আফগানিস্তানের বিপক্ষে বুধবার প্রথম ওয়ানডেতে সপ্তম উইকেটে দুই জনে ৩৭.৩ ওভারে গড়েছেন অবিচ্ছিন্ন ১৭৪ রানের জুটি। এই পর্যায়ে ওয়ানডে ইতিহাসেই আর একটি জুটি কেবল বেশি রান করেছে। ২০১৫ সালে বার্মিংহ্যামে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ১৭৭ রান যোগ করেছিলেন জস বাটলার ও আদিশ রশিদ।
ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটিতে ১১৫ বলে ১১ চার ও এক ছক্কায় ৯৩ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন আফিফ। তার সঙ্গে ওয়ানডেতে বাংলাদেশের রেকর্ড গড়া জুটিতে মিরাজের অবদান ১২০ বলে ৯ চারে ৮১। সপ্তম উইকেটে বাংলাদেশের আগের সেরা জুটি ছিল ১২৭ রানের, ২০১৮ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মিরপুরে গড়েছিলেন ইমরুল কায়েস ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে ৭ বল হাতে রেখে ৪ উইকেটে জয়ের পর যেন মুক্তির শ্বাস ফেলেন তামিম। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে জানান, এটা ছিল অভাবনীয়।
“ম্যাচ জিতব, এই বিশ্বাস ছিল কি না? সত্যি বলতে না। আমি ভাবিনি। যদি বলি আমার বিশ্বাস ছিল জিতব, তাহলে মিথ্যে বলব। ২১৬ রান তাড়ায় ৪৫ রানে ৬ উইকেট নেই, এখান থেকে জেতা অনেক কঠিন। আমি খুব, খুব খুশি। কেবল জিতেছি বলেই নয়, দুই তরুণ যেভাবে ব্যাট করেছে এর জন্যও। অবিশ্বাস্য। এটা বর্ণনার কোনো ভাষা আমার জানা নেই। আমি খুব খুশি ও গর্বিত।”
শুরুতে বাংলাদেশকে কাঁপিয়ে দেন পেসার ফজলহক ফারুকি। উইকেট নেন দুই স্পিনার মুজিব উর রহমান ও রশিদ খানও। কিন্তু আফিফ ও মিরাজকে বিচ্ছিন্ন করতে পারেননি কেউই। আফগানদের বোলিং আক্রমণের সামর্থ্যের জন্য ম্যাচ জেতানো এই জুটিকে আরও বেশি কৃতিত্ব দিচ্ছেন তামিম।
“এটা সহজ ছিল না। আমি সব সময়ই বলি, ওদের বোলিং আক্রমণ দুর্দান্ত। বিশেষ করে ওদের স্পিন বোলিং। আর যেভাবে বোলিং আক্রমণ ওরা সামাল দিয়েছে, দেখতে ভীষণ ভালো লেগেছে। আর এটা থেকে শেখারও আছে আমাদের। আমার মনে হয়, এটাই ওদের শেষ নয়, কেবল শুরু। আমাদের দলকে আরও অনেক ম্যাচ জেতাতে হবে ওদের। আমি খুব গর্বিত ও খুশি।”