সত্যিকারের পেসারদের মতোই বল গ্রিপ পরে ছুটলেন তিনি। রান আপ অবশ্য পেসারদের মতো নয়। কয়েক পা দৌড়েই করলেন পেস বোলিং। বোলিং অ্যাকশনও স্পিনের চেয়ে আলাদা। ডেলিভারি স্ট্রাইড একেক সময় দেখা গেল একেকরকম। কখনও সেখানে ওয়াসিম আকরাম, কখনও ওয়াহাব রিয়াজের ছায়া!
পেস বোলার সাকিবের দ্বিতীয় ডেলিভারিই ঠিকমতো খেলতে পারলেন না আফিফ। বল তার ব্যাটের কানায় লেগে গেল উইকেটের পেছনে। সাকিবের উল্লাস দেখে কে! দুই হাত উঁচিয়ে উইকেট উদযাপন শুরু করলেন। কিন্তু আফিফ বলে উঠলেন, ‘আউট কিসের? বল তো স্লিপ দিয়ে চলে যাচ্ছিল।’ সাকিবও কম যান না, “আরে আমি তো স্লিপ রেখেই বোলিং করছি, তিনটি স্লিপ!”
আফিফ এবার আর কথা বাড়ান না। মন দেন পরের ডেলিভারি খেলায়।
সাকিবের পেস বোলিং চলতে থাকে। তবে কমতে থাকে বলের গতি। ‘পেস হচ্ছে না, একটু সামনে থেকে বোলিং করি’, এই বলে তিনি বোলিং ক্রিজ ছাড়িয়ে আরেকটু সামনে থেকে বোলিং করতে থাকলেন। সঙ্গে ডমিঙ্গোর থ্রো ডাউন তো চলছিলই। হাসিমুখে একটু দূর থেকে সাকিবের পেস বোলিং দেখছিলেন ব্যাটিং কোচ জেমি সিডন্স।
দুই ওভারের মতো পেস বোলিং করার পর কিছুটা ক্ষান্তি দেন সাকিব। একটু পর সেই নেটে আসেন মাহমুদউল্লাহ। তাকে অবশ্য স্পিন বোলিংই করেন সাকিব।
দারুণ ফর্মে থেকে এবার আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ খেলতে নামছেন সাকিব। সদ্যসমাপ্ত বিপিএলে টানা পাঁচ ম্যাচে ম্যান অব দা ম্যাচ হয়ে তিনি গড়েন বিশ্বরেকর্ড। পরে স্বীকৃতি পান সিরিজ সেরা। বাংলাদেশের সবশেষ ওয়ানডে সিরিজেও গত জুলাইয়ে জিম্বাবুয়ে সফরে তিনি হয়েছিলেন ম্যান অব দা সিরিজ।