এটি স্রেফ একটি মুহূর্ত। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার মিরাজের নেট বোলিং সেশনে এমন মুহূর্ত এলো বারবার। ব্যাটিংয়ে তামিম ইকবাল থাকুক কিংবা লিটন কুমার দাস, ইয়াসির আলি চৌধুরি আসুক বা মাহমুদউল্লাহ, কেউই কোনো ছাড় পেলেন না মিরাজের সামনে।
তামিমের ব্যাটিংয়ের সময়ই যেমন, মিরাজের সঙ্গে লড়াই জমে উঠল তুমুল। একেকটি রানের হিসাব নিয়ে দুজনের বচসা থামেই না!
মাঠের বিভিন্ন পজিশনে কল্পিত ফিল্ডার সাজিয়ে বোলিং করছিলেন মিরাজ। তামিম একটি ড্রাইভ করলেন বোলারের পাশ দিয়ে, দাবি করলেন সিঙ্গেল হয়েছে। মিরাজ তাতে সায় দেন না, “এটা আমি ধরে ফেলব মাঠে।” তামিম মিড উইকেটে বল ঠেলে বললেন দুই রান। মিরাজ এক রানের বেশি দেবেনই না!
একটি বল লাগল লিটনের প্যাডে। মিরাজ যথারীতি আঙুল তুলে আউট দেখিয়ে উদযাপন সেরে ফেললেন। লিটন বললেন, বল চলে যেত লেগ স্টাম্পের বাইরে। মিরাজ নাছোড়বান্দার মতো নিজের দাবিতে অটল!
লম্বা নেট সেশনে এভাবে প্রতিটি বলেই যেন নিজের সবটুকু উজাড় করে দিচ্ছিলেন তিনি। বোলিং করছিলেনও দারুণ। কেবল ইয়াসিরের সামনেই কিছুটা খেই হারালেন তিনি। তবে সেখানেও একটি বলে মার খেয়ে পরের বলে চেষ্টা করলেন ইয়াসিরকে ফাঁদে ফেলতে। অল্পের জন্য সফল হলো না তা। মাথায় হাত দিয়ে তখন এমনভাবে বসে রইলেন কিছুক্ষণ যেন ম্যাচে কোনো বড় উইকেট ফসকে গেল অল্পের জন্য!
নেট সেশনে কম-বেশি মনোযোগী থাকেন সব ক্রিকেটারই। তবে ম্যাচের মতো একই গুরুত্ব দেওয়া, একই ‘ইনটেনসিটি’ ধরে রাখা তো সম্ভব নয়। তবে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে মিরাজ বললেন, তার চেষ্টা থাকে প্রতিটি নেট সেশনেই ম্যাচের আবহে নিজেকে মেলে ধরার।
“নেটে আপনি যেরকম করবেন, ম্যাচেও সেরকম হবে। প্র্যাকটিস ও প্রস্তুতি খুব জরুরি। বিশ্বমানের ক্রিকেটার যারা, সবসময় ম্যাচের মতো ইনটেনসিটি দিয়েই নেট সেশন করে। অনেক বড় বড় ক্রিকেটারের কাছ থেকেই এটা শুনেছি। এমনকি আমাদের বড় ক্রিকেটাররাও, তামিম ভাই দেখুন কত সিরিয়াস থাকে।”
“নেটেও তাই চ্যালেঞ্জটা নিতে চাই। মাথার ভেতর একটা ম্যাচ পরিস্থিতির মতো চলতে থাকে। ভাবনায় সাজানো থাকে কোথায় ফিল্ডার আছে। ম্যাচের মতোই ছাড় দিতে চাই না।”