তাই এই মৌসুমে ঘরের মাঠে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজের শেষ ম্যাচটা হয়তো খেলে ফেলেছেন ৩২ বছর বয়সী পেসার। আইপিএলে চুক্তিবদ্ধ হওয়ায় মার্চের শেষ দিকে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে তাকে পাওয়ার সম্ভাবনা কম।
তৃতীয় সন্তানের জন্মের সময় স্ত্রীর পাশে থাকতে ক্রাইস্টচার্চে প্রথম টেস্টের স্কোয়াডে ছিলেন না বোল্ট। ছুটি কাটিয়ে দ্বিতীয় টেস্টে তিনি ফিরবেন বলে ধারণা করা হচ্ছিল।
গত জানুয়ারিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের পর জাতীয় দলে আর কোনো ম্যাচ তিনি খেলেননি। এরপর ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলেছেন কেবল দুটি টি-টোয়েন্টি। যার সবশেষটি গত ২৪ জানুয়ারি।
সংবাদ সম্মেলনে সোমবার নিউ জিল্যান্ড কোচ গ্যারি স্টেড বললেন, বোল্টকে নিয়ে কোনোরকম ঝুঁকি তারা নিতে চান না।
“সে এখন (টেস্টে) বোলিংয়ের ভার নেওয়ার মতো অবস্থায় নেই। তার স্ত্রীর সন্তান হওয়ার সময় থেকে সে ক্রিকেট খেলা ও বোলিং করার অনেক সুযোগ হাতছাড়া করেছে। আমরা মনে করছি, এই মুহূর্তে তাকে খেলানো অনেক বেশি ঝুঁকির হয়ে যায়।”
প্রথম টেস্টের ১৫ সদস্যের স্কোয়াড দ্বিতীয় টেস্টে অপরিবর্তিত রেখেছে নিউ জিল্যান্ড। অর্থাৎ বিশেষজ্ঞ স্পিনার এজাজ প্যাটেলকে থাকতে হচ্ছে বাইরেই। যদিও চোট কাটিয়ে এখনও প্লাঙ্কেট শিল্ডের ম্যাচে ফিরতে পারেননি তিনি। আর দ্বিতীয় টেস্টে কন্ডিশন খুব বেশি পরিবর্তন হবে না বলেও মনে করছেন স্টেড। প্রথম টেস্টে দুই ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৯৫ ও ১১১ রানে গুটিয়ে দিতে বড় ভূমিকা ছিল কিউই পেসারদের।
বোল্ট না ফেরায় দ্বিতীয় টেস্টেও টিকে যাচ্ছেন প্রথম ম্যাচে জয়ের নায়ক ম্যাট হেনরি। ওই ম্যাচে প্রথম ইনিংসে ক্যারিয়ার সেরা ২৩ রানে ৭ উইকেটসহ ম্যাচে তার প্রাপ্তি ৯ উইকেট। ইনিংস ও ২৭৬ রানে জিতে দুই ম্যাচের সিরিজে এগিয়ে আছে নিউ জিল্যান্ড।
আগামী শুক্রবার প্রথম টেস্টের ভেন্যু ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলি ওভালেই শুরু হবে দ্বিতীয় টেস্ট।