মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুক্রবার বিপিএলের অষ্টম আসরের ফাইনালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের মুখোমুখি হবে ফরচুন বরিশাল।
কোচ হিসেবে নিজের দ্বিতীয় শিরোপার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় মাহমুদ। ফাইনালের আগের দিন দলের অনুশীলন শেষে সংবাদ সম্মেলনে নিজের বিশেষ এই চাওয়ার কথা জানান অভিজ্ঞ এই কোচ।
“(গেইল টুর্নামেন্টে রান পায়নি) আমি এক দিক থেকে খুশি এটাতে। কারণ, স্থানীয় ছেলেরা ভালো খেলছে। এটা আমার জন্য বিরাট একটা ব্যাপার। সাকিব ওর নিজের মতো করে পারফরম করেনি গত দুইটা ম্যাচে; কিন্তু মুনিম, শফিকুল ইসলাম, মেহেদি রানা যেভাবে পারফরম করেছে তাতে আমি খুব খুশি।
“জানি না, গেইল-ব্রাভোদের পারফরম্যান্স কালকের জন্যই রয়ে গেছে কি না। ওরা তো বড় খেলোয়াড়। একটা কথা আছে, বড় খেলোয়াড়রা বড় ম্যাচে জ্বলে ওঠে। আশা করি, ক্রিস কিংবা মুজিব বড় ম্যাচেই জ্বলে উঠবে। ব্রাভো তো ভালো করছেই। যদি স্থানীয়রা পারফরম করে আর সেটাতে যদি আমরা জিতি, তাহলে আমি বেশি আনন্দ পাব। আমাদের তরুণরা বেশি ভালো করলে আমি বেশি খুশি হব।”
এবারই প্রথম বিপিএলে খেলছেন তরুণ ওপেনার মুনিম ও পেসার শফিকুল। মেহেদি রানার অবশ্য আগে এই টুর্নামেন্টে খেলার অভিজ্ঞতা আছে। তবে তিনজনই এই প্রথম খেলবেন ফাইনালে।
সাকিব ও মুজিবের আট ওভারে রানের জন্য হাঁসফাঁস করা ব্যাটসম্যানরা হাত খোলার জন্য বেছে নিতেন মেহেদি রানা কিংবা শফিকুলদের। অমন চাপের মধ্যে দুই বাঁহাতি পেসার যে বোলিং করেছেন তাতে মুগ্ধ মাহমুদ। মেহেদি রানা ৬ ইনিংসে নিয়েছেন ১০ উইকেট। শফিকুল ৭ ইনিংসে নিয়েছেন ৮ উইকেট। দুই জনই ওভার প্রতি দিয়েছেন আটের একটু বেশি রান।
ফাইনালে তাদের কাছ থেকে নজরকাড়া পারফরম্যান্স চান মাহমুদ।
“অনেকের জন্য এটা প্রথম বিপিএল। মুনিমের মতো অনেকের হয়তো প্রথম ফাইনাল। কারো যেন ওই চাপটা না থাকে। ওরা যেন চাপমুক্ত থেকে নিজেদের সেরা ক্রিকেটটা খেলতে পারে।”
“মেহেদি রানা এর আগে আমার কোচিংয়ে আবাহনীতে খেলেছে। ও পুরান বলে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে এসে ভালো বোলিং করছে। নতুন বলের বোলার হয়েও পুরান বলে ভালো করছে। মেহেদি রানা ও শফিকুলের নিজ নিজ শক্তির জায়গা আছে। আমি চাই, ওরা সেখানটায় উন্নতি করে যাক।”