দ্রাবিড় বলেছেন অবসর নিতে, ঋদ্ধিমানের আঙুল সৌরভের দিকে

মাস তিনেক আগে স্বয়ং বোর্ড প্রধান আশ্বাস দিয়েছিলেন সবসময় পাশে থাকার। অথচ ঋদ্ধিমান সাহা এখন ভারতের টেস্ট দলের বাইরে। এমনকি কোচ রাহুল দ্রাবিড় পরামর্শ দিয়েছেন অবসর নিয়ে নিতে। এত দ্রুত কীভাবে পরিস্থিতি বদলে গেল, সমীকরণই মেলাতে পারছেন না ৩৭ বছর বয়সী কিপার-ব্যাটসম্যান।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 Feb 2022, 04:40 AM
Updated : 20 Feb 2022, 10:07 AM

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আগামী মাসের টেস্ট সিরিজের জন্য ভারতের টেস্ট স্কোয়াডে রাখা হয়নি ঋদ্ধিমানকে। মূল কিপার-ব্যাটসম্যান রিশাভ পান্তের সঙ্গে বিকল্প হিসেবে রাখা হয়েছে শ্রিকার ভারতকে।

দল ঘোষণার পর ঋদ্ধিমানকে বাদ দেওয়ার সুনির্দিষ্ট কারণ খোলাসা করেননি প্রধান নির্বাচক চেতন শর্মা। তিনি স্রেফ জানান সামনে তাকানোর কথা।

“কোন কারণে তাকে বাদ দেওয়া হয়েছে, তা বলব না। এটা শুধুমাত্র নির্বাচকদের ব্যাপার। শুধু এটুকু বলতে পারি, তাকে আগে থেকেই জানানো হয়েছিল।”

“বয়সের ব্যাপারটিতে আমরা খুব একটা গুরুত্ব দেই না। তবে একটা পর্যায়ে নির্বাচকরা সেটা ভাবতে শুরু করে, যখন তরুণরা আশেপাশে থাকে এবং তাদেরকে সুযোগ দিতে চায়।”

আগে থেকে জানানোর ব্যাপারটি স্বীকার করছেন ঋদ্ধিমানও। তবে কলকাতায় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, বাদ পড়ার কারণ বুঝতে পারছেন না।

“হ্যাঁ, টিম ম্যানেজমেন্ট আমাকে আগেই বলেছিল যে আমাকে বিবেচনায় নেওয়া হবে না। এতদিন তা বলতে পারিনি, কারণ ভারতীয় দলের সেটআপে ছিলাম। এমনকি কোচ রাহুল দ্রাবিড় পরামর্শ দিয়েছিলেন অবসর নিয়ে ভাবতে।”

“গত নভেম্বরে যখন নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে কানপুরে ব্যথানাশক ট্যাবলেট খেয়ে ৬১ রানের ইনিংস খেললাম, তখন দাদি (সৌরভ গাঙ্গুলিকে এই নামেই ডাকেন বাংলার ক্রিকেটাররা) আমাকে হোয়াটসঅ্যাপে অভিনন্দন জানিয়েছিল। এটাও বলেছিলেন যে, তিনি যতদিন বোর্ডের ক্ষমতায় আছেন, আমার কোনো সমস্যা হবে না। বোর্ড প্রধানের কাছ থেকে এমন কথা শুনে আত্মবিশ্বাস বেড়ে গিয়েছিল। কিন্তু বুঝতে পারছি না, সবকিছু এত দ্রুত কীভাবে বদলে গেল।”

দ্রাবিড়ের পরামর্শ নাকি সৌরভের কথা রাখতে না পারা, কোনটি বড় ধাক্কা হয়ে এসেছে, এই প্রশ্নে ঋদ্ধিমান সরাসরি কাঠগড়ায় তুললেন কলকাতার মহারাজকেই।

“অবশ্যই দাদির ব্যাপারটা বেশি আঘাত দিয়েছে। কারণ দাদি নিজে থেকেই ম্যাসেজ পাঠিয়েছিল। কিন্তু এরপর এমন ব্যবহার পেলাম। আজীবন কেউ খেলবে না। কিন্তু কাউকে বিদায় জানানোর একটা পদ্ধতি তো আছে। আমি এতটাও খারাপ পারফরম্যান্স করিনি যে আমাকে একেবারে তাড়িয়ে দেবে!”