আফিফ হোসেন ও মেহেদী হাসান মিরাজের অসাধারণ জুটিতে প্রথম ম্যাচ এতটাই রোমাঞ্চকর ছিল, ওই জয়ের আড়ালে চাপা পড়ে যায় ওপরের ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতা। কিন্তু নবীন আফগান পেসার ফজলহক ফারুকির সামনে টপ অর্ডারের গুঁড়িয়ে যাওয়া, পরে মিডল অর্ডার ভেঙে পড়া, সামনের দিকে তাকিয়ে এসব তো শঙ্কার বার্তাই দেয়।
কোচ ডমিঙ্গো তাই উন্নতির তাগিদ জানালেন প্রবলভাবেই। জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানিয়ে দিলেন, শুক্রবার দ্বিতীয় ম্যাচের একাদশে পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই। তবে ব্যাটিংসহ দলের সার্বিক পারফরম্যান্সে পরিবর্তন চান তিনি।
“আরও ভালো করতে হবে আমাদের, ভালো খেলতে হবে। আমরা সম্ভবত ১৩টি ওয়াইড বল করেছি, একটি ক্যাচ ছেড়েছি, ব্যাটিংয়ে ৪৫ রানে ৬ উইকেট ছিল। প্রথম ম্যাচের পারফরম্যান্সের চেয়ে সব বিভাগেই বিশাল উন্নতি করতে হবে আমাদের। অসাধারণ একটি জুটি হয়েছে। কিন্তু গতকালের চেয়ে আগামীকাল আমাদের অনেক ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে।”
মাত্র দ্বিতীয় ওয়ানডে খেলতে নামা বাঁহাতি পেসার ফজলহক ফারুকির সুইংয়ের কোনো জবাব সেদিন পায়নি বাংলাদেশের টপ অর্ডার। এবার বিপিএলে মিনিস্টার ঢাকার হয়ে তিন ম্যাচ খেললেও তার বোলিংয়ে খুব ধার দেখা যায়নি। কিন্তু এই সিরিজের প্রথম ম্যাচে নিজেকে অন্য রূপে মেলে ধরেন ২১ বছর বয়সী পেসার। গতি তার খুব বেশি ছিল না। তবে ডানহাতি ব্যাটসম্যানের জন্য বল ভেতরে আনার সামর্থ্য আর পিচ করার পর বল স্কিড করা, দুটি মিলিয়েই ভোগান্তি ফেলেন ব্যাটসম্যানদের।
“দুর্ভাবনা নেই (ফারুকির বোলিং নিয়ে)। তবে ছেলেদের আরেকটু সোজা ব্যাটে খেলতে হবে। বাঁহাতি পেসার কালকে খুব ভালো বোলিং করেছে, এই ফরম্যাটে তা করতেই পারে। সে আমাদের চাপে ফেলেছে গতকাল, দারুণ কয়েকটি বল করেছে। লিটনকে আউট করা ডেলিভারি, রাব্বিকে আউট করা ডেলিভারি, মুশফিকেরটি, তিনটিই খুব ভালো ডেলিভারি ছিল। আগামীকাল আরেকটু ভালোভাবে সামলাতে হবে।”
“আরও ভালো করতে হবে, কোনো সন্দেহ নেই। মানসম্পন্ন টপ অর্ডার আছে আমাদের। তামিম আছে, মুশফিক-রিয়াদ-সাকিব-লিটন আছে, হাই কোয়ালিটি টপ অর্ডার ব্যাটিং লাইন আপ এটি। এই ফরম্যাটে এরকম কিছু (ধস) হয়েই থাকে। এক মাস টি-টোয়েন্টি খেলে এই ম্যাচ ওরা খেলেছে। ছেলেরা নিশ্চিতভাবেই হতাশ কালকের ব্যাটিংয়ে। আগামীকাল আরও ভালো পারফরম্যান্স ওদের কাছ থেকে আশা করছি।”
দ্বিতীয় ওয়ানডে জিতলে সিরিজ জয়ের পাশাপাশি আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ সুপার লিগের পয়েন্ট তালিকায় ইংল্যান্ডকে টপকে শীর্ষে উঠে যাবে বাংলাদেশ। ডমিঙ্গো অবশ্য তাতে বাড়তি রোমাঞ্চের কিছু দেখেন না।
“এখনও অনেক ওয়ানডে খেলা বাকি আছে আমাদের। বিশ্বকাপ এখনও অনেক দূরের পথ। ১৩ টি ম্যাচ খেলেছি সুপার লিগে, মোট ২৪টি খেলতে হবে। আমাদের পজিশন নিয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই। মনোযোগ স্রেফ কালকের ম্যাচে।”