যে কোনো ব্যাটিং লাইনআপকে পরীক্ষায় ফেলতে পারেন মুজিব, রশিদ ও নবি। বাংলাদেশের বিপক্ষেও বেশ সফল তারা।
৮ ম্যাচে অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার নবির উইকেট ১২টি, সেরা ৩/৪৪। লেগ স্পিনার রশিদের ৬ ম্যাচে উইকেট ১০টি, সেরা ৩/৩৫। রহস্য স্পিনার মুজিবের ৩ ম্যাচে উইকেট ৬টি, সেরা ৩/৩৯। তিন জনই রান দিয়েছেন ওভার প্রতি চারের কম।
সদ্য সমাপ্ত বিপিএলে মুজিব দেখিয়েছেন সাদা বলে কতটা কার্যকর তিনি। ফরচুন বরিশালে তার সতীর্থ সাকিব আল হাসান একবার বলেছিলেন, মুজিব দলে থাকা মানে প্রতিপক্ষের জন্য চার ওভার কমে যাওয়া।
এবার সেই মুজিবের সঙ্গে রশিদ ও নবির চ্যালেঞ্জ ওয়ানডেতে সামলাতে হবে বাংলাদেশের। হিসেব করে ব্যাট করতে হবে তাদের ৩০ ওভারে। ম্যাচের আগের দিন মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে তামিমের কণ্ঠে অবশ্য আত্মবিশ্বাসী সুর।
“আমি কখনও একজন নির্দিষ্ট বোলারকে নিয়ে বেশি কথা বলতে চাই না। যেটা বললাম, নিঃসন্দেহে উঁচু মানের বোলিং আক্রমণ। সম্ভবত সেরা স্পিন অ্যাটাক তাদেরই। কিন্তু এদের বিপক্ষেই আমরা আগে খেলেছি এবং খুব ভালো করেছি, বিশেষ করে ওয়ানডে সংস্করণে। আবার কেন করতে পারব না? না পারার কোনো কারণ নেই, স্রেফ নিজেদের ঠিকঠাক প্রয়োগ করতে হবে।”
আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ সুপার লিগে ছয় ম্যাচ জিতে অপরাজিত থেকে খেলতে এসেছে আফগানিস্তান। স্পিন ত্রয়ীর বাইরেও তাদের এমন খেলোয়াড় আছেন যারা ম্যাচ ঘুরিয়ে দিতে পারেন। তামিম জানালেন, গত দুয়েক দিন ধরে এসব নিয়ে চলছে তাদের আলোচনা।
“প্রতিপক্ষ নিয়ে না ভেবে নিজেদের নিয়ে ভাবতে হবে, আমরা কীভাবে অ্যাপ্রোচ করব, কি পরিকল্পনায় ওদের খেলব। আপনারা তিনজনের নাম বলেছেন, কিন্তু আফগানদের বোলিং করতে হবে ৫০ ওভার। বাকি যে দুইজন বল করবে তারাও ভালো। শুধু তিনজনকে নিয়ে চিন্তা করলেই হবে না… আমাদের মানিয়ে নিয়ে নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে হবে।”
“ওদের ১০টা উইকেটও নিতে হবে আমাদের (বোলারদের)। ৫০ ওভারে ওদের ৫-৬ জন বোলার বোলিং করবে। সবকিছু নিয়ে ভাবতে হবে। আমরা জানি, আমাদের বিপদের কারণ কী কী হতে পারে, কোন কোন জায়গায় কীভাবে পরিকল্পনা করব।… এখানে বসে আমি যত কিছুই বলে দেই না কেন, মাঠে এটা করতে না পারলে কোনো লাভ হবে না। আমাদের বাস্তবায়ন করতে হবে ভালোভাবে। আর তা করার সামর্থ্য আমাদের আছে। আমরা আগেও তা পেরেছি আবারও না পারার কোনো কারণ নেই।”