এখনকার প্রধান কোচরা সাধারণত নিজেদের পছন্দের সাপোর্ট স্টাফ নিয়ে কাজ করতেই পছন্দ করেন। তিনি বাংলাদেশ দলের দায়িত্ব নেওয়ার সময় সাপোর্ট স্টাফে যারা ছিল, তাদের একজনও আর নেই এখন। এমনকি দলে তার নিজের কর্তৃত্বও এখন প্রশ্নবিদ্ধ।
সেই প্রশ্নটা উচ্চকিত মূলত খালেদ মাহমুদ ‘টিম ডিরেক্টর’ হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর। গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের ব্যর্থতার পর নতুন এই পদ সৃষ্টি করে দায়িত্ব দেওয়া হয় এই বোর্ড পরিচালক ও দেশের সাবেক অধিনায়ককে। ডমিঙ্গো প্রধান কোচ হলেও দলের ‘প্রধান কর্তা’ কে, এটা নিয়ে বিভ্রান্তিও তৈরি হয় নানা সময়ে।
খালেদ মাহমুদ তার দায়িত্ব নিয়ে নানা সময় কথা বললেও ডমিঙ্গোর বক্তব্য পাওয়া যায়নি এই তিন মাসে। অবশেষে বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামে বাংলাদেশ দলের অনুশীলনের ফাঁকে সংবাদ সম্মেলনে তিনি স্পষ্ট করে তুলে ধরলেন নিজের ভাবনা।
জেমি সিডন্স ব্যাটিং কোচ হিসেবে কাজ শুরু করেছেন আফগানিস্তানের বিপক্ষে চলতি সিরিজ থেকেই। এমনিতে প্রধান কোচ ও সহকারী কোচদের কারও ভূমিকা বা ব্যবধান, সবই স্পষ্ট। তবে সিডন্সের ব্যাপারটি আলাদা বাংলাদেশ ক্রিকেটে তার অতীতের প্রেক্ষাপটে।
২০০৭ থেকে ২০১১ পর্যন্ত দলের প্রধান কোচ ছিলেন তিনি। সেই সময়কার বেশ কজন ক্রিকেটার এখন আছেন দলে, যাদের সঙ্গে তার সম্পর্ক বেশ উষ্ণ। বিশেষ করে ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবালের দারুণ ঘনিষ্ঠ সিডন্স, সম্পর্কের রসায়ন তার জমাট সাকিব আল হাসানের সঙ্গেও।
সিডন্স আসায় দলে ডমিঙ্গোর গুরুত্ব ও প্রভাব কমবে কিনা, সেই প্রশ্ন তুলছেন কেউ কেউ।
ডমিঙ্গো এই প্রশ্নগুলোকেও পাত্তা না দিয়ে আলিঙ্গনই করে নিলেন সিডন্সকে।
“জেমি অভিজ্ঞ কোচ। সারা বিশ্বে কোচিং করিয়েছে। এখানকার সিস্টেম সে জানে। ক্রিকেটারদের বেশ কজনকে সে সম্ভবত আমার চেয়েও ভালোভাবে জানে, কারণ সে আগে এখানে ছিল। তাকে পাওয়া তাই ভালো ব্যাপার। কোনো সংশয় নেই, আমাদের কোচিং স্টাফে অনেক অভিজ্ঞতা যোগ করবে সে।”