৮৮ রানের জয়
এই উইকেটে ২৬০ রান ভালো স্কোর, টস জিতে ব্যাটিং নেওয়ার পর বলেছিলেন তামিম ইকবাল। তৃতীয় উইকেটে বাংলাদেশের প্রথম দুইশ ছোঁয়া জুটিতে দলকে ৩০৬ রানের সংগ্রহ এনে দেন লিটন দাস ও মুশফিকুর রহিম।
পঞ্চম ওয়ানডে সেঞ্চুরিতে ১৩৬ রান করেন লিটন। মুশফিক খেলেন ৮৬ রানের চমৎকার ইনিংস।
এলোমেলো বোলিং করা আফগানরা অতিরিক্ত থেকে দেয় ৩৩ রান। একবার করে জীবন দেন লিটন ও মুশফিককে।
বড় রান তাড়ায় প্রত্যাশিত শুরু পায়নি আফগানরা। কেবল একটা জুটি গড়ে ওঠে ফিফটি করা নাজিবউল্লাহ জাদরান ও রহমত শাহর ব্যাটে। সত্যিকার অর্থে জয়ের সম্ভাবনা সেভাবে কখনও জাগাতে পারেনি আফগানরা।
আগেও কখনও তিনশ রান তাড়া করে জিততে না পারা দলটি ২৯ বল বাকি থাকতে গুটিয়ে যায় ২১৮ রানে। বাংলাদেশ পায় ৮৮ রানের জয়।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ৩০৬/৪ (তামিম ১২, লিটন ১৩৬, সাকিব ২০, মুশফিক ৮৬, মাহমুদউল্লাহ ৬*, আফিফ ১৩*; ফারুকি ১০-১-৫৯-১, ফরিদ ৮-০-৫৬-২, মুজিব ১০-০-৪৯-০, ওমরজাই ৭-০-৩৭-০, রশিদ ১০-০-৫৪-১, নবি ৪-০-২৬-০, রহমত ১-০-১০-০)।
আফগানিস্তান: ৪৫.১ ওভারে ২১৮ (রহমত ৫২, রিয়াজ ১, শাহিদি ৫, ওমরজাই ৯, নাজিবউল্লাহ ৫৪, নবি ৩২, গুরবাজ ৭, রশিদ ২৯, মুজিব ৮, ফরিদ ৬*, ফারুকি ০; মুস্তাফিজ ৮-০-৫৩-১, শরিফুল ৭-০-৪৪-১, তাসকিন ১০-২-৩১-২, সাকিব ৯-০-২৯-২, মিরাজ ১০-০-৫২-১, মাহমুদউল্লাহ ১-০-২-১, আফিফ ০.১-০-০-১)
ইংল্যান্ডকে টপকে শীর্ষে বাংলাদেশ
৮৮ রানের জয়ে শুধু সিরিজই নিশ্চিত হয়নি বাংলাদেশের, ইংল্যান্ডকে টপকে উঠে গেছে আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ সুপার লিগের শীর্ষে।
১৫ ম্যাচে ৯৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে ছিল বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। ১৪ ম্যাচে বাংলাদেশের পয়েন্ট হলো ১০০।
টানা ছয় জয়ের পর আফগানরা হারল টানা দুই ম্যাচে।
২১৮ রানেই শেষ আফগানিস্তান
আগের ম্যাচে আগে ব্যাট করে ২১৫ রান করা আফগানিস্তান এবার থেমে গেল ২১৮ রানে। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যর্থ হলো পুরো ৫০ ওভার খেলতে।
মূল বোলারদের রেখে আফিফ হোসেনকে আক্রমণে আনেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল। মাহমুদুল্লাহর মতো আফিফও এনে দেন উইকেট। তার প্রথম বলেই বোল্ড হয়ে যান ফজলহক ফারুকি।
মুজিবের বিদায় জয়ের কাছে বাংলাদেশ
৪৫তম ওভারে বোলিংয়ে এসেই উইকেট পেলেন মাহমুদউল্লাহ। তাকে ছক্কায় ওড়ানোর চেষ্টায় সীমানায় মাহমুদুল হাসান জয়ের চমৎকার ক্যাচে ফিরে গেলেন মুজিব উর রহমান।
বল ধরে রাখলে ছক্কা হয়ে যাবে বুঝতে পেরে ভেতর দিকে ছুঁড়ে দিয়ে সীমানার বাইরে চলে যান জয়। পরে ভেতর ঢুকে মুঠোয় জমান বল। ২২ বলে ৮ রান করেন মুজিব।
৪৫ ওভারে আফগানিস্তার রান ৯ উইকেটে ২১৮।
মুস্তাফিজের ইয়র্কারে বোল্ড রশিদ
শেষ দিকে ঝড় তোলার সামর্থ্য আছে রশিদ খানের। বাংলাদেশের বিপক্ষেও আছে তার এমন ইনিংস। মুস্তাফিজুর রহমানকে ছক্কার পর চার মেরে সেভাবেই এগোনোর আভাস দিয়েছিলেন রশিদ। তবে চমৎকার এক ইয়র্কারে তাকে বোল্ড করে দিলেন মুস্তাফিজ।
২৬ বলে তিন চার ও এক ছক্কায় ২৯ রান করেন রশিদ।
৪১ ওভারে আফগানিস্তানের রান ৮ উইকেটে ২০৬। ক্রিজে মুজিব উর রহমানের সঙ্গী ফরিদ আহমাদ মালিক।
নবিকে থামালেন মিরাজ
সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে টিকে থাকা মোহাম্মদ নবিকে থামালেন মেহেদী হাসান মিরাজ। সিরিজে নিলেন নিজের প্রথম উইকেট।
আগের ম্যাচে কেবল ২৮ রান দেওয়া অফ স্পিনার এবার প্রথম ৪ ওভারেই দেন ২৭ রান। এরপর ঘুরে দাঁড়িয়ে রাশ টানেন রানের গতিতে। তাকে আক্রমণে ফিরতে দেখে চড়াও হতে চেয়েছিলেন নবি। কিন্তু পার করতে পারেননি সীমানা, ধরা পড়েন লং অফে।
৪০ বলে তিন চারে ৩২ রান করেন নবি। তার বিদায়ে আফগানিস্তানের জয়ের আশা বলতে গেলে শেষই হয়ে গেল।
৩৮ ওভারে সফরকারীদের রান ৭ উইকেটে ১৮৬। ক্রিজে রশিদ খানের সঙ্গী মুজিব উর রহমান।
গুরবাজকে বোল্ড করে সাকিবের দুই
সাতে নেমে সুবিধা করতে পারলেন না রহমানউল্লাহ গুরবাজ। সাকিব আল হাসানের বল স্টাম্পে টেনে এনে বোল্ড হলেন এই কিপার-ব্যাটসম্যান।
অফ স্টাম্পের বাইরের বল জায়গায় দাঁড়িয়ে কাট করার চেষ্টায় ঠিক মতো পারেননি গুরবাজ। বল এলোমেলো করে দেয় স্টাম্প। ১৫ বলে এক চারে ৭ রান করেন গুরবাজ।
৩২ ওভারে আফগানিস্তানের রান ৬ উইকেটে ১৫৩। ক্রিজে মোহাম্মদ নবির সঙ্গী রশিদ খান।
ফিফটি করা দুই ব্যাটসম্যানকেই ফেরালেন তাসকিন আহমেদ। রহমত শাহর পর বিদায় করলেন নাজিবউল্লাহ জাদরানকে।
তাসকিনের অফ স্টাম্পের বাইরের বল গাইড করে কিপারের পাশ দিয়ে পাঠাতে চেয়েছিলেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। ঠিক মতো পারেননি, ব্যাটের কানা ছুঁয়ে জমা পড়ে মুশফিকুর রহিমের গ্লাভসে।
২৪ রানে জীবন পাওয়া নাজিবউল্লাহ থামলেন ৫৪ রানে। তার ৬১ বলে খেলা ৫৪ রানের ইনিংস গড়া ৭ চারে।
২৯ ওভারে আফগানিস্তানের রান ৫ উইকেটে ১৪০। ক্রিজে মোহাম্মদ নবির সঙ্গী কিপার-ব্যাটসম্যান রহমানউল্লাহ গুরবাজ। ফিল্ডিংয়ের সময় চতুর্থ ওভার শেষ মাঠ ছাড়া এই ওপেনার নেমেছেন সাতে।
আক্রমণে ফিরেই জুটি ভাঙলেন তাসকিন
দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে মাথা ব্যথার কারণ হয়ে ওঠা জুটি ভাঙলেন তাসকিন আহমেদ। ফিরিয়ে দিলেন আগের ওভারে পঞ্চাশ স্পর্শ করা রহমত শাহকে।
বলের লাইনে যেতে পারেননি অভিজ্ঞ এই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান। ব্যাটের কানা এড়িয়ে যাওয়ার সময় ‘টপ অব অফ স্টাম্প' এ মৃদু স্পর্শে ফেলে যায় বেলস। বিশ্বাসই হচ্ছিল না ব্যাটসম্যানের। ভাঙে ৯০ বলে গড়া ৮৯ রানের জুটি।
৭১ বলে চারটি চারে ৫২ রান করেন রহমত।
সেই ওভারের শেষ বলে সিঙ্গেল নিয়ে সিরিজে টানা দ্বিতীয় ফিফটি স্পর্শ করেন নাজিবউল্লাহ জাদরান। ৭ চারে ৫৭ বলে পঞ্চাশ করা বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান জীবন পেয়েছিলেন ২৪ রানে।
২৫ ওভারে আফগানিস্তানের রান ৪ উইকেটে ১২৫। ক্রিজে নাজিবউল্লাহর সঙ্গী মোহাম্মদ নবি।
দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে রহমতের ফিফটি
রহমানউল্লাহ গুরবাজের অনুপস্থিতিতে ওপেনিংয়ে নেমে দলকে টানছেন রহমত শাহ। মেহেদী হাসান মিরাজকে চার মেরে ৬৯ বলে স্পর্শ করেছেন পঞ্চাশ।
শুরু থেকে দেখেশুনে খেলছেন অভিজ্ঞ এই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান। ঝুঁকি একেবারেই নিচ্ছেন না। এক-দুই নিয়ে খেলার ফাঁকে মারছেন চার।
সহজ সুযোগ কাজে লাগাতে পারলেন না শরিফুল ইসলাম। সাকিব আল হাসানকে ছক্কায় ওড়ানোর চেষ্টায় নাজিবউল্লাহ জাদরান ক্যাচ তুলে দেন লং অফে। কিন্তু সহজ ক্যাচ ফস্কে যায় শরিফুলের হাত থেকে, হয়ে যায় বাউন্ডারি।
সে সময় ২৪ রানে ছিলেন নাজিবউল্লাহ।
পরের বলে রান আউট নিয়ে হয় নাটক। নাজিবউল্লাহর স্ট্রেইট ড্রাইভ এলোমেলো করে দেয় অন্য প্রান্তের স্টাম্প। একটুর জন্য হাত ছোঁয়াতে পারেননি সাকিব। শুরুতে আবেদন করলেও ইশারায় বুঝিয়ে দেন বল হাতে লাগেনি।
পরিষ্কার বোঝা না গেলেও বিস্ময়করভাবে তৃতীয় আম্পায়ার দেন রান আউট। তামিম ইকবালকে দেখা যায় এগিয়ে গিয়ে আম্পায়ারকে কিছু বলতে। পরে আবার দেখে পাল্টায় সিদ্ধান্ত। টিকে যান রহমত শাহ।
সেই ওভারেই ৪৩ বলে পঞ্চাশ স্পর্শ করে জুটির রান।
১৭ ওভারে আফগানিস্তানের রান ৩ উইকেটে ৮৫।
রিভিউ নিয়ে বাঁচলেন নাজিবউল্লাহ
মেহেদী হাসান মিরাজের বলে এলবিডব্লিউ হওয়ার পর রিভিউ নিয়ে বাঁচলেন নাজিবউল্লাহ জাদরান। অফ স্পিনারের বলে পা বাড়িয়ে ডিফেন্স করেছিলেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। ব্যাটের কানায় বলের স্পর্শ বুঝতে পারেননি আম্পায়ার তানভির আহমেদ। সাড়া দেন এলবিডব্লিউর আবেদনে।
সঙ্গে সঙ্গেই রিভিউ নেন নাজিবউল্লাহ। পাল্টায় সিদ্ধান্ত, বেঁচে যান সে সময় ২৩ রানে থাকা বাঁহাতি এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান।
১৬ ওভারে আফগানদের স্কোর ৩ উইকেটে ৭৯। রহমত শাহ ৩৫ ও নাজিবউল্লাহ ২৪ রানে ব্যাট করছেন।
সাকিবের বল স্টাম্পড আজমতউল্লাহ
প্রমোশন দিয়ে আজমতউল্লাহ ওমরজাইকে চারে নামানোর ফাটকা কাজে লাগেনি। পেস বোলিং অলরাউন্ডার ছুঁতে পারেননি দুই অঙ্ক। ফেরেন সাকিব আল হাসানের বলে স্টাম্পড হয়ে।
বেরিয়ে এসে বাঁহাতি স্পিনারের ওপর চড়াও হতে চেয়েছিলেন আজমতউল্লাহ। বলে-ব্যাটে করতে পারেননি। বাকিটা অনায়াসে সারেন মুশফিকুর রহিম।
১৬ বলে এক চারে ৯ রান করেন আজমতউল্লাহ।
ক্রিজে রহমত শাহর সঙ্গে যোগ দিয়েছেন প্রথম ম্যাচে ফিফটি করা নাজিবউল্লাহ জাদরান। কঠিন সময়ে ক্রিজে এসেছেন তিনি। ১০ ওভারে ৩৬ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছে আফগানিস্তান।
শরিফুলের হাত ধরে দ্বিতীয়
আগের বল হাশমতউল্লাহ শাহিদির ব্যাটের কানায় লেগে স্টাম্পের পাশ দিয়ে হয়ে গেল বাউন্ডারি। পরের বল আবার ব্যাটের কানা নিল। এবার হাসলেন শরিফুল ইসলাম। ক্যাচ জমিয়ে হাসি দেখা গেল মুশফিকুর রহিমের মুখেও।
অফস্টাম্পের বাইরের বল কাট করার চেষ্টায় ঠিক মতো পারেননি শাহিদি। সহজ ক্যাচ অনায়াসে নেন মুশফিক। ৩ বলে এক চারে ৫ রান করেন আফগান অধিনায়ক।
৪ ওভারে আফগানিস্তানের রান ২ উইকেটে ১৬। ক্রিজে রহমত শাহর সঙ্গী আজমতউল্লাহ ওমরজাই।
দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলেই ভাঙল আফগানিস্তানের উদ্বোধনী জুটি। শরিফুল ইসলামের বল মিডউইকেটে পাঠিয়ে সিঙ্গেল নেওয়ার জন্য ছোটেন রিয়াজ হাসান। দ্রুত বল কুড়িয়ে সরাসরি থ্রোয়ে বেলস ফেলে দেন আফিফ হোসেন। তখনও কিছুটা দূরে ছিলেন রিয়াজ। ২ বলে ১ রান করে রান আউট হয়ে যান তরুণ এই ওপেনার।
২ ওভারে আফগানিস্তানের রান ১ উইকেটে ১০। ক্রিজে রহমত শাহর সঙ্গী অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শাহিদি।
ফিল্ডিংয়ের সময় খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে মাঠ ছাড়া কিপার-ব্যাটসম্যান রহমানউল্লাহ গুরবাজ ওপেনিংয়ে নামেননি। প্রথম পছন্দের ওপেনারের জায়গায় রিয়াজ হাসানের সঙ্গে ইনিংস উদ্বোধন করতে নেমেছেন টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান রহমত শাহ।
হাঁটুর সমস্যায় চতুর্থ ওভার শেষে মাঠ ছাড়েন গুরবাজ। তার জায়গায় উইকেটের পেছনে দাঁড়ান ইকরাম আলি খিল।
ব্যাট করতে পারবেন গুরবাজ। তবে কেবল আফগানদের ইনিংস শুরুর দুই ঘণ্টা পর কিংবা পঞ্চম উইকেট পতনের পর।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ
আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো তিনশ ছোঁয়া সংগ্রহ গড়েছে বাংলাদেশ। আগের সেরা ছিল ২০১৬ সালে মিরপুরে ৮ উইকেটে ২৭৯ রান।
সিরিজে টিকে থাকতে রেকর্ড গড়তে হবে আফগানদের। এর আগে ওয়ানডেতে কখনও তিনশ রানের লক্ষ্য তাড়া করে জেতেনি দলটি। এবার করতে হবে ৩০৭ রান।
লিটন দাসের সেঞ্চুরি ও মুশফিকুর রহিমের ফিফটিতে ৪ উইকেটে ৩০৬ রান করেছে বাংলাদেশ। শেষের দিকে প্রত্যাশিত ঝড় তুলতে পারেননি মাহমুদুউল্লাহ ও আফিফ হোসেন। তাই অনেক বড় সংগ্রহের আশা জাগালেও ততদূর যেতে পারেনি বাংলাদেশ। শেষ ২১ বলে আসে কেবল ২১ রান।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে ২০১৪ সালে আফগানরা ২৭৩ রান তাড়ায় জিতেছিল ২ উইকেটে। সেটাই তাদের সর্বোচ্চ রান তাড়ার রেকর্ড।
অতিরিক্ত থেকে এসেছে ৩৩ রান। ওয়ানডেতে অতিরিক্ত থেকে এর চেয়ে বেশি রান আফগানরা দিয়েছে কেবল দুইবার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ৩০৬/৪ (তামিম ১২, লিটন ১৩৬, সাকিব ২০, মুশফিক ৮৬, মাহমুদউল্লাহ ৬, আফিফ ১৩; ফারুকি ১০-১-৫৯-১, ফরিদ ৮-০-৫৬-২, মুজিব ১০-০-৪৯-০, আজমতউল্লাহ ৭-০-৩৭-০, রশিদ ১০-০-৫৪-১, নবি ৪-০-২৬-০, রহমত ১-০-১০-০)
পরপর দুই বলে ফিরলেন লিটন-মুশফিক
২০২ রানের জুটি ভেঙে লিটন দাসের বিদায়ের পরের বলেই ছক্কার চেষ্টায় ফিরে গেলেন মুশফিকুর রহিমও।
ফরিদ আহমাদ মালিকের শর্ট বলে পুল করে ডিপ স্কয়ার লেগে ধরা পড়েন লিটন। ১২৬ বলে খেলা তার ১৩৬ রানের ইনিংস গড়া ১৬ চার ও দুই ছক্কায়।
পরের বলটিও শর্ট। র্যাম্প শটে থার্ড ম্যান ফিল্ডারের হাতে ধরা পড়েন মুশফিক। ৯ চারে ৯৩ বলে ৮৬ রান করেন এই কিপার-ব্যাটসম্যান। এই ইনিংস খেলার পথে তিন সংস্করণ মিলিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে স্পর্শ করেন ১৩ হাজার রানের মাইলফলক।
ফরিদের হ্যাটট্রিক ঠেকিয়ে দেন আগের ম্যাচের নায়কদের একজন আফিফ হোসেন। ক্রিজে তার সঙ্গী মাহমুদউল্লাহ।
পাঁচে খেলানোর জন্য নেওয়া হলেও ওই পজিশনে নামানো হয়নি ইয়াসির আলি চৌধুরিকে। ব্যাটিং অর্ডারে এক ধাপ করে এগিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ ও আফিফ।
৪৭ ওভারে বাংলাদেশের রান ৪ উইকেটে ২৮৭।
তৃতীয় উইকেটে বাংলাদেশের সেরা জুটি
তৃতীয় উইকেটে দেশকে প্রথম দুইশ ছোঁয়া জুটি উপহার দিয়েছেন মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস। ১৮৮ বলে দুইশ ছুঁয়েছে তাদের জুটি।
আগের সেরা জুটিতেও ছিলেন মুশফিক। ২০১৫ সালে মিরপুরে পাকিস্তানের বিপক্ষে তামিম ইকবালের সঙ্গে গড়েছিলেন ১৭৮ রানের জুটি।
লিটনের পর জীবন পেলেন মুশফিকও
মুজিব উর রহমানের তিন ওভারের মধ্যে জীবন পেলেন দুই থিতু ব্যাটসম্যান।
মুজিবের কোটার শেষ বল বেরিয়ে এসে খেলার চেষ্টায় পারেননি মুশফিক। স্টাম্পিংয়ের সহজ সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি বদলি কিপার ইকরাম আলি খিল। সে সময় ৬৯ রানে ছিলেন মুশফিক।
এর আগে লিটন দাসের ক্যাচ ছাড়েন হাশমতউল্লাহ শাহিদি। পরে এই ওপেনার করেন সেঞ্চুরি।
৪২ ওভারে বাংলাদেশের রান ২ উইকেটে ২৪১।
দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে লিটনের চমৎকার সেঞ্চুরি
ইনিংসের শুরুতে ভুগছিলেন। তবে দ্রুত মানিয়ে নিয়ে এগোতে থাকেন। মাঝে আবার যেন কিছুটা পথ হারিয়ে ফেলেছিলেন। এবারও সামলে নেন নিজেকে। পরে একবার জীবনও পান কাভারে ক্যাচ দিয়ে। সব ছাপিয়ে দারুণ ধৈর্যের সঙ্গে ব্যাট করে লিটন দাস ওয়ানডেতে করলেন পঞ্চম সেঞ্চুরি।
আফগানদের বিপক্ষ এর আগে তার সর্বোচ্চ ছিল ৪১। এবার প্রথম ফিফটিকেই নিয়ে গেলেন তিন অঙ্কে, ১০৭ বলে।
লিটনের অন্য সব ইনিংসের মতো নয় এই সেঞ্চুরি। স্ট্রোকের যে ছটা থাকে তার ইনিংসে, সেটা অনেকটাই অনুপস্থিত। তবে তামিম ইকবালের দ্রুত বিদায়ের পর যে চোয়ালবদ্ধ প্রতিজ্ঞায় দলকে টেনেছেন, তা অসাধারণ। ব্যাটিংয়ে আছে পরিণত হয়ে ওঠার স্পষ্ট ছাপ।
মাঝে অনেক বল ডট খেলেছেন। কিন্তু চাপ সরিয়ে দেওয়ার জন্য তেড়েফুড়ে মারতে যাননি। সময় নিয়ে অপেক্ষা করেছেন সঠিক বলের। নিজের জোনে বল পেলে খেলেছেন চমৎকার কিছু শট। যে শটে তিন অঙ্ক স্পর্শ সেটি তার একটি। ইনসাইড আউটে লেগ স্পিনার রশিদ খানকে কাভার দিয়ে মারেন দারুণ এক বাউন্ডারি।
৪১ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ২৩৩। লিটন ১০৯ বলে ১০২ রানে ব্যাট করছেন, ৭৭ বলে মুশফিকের রান ৬৮।
বিপজ্জনক জুটি ভাঙার একটি সুযোগ হাতছাড়া করেছে আফগানিস্তান। মুজিব উর রহমানের বলে কাভারে লিটন দাসকে জীবন দিয়েছেন অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শাহিদি।
মুজিবের ফুল লেংথ বল সজোরে কাভার দিয়ে খেলেন। মাথা উচ্চতায় সোজাসুজি আসা ক্যাচ জমাতে পারেননি শাহিদি। সে সময় ৮৭ রানে ছিলেন লিটন।
বাংলাদেশের দুইশ
লিটন দাসের ফিফটি, জুটির পঞ্চাশ, মুশফিকের ফিফটি, জুটির একশ। এর ধারাবাহিকতায় এলো দলের দুইশ, ৩৬তম ওভারে। এর আগে ২০তম ওভারে দলের সংগ্রহ স্পর্শ করেছিল একশ।
রশিদ খানের বলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট দিয়ে লিটনের চমৎকার বাউন্ডারিতে দুইশ রান স্পর্শ করে বাংলাদেশের সংগ্রহ। টসের সময় এই উইকেটে ২৬০ রান ভালো সংগ্রহ বলেছিলেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল। মুশফিক ও লিটন দাসের ব্যাটে তিনশ রানে চোখ রেখে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
৩৬ ওভারে বাংলাদেশের রান ২ উইকেটে ২০২। লিটন ৯০ বলে ৮১ রানে খেলছেন। ৬৬ বলে মুশফিকের রান ৫৮। এই ইনিংস খেলার পথে ওয়ানডেতে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহের তালিকায় সাকিব আল হাসানকে ছাড়িয়ে দুই নম্বরে ওঠে এসেছেন এই কিপার-ব্যাটসম্যান। চূড়ায় আছেন তামিম।
আত্মবিশ্বাসী ব্যাটিংয়ে মুশফিকের ফিফটি
আগের ম্যাচে চাপে পড়া দলকে টানতে পারেননি। বরং বিদায় নিয়েছিলেন বিপদ বাড়িয়ে। এবার পায়ের নিচে ছিল দৃঢ় ভিত। সেটা কাজে লাগিয়ে দলকে এগিয়ে নিচ্ছেন দলকে। আফগানদের বোলিং চমৎকারভাবে সামাল দিয়ে পঞ্চাশ ছুঁয়েছেন ৫৬ বলে।
সফরকারীদের সব বোলারের বিপক্ষেই সাবলীল মুশফিক। তিন মূল স্পিনার রশিদ খান, মুজিব উর রহমান ও মোহাম্মদ নবিকে খেলছেন অনায়াসে। রশিদের ওভারে সুইপ করে পঞ্চাশ ছোঁয়ার পর স্লগ সুইপ করে মেরেছেন আরেকটি।
এক প্রান্তে নিজেকে কিছুটা গুটিয়ে রাখা লিটনকে চাপ মুক্ত রাখার কাজটা করেছেন মুশফিকই। তিনি রানের চাকা সচল রাখায় সময় নেওয়ার সুযোগটা পেয়েছেন লিটন।
মুশফিকের পঞ্চাশ ছোয়ার সময় তৃতীয় জুটি স্পর্শ করে তিন অঙ্ক। ৬০ বলে এসেছিল পঞ্চাশ, একশ এলো ১০৮ বলে।
৩৪ ওভারে বাংলাদেশের রান ২ উইকেটে ১৯০। ৮৪ বলে ৭২ রানে ব্যাট করছেন লিটন, ৬০ বলে মুশফিকের রান ৫৬।
লিটন-মুশফিকের জুটিতে পঞ্চাশ
দুটি সম্ভাবনাময় জুটি থমকে গেছে পঞ্চাশের আগেই। তবে তৃতীয় উইকেটে লিটন দাস ও মুশফিকুর রহিমের জুটি ৬১ বলে পঞ্চাশ ছুঁয়ে এগিয়ে যাচ্ছে সামনের দিকে।
জুটিতে অগ্রণী থিতু ব্যাটসম্যান লিটন। অন্য প্রান্তে তাকে দারুণ সঙ্গ দিচ্ছেন মিডল অর্ডারে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ভরসা মুশফিক। দুই ব্যাটসম্যানকে বিচ্ছিন্ন করতে একের পর এক বোলার পরিবর্তন করে যাচ্ছেন আফগানিস্তান অধিনায়ক। কেউই তাদের খুব একটা পরীক্ষায় ফেলতে পারেননি।
২৬ ওভারে বাংলাদেশের রান ২ উইকেটে ১৩৫।
অসীম ধৈর্য নিয়ে এক প্রান্ত আগলে রাখছেন লিটন দাস। এক-দুই নিয়ে খেলছেন। প্রয়োজনে ডট দিচ্ছেন। কোনো ঝুঁকি নিচ্ছেন না। কেবল নিজের জোনে পেলেই মারছেন বাউন্ডারি। দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ৬৫ বলে ছুঁয়েছেন ফিফটি।
ওয়ানডেতে এটি ডানহাতি ব্যাটসম্যানের চতুর্থ ফিফটি। পঞ্চাশ ছোঁয়া আগের সাত ইনিংসে সেঞ্চুরি চারটি।
২৬ ওভারে বাংলাদেশের রান ২ উইকেটে ১৩২। লিটন ৮ চারে ৬৬ বলে খেলছেন ৫৪ রানে। দুই চারে ২৪ বলে মুশফিকুর রহিমের রান ২০।
বাংলাদেশের একশ
রশিদ খান আক্রমণে আসার পর কমে গিয়েছিল রানের গতি। নেমে গিয়েছিল পাঁচের নিচে। তবে আফগান লেগ স্পিনারের এক ওভারে মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাসের দুই বাউন্ডারিতে ২০ ওভারেই একশ রানে গেল বাংলাদেশের সংগ্রহ।
পঞ্চাশ এসেছিল ৪৯ বলে, একশ হলো ১১৮ বলে।
২০ ওভারে বাংলাদেশের রান ২ উইকেটে ১০২। লিটন ৪৬ বলে ৩৫ রানে খেলছেন। মুশফিকের রান ১৪ বলে ১০।
বোলিং এসেই আঘাত হেনেছেন রশিদ খান। চমৎকার এক ডেলিভারিতে এলবিডব্লিউ করে দিয়েছেন সাকিব আল হাসানকে।
আফগান লেগ স্পিনারের লেংথ বলের লাইনে যেতে পারেননি বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। আম্পায়ার এলবিডব্লিউ দেওয়ার পর ফিরে যান রিভিউ না নিয়েই। পরে রিপ্লেতে দেখা গেছে স্টাম্পে পড়ে সোজা যাওয়া বল আঘাত হানতো মিডল স্টাম্পে।
উদ্বোধনী জুটির পর দ্বিতীয় উইকেট জুটিও থামল সম্ভাবনা জাগিয়ে। তামিম ইকবালের সঙ্গে লিটন দাসের জুটি ছিল ৩৮ রানের। সাকিবের সঙ্গে হলো ৪৫ রানের জুটি।
১৬ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ২ উইকেটে ৮৪। ক্রিজে লিটনের সঙ্গী মুশফিকুর রহিম।
পাওয়ার প্লেতে তামিমের উইকেট
আগের ম্যাচে দুঃস্বপ্নের মতো শুরু করা বাংলাদেশ এবার টপ অর্ডারের দৃঢ়তায় ভালো শুরু পেয়েছে। পাওয়ার প্লেতে হারিয়েছে কেবল ১ উইকেট।
প্রথম ১০ ওভারে তামিম ইকবালকে হারিয়ে ৫৪ রান তুলেছে বাংলাদেশ। ২৩ বলে ১৯ রানে খেলছেন লিটন দাস। ১৩ বলে সাকিবের রান ৭।
অতিরিক্ত থেকে এসেছে ১৬ রান।
লাইন ও লেংথে ধারাবাহিক নন আফগান বোলাররা। সেই সুবিধা কাজে লাগিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ফজলহক ফারুকির সুইং সামলাতে বেশ এগিয়ে দাঁড়িয়েছেন লিটন। কোনো ঝুঁকি না নিয়ে খেলে যাচ্ছেন বল অনুযায়ী। সাকিব খেলছেন সহজাত ক্রিকেট।
সাবধানী ব্যাটিং করলেও তামিম বড় করতে পারেননি নিজের ইনিংস। অনেকটা প্রথম ম্যাচের মতোই ফারুকির বলে এলবিডব্লিউ হন তিনি।
দ্বিতীয় ওভারে দুটি চার মারার পর নিজেকে বেশ গুটিয়ে নিয়েছিলেন তামিম ইকবাল। খেলছিলেন দেখেশুনে। কিন্তু পারলেন না ইনিংস বড় করতে। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে ফজলহক ফারুকির বলে এলবিডব্লিউ হলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
বাঁহাতি এই পেসারের ভেতরে ঢোকা বল ব্যাটে খেলতে পারেননি তামিম। আফগানদের আবেদনে সাড়া দিয়ে আম্পায়ার দেন এলবিডব্লিউ। লিটন দাসের সঙ্গে কথা বলে নেন রিভিউ। আম্পায়ার্স কলে টিকে যায় তানভির আহমেদের সিদ্ধান্ত। ভাঙে ৩৮ রানের উদ্বোধনী জুটি।
২৪ বলে দুই চারে ১২ রান করেন তামিম।
৭ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ১ উইকেটে ৪৩। ক্রিজে লিটনের সঙ্গী এসেই চার মেরে রানের খাতা খোলা সাকিব আল হাসান।
কিপিং ছেড়ে উঠে গেলেন গুরবাজ
খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে মাঠ ছেড়েছেন আফগানিস্তানের কিপার ও ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজ। তার জায়গায় কিপিং করছেন একাদশে না থাকা ইকরাম আলি খিল।
তৃতীয় ওভার শেষে ফিজিও এসে কিছুটা শুশ্রুষা দিয়েছিলেন গুরবাজকে, কিন্তু কাজ হয়নি। পরের ওভার শেষ হতেই হাঁটুর সমস্যায় মাঠ ছাড়েন তিনি।
তামিম ইকবালের মতো লিটন দাসও রানের খাতা খুলেছেন চার মেরে। তামিম ৮ ও লিটন ৬ রানে ব্যাট করছেন। বাকি ১২ রান এসেছে অতিরিক্ত থেকে।
৪ ওভারে বাংলাদেশের রান বিনা উইকেটে ২৬।
তৃতীয় ওভারে এলবিডব্লিউর একটি রিভিউ নিয়ে ব্যর্থ হয়েছে আফগানিস্তান। ফজলহক ফারুকির বলের লাইনে যেতে পারেননি লিটন দাস। তার প্যাডে লাগলে জোরাল আবেদন করে সফরকারীরা। আম্পায়ার আউট না দিলে নেয় রিভিউ।
রিপ্লেতে দেখা যায়, বল পিচ করে লেগ স্টাম্পের বাইরে। তাই নষ্ট হয় আফগানদের একটি রিভিউ।
দুই প্রান্তে দুই বাঁহাতি পেসারকে দিয়ে আক্রমণ শুরু করেছে আফগানিস্তান। ফারুকি সুইং দিয়ে ভোগাচ্ছেন ব্যাটসম্যানদের। দলে ফেরা ফরিদ আহমাদ প্রথম ওভারে ছিলেন এলোমেলো। ওয়াইড চার দিয়ে শুরুর পর তামিম ইকবালের ব্যাটে হজম করেন দুটি চার।
৩ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর বিনা উইকেটে ২০।
আফগান দলে তিন পরিবর্তন
প্রায় মুঠোয় পুরে ফেলা ম্যাচ হেরে যাওয়া আফগানিস্তান একাদশে এনেছে তিনটি পরিবর্তন। সেই ম্যাচের ব্যর্থতায় বাদ পড়েছেন অলরাউন্ডার গুলবাদিন নাইব ও পেসার ইয়ামিন আহমদজাই। তাদের জায়গায় ফিরেছেন পেস বোলিং অলরাউন্ডার আজমতউল্লাহ ওমরজাই ও পেসার ফরিদ আহমাদ মালিক।
প্রথম ওয়ানডেতে ফিল্ডিংয়ের সময় চোট পাওয়া ওপেনার ইব্রাহিম জাদরান নেই দলে। তার জায়গায় ফিরেছেন রিয়াজ হাসান।
আফগানিস্তান দল: রহমানউল্লাহ গুরবাজ, রিয়াজ হাসান, হাশমতউল্লাহ শহিদি (অধিনায়ক), রহমত শাহ, নাজিবউল্লাহ জাদরান, মোহাম্মদ নবি, ফরিদ আহমদ মালিক, রশিদ খান, ফজলহক ফারুকি, মুজিব উর রহমান, আজমতউল্লাহ ওমরজাই।
একই একাদশ নিয়ে বাংলাদেশ
৭ বল হাতে রেখে ৪ উইকেটে জয় পাওয়া দলে কোনো পরিবর্তন আনেনি বাংলাদেশ। অভিষেকে শূন্য রানে ফেরা ইয়াসির আলি চৌধুরি পেলেন আরেকটি সুযোগ।
একাদশের বাইরে থাকছেন নাজমুল হোসেন শান্ত, মাহমুদুল হাসান জয়, নাসুম আহমেদ ও ইবাদত হোসেন।
বাংলাদেশ একাদশ: তামিম ইকবাল (অধিনায়ক), লিটন কুমার দাস, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, ইয়াসির আলি চৌধুরি, মাহমুদউল্লাহ, আফিফ হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, মুস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম।
টসে দুই অধিনায়কের চাওয়াই পূরণ হলো। টস জিতে বাংলাদেশ অধিনায়ক তামিম ইকবাল নিলেন ব্যাটিং। জিতলে বোলিংই নিতেন বলে জানান আফগানিস্তান অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শাহিদি। আগের ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিং নিয়েছিলেন তিনি।
বাংলাদেশের সামনে দুই হাতছানি
আফিফ হোসেন ও মেহেদী হাসানের আগের ম্যাচের জুটি নিশ্চিতভাবেই জায়গা পেয়ে যাবে বাংলাদেশের ক্রিকেট গল্পগাঁথায়। ১৭৪ রানের অবিচ্ছিন্ন সেই জুটির হাত ধরে দুটি প্রাপ্তির হাতছানি স্বাগতিকদের সামনে। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে জিতলেই নিশ্চিত হয়ে যাবে সিরিজ সঙ্গে ইংল্যান্ডকে পেছনে ফেলে বাংলাদেশ দল ওঠে যাবে আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ সুপার লিগের শীর্ষে।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে শুক্রবার খেলা শুরু হবে সকাল ১১টায়।
প্রথম ওয়ানডেতে ৪ উইকেটে জিতলেও বাংলাদেশের খেলা নিয়ে খুব একটা সন্তুষ্ট নন রাসেল ডমিঙ্গো। দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিং তিন বিভাগেই উন্নতি দেখতে চান বাংলাদেশের প্রধান কোচ।