‘চাচা’ থাকায় চাপমুক্ত ডমিঙ্গো, সিডন্সকে পেয়ে খুশি

রাসেল ডমিঙ্গোর সংসারে বেশ কিছুদিন ধরেই ছড়ি ঘোরাচ্ছেন খালেদ মাহমুদ। এখন আবার নতুন সদস্য হয়ে এসেছেন জেমি সিডন্স। এতজন কর্তা থাকলে পারিবারিক অশান্তির আশঙ্কা কিছুটা অমূলক নয়। তবে ডমিঙ্গো সেই শঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছেন। অন্য দুজনকে পাশে পেয়ে বাংলাদেশ কোচ বেশ খুশি বলেই দাবি করলেন।

ক্রীড়া প্রতিবেদকচট্টগ্রাম থেকে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Feb 2022, 02:39 PM
Updated : 24 Feb 2022, 03:05 PM

এখনকার প্রধান কোচরা সাধারণত নিজেদের পছন্দের সাপোর্ট স্টাফ নিয়ে কাজ করতেই পছন্দ করেন। তিনি বাংলাদেশ দলের দায়িত্ব নেওয়ার সময় সাপোর্ট স্টাফে যারা ছিল, তাদের একজনও আর নেই এখন। এমনকি দলে তার নিজের কর্তৃত্বও এখন প্রশ্নবিদ্ধ।

সেই প্রশ্নটা উচ্চকিত মূলত খালেদ মাহমুদ ‘টিম ডিরেক্টর’ হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর। গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের ব্যর্থতার পর নতুন এই পদ সৃষ্টি করে দায়িত্ব দেওয়া হয় এই বোর্ড পরিচালক ও দেশের সাবেক অধিনায়ককে। ডমিঙ্গো প্রধান কোচ হলেও দলের ‘প্রধান কর্তা’ কে, এটা নিয়ে বিভ্রান্তিও তৈরি হয় নানা সময়ে।

খালেদ মাহমুদ তার দায়িত্ব নিয়ে নানা সময় কথা বললেও ডমিঙ্গোর বক্তব্য পাওয়া যায়নি এই তিন মাসে। অবশেষে বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামে বাংলাদেশ দলের অনুশীলনের ফাঁকে সংবাদ সম্মেলনে তিনি স্পষ্ট করে তুলে ধরলেন নিজের ভাবনা।

ডমিঙ্গোর কোচিং স্টাফের নতুন সদস্য জেমি সিডন্স।

“আমি যতটা বুঝি, টিম ডিরেক্টর হলো আমার সঙ্গে বোর্ড সদস্যদের মধ্যকার যোগসূত্র। দলে যা হচ্ছে সেসব নিয়ে যোগাযোগ করা, দল নির্বাচন, এসব নিয়ে যোগাযোগ রাখা…। লাইন আপ কেমন হচ্ছে, টস জিতলে কী, এসব নিয়ে বোর্ড পরিচালকদের সঙ্গে কথা বলতে হচ্ছে না আমাকে। আমি এসবে ফোকাস করতেও চাই না। চাচাকে (খালেদ মাহমুদকে এই নামে ডাকেন ক্রিকেটাররা) পাওয়া তাই দারুণ। সে এসব তথ্য তাদেরকে জানাতে পারে। ওসব চাপ আমার কাছ থেকে নিয়ে নিচ্ছে সে।”

জেমি সিডন্স ব্যাটিং কোচ হিসেবে কাজ শুরু করেছেন আফগানিস্তানের বিপক্ষে চলতি সিরিজ থেকেই। এমনিতে প্রধান কোচ ও সহকারী কোচদের কারও ভূমিকা বা ব্যবধান, সবই স্পষ্ট। তবে সিডন্সের ব্যাপারটি আলাদা বাংলাদেশ ক্রিকেটে তার অতীতের প্রেক্ষাপটে।

২০০৭ থেকে ২০১১ পর্যন্ত দলের প্রধান কোচ ছিলেন তিনি। সেই সময়কার বেশ কজন ক্রিকেটার এখন আছেন দলে, যাদের সঙ্গে তার সম্পর্ক বেশ উষ্ণ। বিশেষ করে ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবালের দারুণ ঘনিষ্ঠ সিডন্স, সম্পর্কের রসায়ন তার জমাট সাকিব আল হাসানের সঙ্গেও।

সিডন্স আসায় দলে ডমিঙ্গোর গুরুত্ব ও প্রভাব কমবে কিনা, সেই প্রশ্ন তুলছেন কেউ কেউ।

ডমিঙ্গো এই প্রশ্নগুলোকেও পাত্তা না দিয়ে আলিঙ্গনই করে নিলেন সিডন্সকে।

“জেমি অভিজ্ঞ কোচ। সারা বিশ্বে কোচিং করিয়েছে। এখানকার সিস্টেম সে জানে। ক্রিকেটারদের বেশ কজনকে সে সম্ভবত আমার চেয়েও ভালোভাবে জানে, কারণ সে আগে এখানে ছিল। তাকে পাওয়া তাই ভালো ব্যাপার। কোনো সংশয় নেই, আমাদের কোচিং স্টাফে অনেক অভিজ্ঞতা যোগ করবে সে।”