বিদেশি ক্রিকেটার সংগ্রহে এবার দারুণ চমক দেখায় কুমিল্লা। প্লেয়ার্স ড্রাফটের আগেই তারা নিশ্চিত করে ফেলে বিশ্ব ক্রিকেটের তিন তারকা ফাফ দু প্লেসি, সুনিল নারাইন ও মইন আলিকে।
নারাইন তো গত এত যুগ ধরেই ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত ক্রিকেটারদের একজন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দক্ষিণ আফ্রিকাকে নেতৃত্ব দিয়ে ও স্মরণীয় কিছু পারফরম্যান্স উপহার দিয়ে দু প্লেসি এখন মাতাচ্ছেন ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট। গত আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংসের শিরোপা জয়ে তার ছিল বড় অবদান। চেন্নাইয়ের সাফল্যে দু প্লেসির সঙ্গী ছিলেন মইনও। টেস্ট থেকে বিদায় নিলেও সীমিত ওভারে তিনি এখনও ইংল্যান্ডের বড় ভরসা, পাশাপাশি খেলছেন নানা দেশের লিগে।
বিপিএলে এবার কুমিল্লার ফাইনালে ওঠায় এই তিনজনই অবদান রেখেছেন নানা ম্যাচে। তবে এমন তিনজন ক্রিকেটারের কাছে তো প্রত্যাশার গণ্ডি স্রেফ ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সেই সীমাবদ্ধ থাকে না!
ফাইনালের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে কোচ সালাউদ্দিন বললেন, মাঠের বাইরে এই তিনজন প্রত্যাশাকেও ছাড়িয়ে গেছেন।
“এ বছর আমি খুবই সন্তুষ্ট বিদেশি ক্রিকেটারদের নিয়ে। প্রথমে আমরা ভেবেছিলাম যে, তারা অনেক বড় ক্রিকেটার, আমাদের ছেলেদের সঙ্গে কীভাবে মিশবে, না মিশবে… আমরা এতটা আশাও করিনি যে তারা আমাদের পরিবারের মতো হয়ে যাবে। ফাফ বলেন, সুনিল (নারাইন) বা মইন আলি, তাদের কাছ থেকে আমাদের ছেলেরা (অনেক শিখছে)…।”
“আগে তো দেখা যেত যে টুর্নামেন্ট শেষে তারা কথা বলত। এবার প্রথম থেকেই ছেলেরা তাদের কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার চেষ্টা করেছে। যে জিনিসটা আমার কাছে মনে হয়, বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য অনেক ইতিবাচক।”
বিদেশিদের কাছ থেকে শেখার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের, বিশেষ করে তরুণ ও জাতীয় দলের বাইরের ক্রিকেটারদের নানারকম জড়তা কাজ করে। এখানেই এবার দু প্লেসি, নারাইনদের কৃতিত্ব আরও বেশি দেখছেন সালাউদ্দিন।
“আমাদের ছেলেরা একটু অন্তর্মুখি। কথা বলতে চায় না। বিশেষ করে, ভাষার কারণে। ভাষার সীমাবদ্ধতার কারণে তারা হয়তো কাছে যেতে চায় না। কিন্তু ফাফ, সুনিল, মইনরা নিজে থেকেই এসে ছেলেদের সঙ্গে কথা বলেছে, শিখিয়েছে। এটা আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে।”
“আমরা টুর্নামেন্ট জিততে পারি বা না পারি, ছেলেরা তাদের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখতে পেরেছে। সেটা আমার কাছে বেশি ইতিবাচক মনে হয়েছে।”