চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে প্রথম ওয়ানডেতে ৪ উইকেটে জিতেছে বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের ২১৫ পেরিয়ে গেছে ৭ বল বাকি থাকতে।
দুই তরুণের ব্যাটে দুর্দান্ত জয়
নতুন বলে কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন ফজলহক ফারুকি। চার উইকেট নিয়ে চালকের আসনে বসিয়েছিলেন আফগানিস্তানকে। সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহর বাজে দুই আউটে বাংলাদেশের বিপদ বেড়েছিল আরও। এক সময় যেটা মনে হচ্ছিল অনেক দূরের ঠিকানা, সেটা সম্ভব হলো আফিফ হোসেন ও মেহেদী হাসান মিরাজের ব্যাটে।
ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলা দুই ব্যাটসম্যান গড়েছেন রেকর্ড জুটি। বাংলাদেশ পেয়েছে দুর্দান্ত এক জয়।
আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ সুপার লিগে এটি বাংলাদেশের নবম জয়। আফগানদের প্রথম হার।
চার মেরে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যাওয়া আফিফ অপরাজিত থাকেন ৯৩ রানে। তার ১১৫ বলের অসাধারণ ইনিংস গড়া ১১ চার ও এক ছক্কায়। বল হাতে আলো ছড়ানো মিরাজ ৯ চারে ১২০ বলে করেন ৮১ রান।
ফারুকি শেষ পর্যন্ত ৫৪ রানে নেন ৪ উইকেট। পুরান বলে আর ততটা কার্যকর ছিলেন না তিনি। সে সময় তাকে অনায়াসে খেলেছেন আফিফ ও মিরাজ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
আফগানিস্তান: ৪৯.১ ওভারে ২১৫ (গুরবাজ ৭, ইব্রাহিম ১৯, রহমত ৩৪, শাহিদি ২৮, নাজিবউল্লাহ , নবি ১৭, রশিদ ০, মুজিব ০, ইয়ামিন ৫, ফারুকি ০; মুস্তাফিজ ৯.১-০-৩৫-৩, তাসকিন ১০-০-৫৫-২, সাকিব ৯-১-৫০-২, শরিফুল ১০-১-৩৮-২, মিরাজ ১০-৩-২৮-০, মাহমুদউল্লাহ ১-০-৪-১)
বাংলাদেশ: ৪৮.৫ ওভারে ২১৯/৪ (তামিম ৮, লিটন ১, সাকিব ১০, মুশফিক ৩, ইয়াসির ০, মাহমুদউল্লাহ ৮, আফিফ ৯৩, মিরাজ ৮১; ফারুকি ১০-১-৫৪-৪, মুজিব ১০-০-৩২-১, ইয়ামিন ৫-০-৩৫-০, রশিদ ১০-১-৩০-১, নবি ১০-১-৩২-০, গুলবাদিন ৩.৫-০-২৫-০)
ভীষণ চাপের সময় নেমে দুই তরুণ খেলছেন ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস। দলকে লড়াইয়ে ফেরানোর পথে গড়েছেন সপ্তম উইকেটে বাংলাদেশের সেরা জুটি।
২০১৮ সালে মিরপুরে মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিনের সঙ্গে ইমরুল কায়েসের ১২৭ ছিল সপ্তম উইকেটে আগের রেকর্ড জুটি। সেটা ছাড়িয়ে আরও সামনের দিকে এগিয়ে চলেছেন আফিফ ও মিরাজ।
৪৩ ওভার শেষে তাদের জুটি ১৩৩ রানের। দলের রান ১৭৮। শেষ ৭ ওভারে আরও ৩৮ রান চাই স্বাগতিকদের।
মিরাজের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস
ওয়ানডে অভিষেকের পর প্রথম দুই ম্যাচে ব্যাট করতে হয়নি মেহেদী হাসান মিরাজকে। তৃতীয় ম্যাচে সুযোগ পেয়ে করেন ফিফটি। এরপর আর পঞ্চাশের দেখা পাচ্ছিলেন না। দলের খুব প্রয়োজনের সময় জ্বলে উঠল তার ব্যাট।
আগের সেরা ৫১ ছাড়িয়ে ব্যাট করছেন ৫৩ রানে। ইয়ামিস আহমদজাইকে পুলে চমৎকার বাউন্ডারিতে ৭৯ বলে পঞ্চাশ স্পর্শ করেন অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার মিরাজ।
দলের বাজে শুরুর পর হাল ধরা দুই তরুণ আফিফ হোসেন ও মেহেদী হাসান মিরাজ গড়েছেন শতরানের জুটি, ১৪০ বলে।
সপ্তম উইকেটে এটি বাংলাদেশের তৃতীয় শতরানের জুটি।
আফিফ ও মিরাজের জুটির পঞ্চাশ এসেছিল ৫৮ বলে। এরপর থেকে সাবধানী ব্যাটিংয়ে এগোচ্ছেন দুই ব্যাটসম্যান। মূলত এক-দুই নিয়ে সচল রাখছেন রানের চাকা। সুযোগ পেলে মারছেন বাউন্ডারি।
পরে আর কোনো স্বীকৃত ব্যাটসম্যান না থাকায় কাজ এখানেই শেষ হয়নি।
৩৫ ওভারে বাংলাদেশের রান ৬ উইকেটে ১৪৫। জয়ের জন্য শেষ ১৫ ওভারে ৭০ রান চাই স্বাগতিকদের।
আফিফের প্রথম পঞ্চাশ
দলের কঠিন সময়ে নিজের প্রথম পঞ্চাশের দেখা পেলেন আফিফ হোসেন।
ফ্লাডলাইট বিভ্রাটে বেশ কিছুক্ষণ বন্ধ থাকলেও দুই ব্যাটসম্যানের মনোসংযোগে যেন কোনো প্রভাব পড়েনি। দুই জনে খেলে যাচ্ছেন আগের ধারাবাহিকতাতেই।
খেলা শুরুর পর রশিদ খানের ওভারের দ্বিতীয় বলে সিঙ্গেল নিয়ে পঞ্চাশ স্পর্শ করেন আফিফ। ৬৪ বলে ফিফটি পাওয়া বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যানের আগের সেরা ছিল ৪৫।
এক সময় যেটা অনেক দূরের পথ মনে হচ্ছিল সেটা ছুঁয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ২২তম ওভারের শেষ বলে স্পর্শ করেছে তিন অঙ্ক।
ফজলহক ফারুকির ছোবলে শুরুতেই এলোমেলো হয়ে যাওয়া দলকে কক্ষপথে ফেরাতে লড়াই করছেন দুই তরুণ আফিফ হোসেন ও মেহেদী হাসান মিরাজ।
২২ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ৬ উইকেটে ১০১ রান। আফিফ ৩৪ ও মিরাজ ২৪ রানে ব্যাট করছেন।
আফিফ-মিরাজের জুটিতে পঞ্চাশ
৪৫ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে কাঁপতে থাকা বাংলাদেশ লড়াই করছে আফিফ হোসেন ও মেহেদী হাসান মিরাজের ব্যাটে। দুই তরুণ সপ্তম উইকেটে গড়েছেন পঞ্চাশ রানের জুটি, ৫৮ বলে।
জুটিতে দুই জনেরই অবদান সমান, ২৩ রান করে।
২১ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ৬ উইকেট ৯৫।
মাহমুদউল্লাহর বাজে শটে বাড়ল বিপদ
ফজলহক ফারুকি আক্রমণ থেকে সরার পর মনে হচ্ছিল আপাতত বিপদ কেটে গেছে। গড়ে উঠছে জুটি। সেই সময়ে বাজে এক শটে বিদায় নিলেন মাহমুদউল্লাহ।
সবেই আক্রমণে আসা রশিদ খানের শর্ট বল জায়গায় দাঁড়িয়ে কাট করার চেষ্টা করেন মাহমুদউল্লাহ। ঠিক মতো পারেননি তিনি। ক্যাচ যায় স্লিপে।
এক চারে ১৭ বলে ৮ রান করেন অভিজ্ঞ এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান।
সেই ওভারেই আফিফ হোসেনের বিরুদ্ধে এলবিডব্লিউর রিভিউ নিয়ে ব্যর্থ হয় আফগানিস্তান। বল পিচে করেছিল লেগ স্টাম্পের বাইরে।
১২ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ৬ উইকেটে ৫১। ক্রিজে আফিফের সঙ্গী মেহেদী হাসান মিরাজ।
দলের বিপদে হাল ধরতে পারলেন না সাকিব আল হাসানও। ফরচুন বরিশাল সতীর্থ মুজিব উর রহমানের বল স্টাম্পে টেনে আনলেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান।
অফ স্টাম্পের অনেক বাইরে সাদামাটা এক ডেলিভারি, জায়গায় দাঁড়িয়ে খেলার চেষ্টা করেন সাকিব। শরীর থেকে বেশ দূরের বল ঠিকমতো খেলতে পারেননি তিনি। ব্যাটের কানায় লেগে বল আঘাত হানে স্টাম্পে।
১৫ বলে এক চারে ১০ রান করেন সাকিব।
৮ ওভারে বাংলাদেশের রান ৫ উইকেটে ২৮। ক্রিজে মাহমুদউল্লাহর সঙ্গী আফিফ হোসেন।
সবুজ ঘাসের ছোঁয়া থাকা উইকেটে ফজলহক ফারুকির বল যেন বুঝতেই পারছেন না বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। পাঁচ ওভারের মধ্যে হারিয়ে ফেলেছে চার উইকেট।
দুই ওপেনারের পর ফিরে গেলেন মুশফিকুর রহিম। বাঁহাতি পেসার ফারুকির মিডল স্টাম্পে পড়ে প্রায় সোজা যাওয়া বলের লাইনে যেতে পারেননি মুশফিক। আরেকটু বেশি সুইং আশা করা মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান এলবিডব্লিউ হওয়ার পর নেন রিভিউ। কাজ হয়নি, রিপ্লেতে দেখা গেছে বল লাগতো অফ-মিডল স্টাম্পে।
অভিষেকে কঠিন সময়ে নেমে রানের খাতাই খুলতে পারেননি ইয়াসির আলি চৌধুরি। দীর্ঘ অপেক্ষার পর নিজের প্রথম ওয়ানডে খেলতে নেমে তিনি ফারুকির বলের লাইন মিস করে বোল্ড হয়ে যান শূন্য রানে। ছোট রানা তাড়ায় শুরুতেই বাংলাদেশের ইনিংস যেন ধ্বংসস্তুপ।
৫ ওভারে বাংলাদেশের রান ৪ উইকেটে ১৮। ক্রিজে সাকিব আল হাসানের সঙ্গী মাহমুদউল্লাহ।
দুটি সফল রিভিউ নিয়ে তৃতীয় ওভারে দুই ওপেনারকে ফিরিয়ে দিল আফগানিস্তান। লিটন দাস কট বিহাইন্ড হওয়ার পর এলবিডব্লিউ হয়ে গেলেন তামিম ইকবাল।
ফজলহক ফারুকির মিডল স্টাম্পে থাকা বল ডিফেন্স করতে চেয়েছিলেন লিটন। ঠিক মতো পারেননি ডানহাতি এই ওপেনার। ব্যাটের কানা ছুঁয়ে জমা পড়ে কিপারের গ্লাভসে।
আম্পায়ার আউট না দিলে রিভিউ নেন আফগান অধিনায়ক। পাল্টায় সিদ্ধান্ত, ৮ বলে ১ রান করে ফিরেন লিটন।
এক বল পর পা বাড়িয়ে খেলতে চেয়েছিলেন তামিম। ব্যাটে-বলে করতে পারেননি বাঁহাতি এই ওপেনার। আবার রিভিউ নেন হাশমতউল্লাহ শাহিদি। এবারও পাল্টায় সিদ্ধান্ত, দুই চারে ৮ বলে ৮ রান করে বিদায় নেন তামিম।
৩ ওভারে বাংলাদেশের রান ২ উইকেটে ১৫। ক্রিজে সাকিব আল হাসানের সঙ্গী মুশফিকুর রহিম।
২১৫ রানে শেষ আফগানিস্তান
অবদান রেখেছেন বোলারদের সবাই। তিন উইকেট নিয়ে সফলতম বোলার মুস্তাফিজুর রহমান। দুটি করে উইকেট নিয়েছেন শরিফুল ইসলাম, সাকিব আল হাসান ও তাসকিন আহমেদ। একটি উইকেট পেয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। উইকেট না পেলেও মেহেদী হাসান মিরাজের কৃতিত্ব কমছে না। এই অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার ১০ ওভারে দিয়েছেন কেবল ২৮ রান। তার তৈরি করা চাপ কাজে লাগিয়েছেন অন্য বোলাররা।
আফগানদের প্রথম সাত ব্যাটসম্যানের ছয়জনই দুই অঙ্কে যান। কিন্তু ভালো শুরুকে পূর্ণতা দিতে পারেননি কেউই। মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান নাজিবউল্লাহ জাদরান (৬৭) ছাড়া বিশের ঘর পার হতে পেরেছেন কেবল রহমত শাহ (৩৪)।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
আফগানিস্তান: ৪৯.১ ওভারে ২১৫ (গুরবাজ ৭, ইব্রাহিম ১৯, রহমত ৩৪, শাহিদি ২৮, নাজিবউল্লাহ , নবি ১৭, রশিদ ০, মুজিব ০, ইয়ামিন ৫, ফারুকি ০*; মুস্তাফিজ ৯.১-০-৩৫-৩, তাসকিন ১০-০-৫৫-২, সাকিব ৯-১-৫০-২, শরিফুল ১০-১-৩৮-২, মিরাজ ১০-৩-২৮-০, মাহমুদউল্লাহ ১-০-৪-১)
মুস্তাফিজের তিনে শেষ আফগানিস্তান
পুরো পঞ্চাশ ওভার ব্যাট করতে পারল না আফগানিস্তান। ইনিংসের শেষ ওভারের প্রথম বলে ইয়ামিন আহমদজাইকে ফিরিয়ে দিয়ে সফরকারীদের ইনিংস গুটিয়ে দিলেন মুস্তাফিজুর রহমান।
স্লোয়ার বল বুঝতে পারেননি ইয়ামিন। ওড়াতে চাইলেন ছক্কায়, কিন্তু যত ওপরে উঠল বল তত দূর গেল না। কাভারে ক্যাচ নেন মাহমুদউল্লাহ। মুস্তাফিজ পেলেন তৃতীয় উইকেট, ২১৫ রানে থামল আফগানিস্তানের ইনিংস।
ছক্কার চেষ্টায় অক্কা নাজিবউল্লাহ
সময়ের দাবি বড় শট। সেটাই খেললেন নাজিবউল্লাহ জাদরান, কিন্তু বেছে নিলেন ভুল বল। শরিফুল ইসলামের স্লোয়ারে লং অনে মাহমুদউল্লাহর হাতে ধরা পড়লেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান।
৮৪ বলে দুই ছক্কা ও চারটি চারে ৬৭ রান করেন নাজিবউল্লাহ। মূলত তার ব্যাটেই দুইশ ছাড়ায় আফগানদের সংগ্রহ।
আফগানিস্তানের দুইশ
মন্থর ব্যাটিংয়ে ১৬৪ বলে তিন অঙ্ক ছোঁয়ার পর রানের গতি বাড়ানোর চেষ্টায় ছিল আফগানিস্তান। নাজিবউল্লাহ জাদরান ও মোহাম্মদ নবির জুটিতে আশাও জাগিয়েছিল। কিন্তু সেই জুটি ভাঙার পর আরও দুটি উইকেট নিয়ে সফরকারীদের চাপেই রেখেছে বাংলাদেশ।
৪৭তম ওভারে দুইশ ছুঁতে পেরেছে আফগানিস্তান। পরের একশ এসেছে ১১৭ বল।
মুস্তাফিজের স্লোয়ারে ধরা মুজিব
সাকিব আল হাসান জোড়া শিকার ধরার পর আঘাত হানলেন মুস্তাফিজুর রহমানও। চমৎকার এক ডেলিভারিতে ফিরিয়ে দিলেন মুজিব উর রহমানকে।
স্লোয়ার একদমই বুঝতে পারেননি আফগান লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যান। লেগে ঘুরানোর চেষ্টায় ক্যাচ দেন কাভারে। ৪ বল খেলে রানের খাতা খুলতে পারেননি মুজিব।
৪৬ ওভারে আফগানিস্তানের রান ৮ উইকেটে ১৯৫। ক্রিজে নাজিবউল্লাহ জাদরানের সঙ্গী ইয়ামিন আহমদজাই।
প্রথম দুই ওভারে চমৎকার বোলিংয়ের পর যেন হারিয়ে গিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। খুঁজে পাচ্ছিলেন না লাইন লেংথ। শেষ পর্যন্ত ফিরলেন স্বরূপে। এক ওভারে নিলেন দুই উইকেট।
গুলবাদিন নাইবকে এলবিডব্লিউ করার পর বোল্ড করে দিলেন রশিদ খানকে।
বেরিয়ে এসে ফ্লিক করতে চেয়েছিলেন গুলবাদিন। করতে পারেননি ব্যাটে-বলে। আম্পায়ার এলবিডব্লিউ দিলে নেন রিভিউ। তার উইকেটের সঙ্গে একটি রিভিউ হারায় আফগানিস্তান।
২১ বলে ১ ছক্কায় ১৭ রান করেন গুলবাদিন।
সামনে এগিয়ে খেলার পরিবর্তে পিছিয়ে গিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন রশিদ। শরীরের খুব কাছের বলে ব্যাটই ছোঁয়াতে পারেননি, ফিরে যান শূন্য হাতে।
৪৫ ওভারে আফগানিস্তানের রান ৭ উইকেটে ১৯৪। ক্রিজে নাজিবউল্লাহ জাদরানের সঙ্গী মুজিব উর রহমান।
বাংলাদেশের বোলাররা তার চেনা। খেলেছেন ঘরোয়া ক্রিকেটেও। সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে টানছেন দলকে। দায়িত্বশীল ইনিংসে দলকে এগিয়ে নেওয়া নাজিবউল্লাহ জাদরান পঞ্চাশ ছুঁয়েছেন ৭০ বলে।
এই সময়ে বাঁহাতি ব্যাটসম্যান হাঁকিয়েছেন চারটি চার ও একটি ছক্কা।
৪৩ ওভারে আফগানিস্তানের রান ৫ উইকেটে ১৮৯। নাজিবউল্লাহ ৫০ ও গুলবাদিন নাইব ১৪ রানে খেলছেন।
নবিকে বিদায় করে জুটি ভাঙলেন তাসকিন
ধীরে ধীরে মাথা ব্যথার কারণ হয়ে ওঠা জুটি ভাঙলেন তাসকিন আহমেদ। চমৎকার এক ডেলিভারিতে ফিরিয়ে দিলেন মোহাম্মদ নবিকে।
ওভারের প্রথম বলে কাভার দিয়ে চার মারেন নবি। পরের বল কাট করার চেষ্টায় ব্যাটে-বলে করতে পারেননি এই অলরাউন্ডার। পরের বলে আবার ড্রাইভ করেন, এবার ব্যাটের কানায় লেগে ক্যাচ যায় মুশফিকুর রহিমের গ্লাভসে। ভাঙে ৬৩ বলে খেলা ৬৩ রানের জুটি।
২৪ বলে দুই চারে ২০ রান করেন নবি।
তাসকিনের এটি দ্বিতীয় উইকেট, মুশফিকের তৃতীয় ক্যাচ।
৩৯ ওভারে আফগানিস্তানের রান ৫ উইকেটে ১৬৬। ক্রিজে নাজিবউল্লাহ জাদরানের সঙ্গী গুলবাদিন নাইব।
নাজিবউল্লাহ-নবির জুটিতে পঞ্চাশ
মোহাম্মদ নবি ক্রিজে যাওয়ার পর বাড়ছে আফগানিস্তানের রান। অভিজ্ঞ এই অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার নাজিবউল্লাহ জাদরানের সঙ্গে গড়েছেন পঞ্চাশ রানের জুটি, ৫৬ বলে।
শুরুতে সময় নেওয়া নাজিবউল্লাহ ধীরে ধীরে খেলতে শুরু করেছেন নিজের শট। নবি মনোযোগী রানের চাকা সচল রাখার দিকে।
৩৮ ওভারে আফগানিস্তানের রান ৪ উইকেটে ১৬০। নাজিবউল্লাহ ৫৮ বলে ৪১ ও নবি ২১ বলে ১৫ রানে ব্যাট করছেন।
মিরাজের চমৎকার বোলিং
আগের দিন নেটে সতীর্থ ব্যাটসম্যানদের ভোগানো মেহেদী হাসান মিরাজ এবার পরীক্ষা নিলেন আফগানিস্তানের ব্যাটসম্যানদের। উইকেট না পেলেও তরুণ অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার এক প্রান্তে টানা করে গেলেন আঁটসাঁট ১০ ওভার। তিনটি মেডেন নিয়ে দিলেন কেবল ২৮ রান।
ক্রিজে দুই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান দেখে মাহমুদউল্লাহকে আক্রমণে আনলেন তামিম ইকবাল। ওয়ানডে অধিনায়কের আস্থার প্রতিদান দিলেন টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক। ফিরিয়ে দিলেন হাশমতউল্লাহ শাহিদিকে।
অফ স্পিনারের শরীরের বেশ কাছের বল কাট করতে চেয়েছিলেন আফগান অধিনায়ক। ঠিক মতো পারেননি, ব্যাটের কানা ছুঁয়ে জমা পড়ে মুশফিকুর রহিমের গ্লাভসে।
৪৩ বলে এক ছক্কা ও তিন চারে ২৮ রান করেন শাহিদি।
বাংলাদেশের বোলারদের আঁটসাঁট বোলিংয়ে রানের জন্য হাঁসফাঁস করছেন আফগানিস্তানের ব্যাটসম্যানরা। মন্থর ব্যাটিংয়ে একশ ছুঁতে তাদের খেলতে হয়েছে ১৬৪ বল।
২৮ ওভারে আফগানিস্তানের রান ৪ উইকেটে ১০২। ক্রিজে নাজিবউল্লাহ জাদরানের সঙ্গী মোহাম্মদ নবি।
দ্বিতীয় স্পেলে দারুণ বোলিং করা তাসকিন আহমেদ পেলেন পুরস্কার। কট বিহাইন্ড হয়ে ফিরে গেলেন থিতু ব্যাটসম্যান রহমত শাহ।
শরিফুল ইসলামের জায়গায় আক্রমণে ফিরে অফ স্টাম্পের বাইরে একটা লাইন ও লেংথ ধরে বোলিং করে যাচ্ছেন তাসকিন। শট খেলতে ভাবতে হচ্ছে ব্যাটসম্যানদের। অন্য প্রান্তে চাপে রেখেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
হয়তো চাপ সরাতেই তাসকিনের বাড়তি বাউন্স করা বলে চালিয়ে দেন রহমত। ব্যাটের কানায় লেগে আসা সহজ ক্যাচ গ্লাভসে নেন মুশফিকুর রহিম। ভাঙে ৫২ বল স্থায়ী ২৩ রানের মন্থর জুটি।
৬৯ বলে তিন চারে ৩৪ রান করেন রহমত।
২২ ওভারে আফগানিস্তানের স্কোর ৩ উইকেটে ৭৯। ক্রিজে অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শাহিদির সঙ্গী নাজিবউল্লাহ জাদরান।
১৭ বল পর রান
ইব্রাহিম জাদরান ফিরে যাওয়ার পরের প্রায় তিন ওভারে কোনো রান পায়নি আফগানিস্তান।
ওপেনারকে আউট করার পরের চার বলে কোনো রান দেননি শরিফুল ইসলাম। পরের দুটি ওভার মেহেদী হাসান মিরাজ ও তিনি নেন মেডেন।
মিরাজের পরের ওভারে দ্বিতীয় বলে প্যাডল সুইপে ২ রান নিয়ে দলের টানা ১৭ বল ডট খেলার ইতি টানেন রহমত শাহ।
১৭ ওভারে আফগানিস্তানের রান ২ উইকেটে ৫৯।
অফ স্টাম্পের বাইরে টানা লেংথে ডেলিভারি দিয়ে যাওয়া বাঁহাতি পেসার শরিফুল ৪ ওভারে দিয়েছেন কেবল ৩ রান। অফ স্পিনার মিরাজ ২ ওভারে দিয়েছেন ৩ রান।
ক্যাচ প্রায় ছুটেই যাচ্ছিল, আরও একবার জীবন প্রায় পেয়েই যাচ্ছিলেন ইব্রাহিম জাদরান। কিন্তু কোনোমতে শেষ পর্যন্ত বল ধরে রাখতে পারলেন ইয়াসির আলি চৌধুরি। নিজের তৃতীয় ওভারে শরিফুল পেলেন উইকেট, ভাঙলেন আফগানিস্তানের প্রতিরোধ।
বাঁহাতি পেসার বেশ ভোগাচ্ছেন ব্যাটসম্যানদের। তার বেরিয়ে যাওয়া বল খেলতে বেগ পেতে হচ্ছে আফগানদের। এমনই একটি বলে ড্রাইভ করার চেষ্টায় স্লিপে ক্যাচ দেন ইব্রাহিম। প্রথম চেষ্টায় ধরতে পারেননি ইয়াসির, তবে হাত ও শরীর দিয়ে কোনোমতে বলের পতন ঠেকান অভিষিক্ত এই ক্রিকেটার। ভাঙে ৬৫ বলে গড়া ৪৫ রানের জুটি।
৩ রানে মাহমুদউল্লাহর হাতে জীবন পাওয়া ইব্রাহিম একটি করে ছক্কা ও চারে ২৩ বলে করেন ১৯।
১৪ ওভারে আফগানিস্তানের রান ২ উইকেটে ৫৬। ক্রিজে রহমত শাহর সঙ্গী হাশমতউল্লাহ শাহিদি।
প্রথম ১০ ওভারে আফগান ব্যাটসম্যানদের ঝড় তুলতে দেননি বাংলাদেশের বোলাররা। এই সময়ে নিতে পেরেছেন একটি উইকেটে, ফিল্ডাররা হাতছাড়া করেছেন সহজ ও কঠিন মিলিয়ে দুটি সুযোগ।
তৃতীয় ওভারে রহমানউল্লাহ গুরবাজকে ফিরিয়ে দেন মুস্তাফিজুর রহমান। তাসকিন আহমেদের করা এর আগের ওভারে আফগান ওপেনারের কঠিন সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি আফিফ হোসেন।
তাসকিনের বলে আসা পরের সুযোগটি ছিল সহজ। ইব্রাহিম জাদরানের ক্যাচ সীমানায় নিতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ। এই ধরনের ক্যাচের জন্যই তাকে রাখা হয়েছিল সেখানে। সময়ও পেয়েছিলেন যথেষ্ট, তবুও বিস্ময়করভাবে তিনি বল মুঠোয় রাখতে পারেননি।
প্রথম ৩ ওভারে দুটি সুযোগ হাতছাড়া হয়ে যাওয়াতেই হয়তো পরের ওভারে একটু এলোমেলো ছিলেন তাসকিন। দুই ওয়াইড এবং ইব্রাহিমের ছক্কা ও চার মিলিয়ে দেন ১৫ রান।
পাওয়ার প্লের শেষ দুটি ওভারে আঁটসাঁট বোলিং করেন সাকিব আল হাসান ও শরিফুল ইসলাম।
১০ ওভারে আফগানদের স্কোর ১ উইকেটে ৪১।
তাসকিনের বলে আবার সুযোগ হাতছাড়া
রহমানউল্লাহ গুরবাজের সুযোগটি ছিল কঠিন। পয়েন্টে কোনোমতে কেবল আঙুল ছোঁয়াতে পেরেছিলেন আফিফ হোসেন। তবে আরেক ওপেনার ইব্রাহিম জাদরানের সুযোগটি ছিল সহজ। ডিপ স্কয়ার লেগে অবিশ্বাস্যভাবে সেটি কাজে লাগাতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ। দুইবারই বোলার ছিলেন তাসকিন আহমেদ।
গতিময় এই পেসারের বল পুল করেন ইব্রাহিম। অনেক সময় পেয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ, কিন্তু একটু এগিয়ে বলের নিচে যাওয়ার চেষ্টা করেননি তিনি। জায়গায় থেকেই শেষ মুহূর্তে শরীর একটু সামনে নিয়ে ক্যাচ নেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু ভারসাম্য হারিয়ে ফেলা অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটার বল মুঠোয় জমাতে পারেননি। ভীষণ ক্ষুব্ধ দেখায় তাসকিনকে।
সে সময় ৩ রানে খেলছিলেন ইব্রাহিম।
৬ ওভারে আফগানিস্তানের স্কোর ১ উইকেটে ২০।
তাসকিন আহমেদের করা আগের ওভারে কঠিন একটি সুযোগ দিয়েও বেঁচে যাওয়া রহমানউল্লাহ গুরবাজ টিকতে পারলেন না। মুস্তাফিজুর রহমানকে ছক্কায় ওড়ানোর চেষ্টায় ফিরে গেলেন মিডঅনে ক্যাচ দিয়ে। তৃতীয় ওভারে ভাঙল আফগানিস্তানের উদ্বোধনী জুটি।
মিডল স্টাম্পে ফেলে ভেতরে ঢোকানোর চেষ্টা করেছিলেন মুস্তাফিজ। সেই চেষ্টায় খুব একটা সফল হতে পারেননি তিনি। পিচে পড়ে সোজা যাওয়া বল বেরিয়ে এসে গায়ের জোরে লেগে উড়িয়ে খেলার চেষ্টায় সফল হননি গুরবাজ। অনেক উঁচুতে উঠে যাওয়া ক্যাচ মুঠোয় জমান তামিম ইকবাল।
১৪ বলে ১ চারে ৭ রান করেন গুরবাজ।
৩ ওভারে আফগানিস্তানের রান ১ উইকেটে ১২। ক্রিজে ইব্রাহিম জাদরানের সঙ্গী রহমত শাহ।
আফগান একাদশে ফিরলেন ইব্রাহিম-নবি
নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে খেলা সবশেষ দল থেকে বেশ কিছু পরিবর্তন এনেছে আফগানিস্তান। সেই ম্যাচে ফিফটি করা রিয়াজ হাসানের জায়গায় ফিরেছেন ওপেনার ইব্রাহিম জাদরান।
অনুমিতভাবে একাদশে ফিরেছেন অভিজ্ঞ অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নবি। মুজিব উর রহমান, ফজলহক ফারুকিসহ কয়েক জনের আছে সদ্য সমাপ্ত বিপিএলে খেলার অভিজ্ঞতা।
আফগানিস্তান দল: রহমানউল্লাহ গুরবাজ, ইব্রাহিম জাদরান, হাশমতউল্লাহ শহিদি (অধিনায়ক), রহমত শাহ, নাজিবউল্লাহ জাদরান, মোহাম্মদ নবি, গুলবাদিন নাইব, রশিদ খান, ফজলহক ফারুকি, মুজিব উর রহমান, ইয়ামিন আহমদজাই।
ইয়াসিরের অভিষেক
পাঁচ নম্বরে ব্যাটিংয়ের জন্য বিবেচনায় ছিলেন দুই জন। আপাতত মাহমুদুল হাসান জয়কে অপেক্ষা করতে হচ্ছে। অনেক দিন ধরে জাতীয় দলের সঙ্গে থাকা ইয়াসির আলি পেয়েছেন প্রথম সুযোগ। তিনটি টেস্ট খেলা এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানের অভিষেক হচ্ছে ওয়ানডেতে।
সবশেষ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ খেলা দলে অনেক পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ। স্বাভাবিকভাবেই তাই পরিবর্তন আছে একাদশেও।
তিন পেসারের সঙ্গে দুই স্পিনিং অলরাউন্ডার নিয়ে আক্রমণ সাজিয়েছে বাংলাদেশ। সাতে খেলবেন আফিফ হোসেন।
বাংলাদেশ একাদশ: তামিম ইকবাল (অধিনায়ক), লিটন কুমার দাস, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, ইয়াসির আলি চৌধুরি, মাহমুদউল্লাহ, আফিফ হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, মুস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম।
সিরিজের প্রথম ম্যাচে টস ভাগ্যকে পাশে পেলেন না তামিম ইকবাল। টস জিতে আফগানিস্তান অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শাহিদি নিলেন ব্যাটিং।
অস্বস্তিকর প্রতিপক্ষ
জিতলে খুব বেশি প্রশংসা মিলবে না, তবে হারলে সইতে হবে তীব্র সমালোচনা। এই পরিস্থিতি সব সময়ই যে কোনো দলের জন্য চাপের। আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের ম্যাচ যেন ঠিক তাই। তবে সিরিজ শুরুর আগের দিন আত্মবিশ্বাসী শোনাল অধিনায়ক তামিম ইকবালের কণ্ঠ। অনুশীলনে দেখা গেল চনমনে এক দলকে। যারা নিজেদের প্রিয় সংস্করণে সাফল্যের ধারা ধরে রাখতে প্রত্যয়ী।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে প্রথম ওয়ানডে শুরু হবে সকাল ১১টায়।
আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ সুপার লিগে এটি বাংলাদেশের ত্রয়োদশ ম্যাচ, আফগানিস্তানের সপ্তম। ১২ ম্যাচের আটটিতে জিতে ৮০ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে রয়েছে তামিমের দল। ছয় ম্যাচের ছয়টিতেই জিতে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে আফগানিস্তান।
তাদের জয়রথ থামাতে ঠিক মতো সামলাতে হবে স্পিন ত্রয়ী রশিদ খান, মোহাম্মদ নবি ও মুজিব উর রহমানকে। বাংলাদেশের বিপক্ষে বেশ সফল এই তিন স্পিনারই। তাদের উপস্থিতিতে তামিমের চোখে আফগানদের স্পিন আক্রমণ এই মুহূর্তে হয়তো বিশ্বসেরা। তবে নিজেদের ঠিকমতো প্রয়োগ করতে পারলে ৫০ ওভারের ক্রিকেটে তাদের সামলানো খুব কঠিন ভাবছেন না বাংলাদেশ অধিনায়ক।
আফগানিস্তান কেবল এই তিন জনের দলই নয়। ম্যাচ ঘুরিয়ে দেওয়ার সামর্থ্য আছে আরও কয়েকজনের। বাংলাদেশ অধিনায়ক জানালেন, প্রতিপক্ষের সবার জন্যই তারা প্রস্তুত। তিন স্পিনারকে বাড়তি গুরুত্ব দিতে গিয়ে ভুলে যাচ্ছেন না অন্যদের কথা।