমি ও মুশি ভাই খুব ভালো পরিকল্পনা করে ব্যাটিং করেছি।”