সাকিবের পেটের পীড়ার জন্য অবশ্য ফরচুন বরিশাল অধিনায়কের মাঠের বাইরের একটি কাজ করে দিতে হয়েছে কিপার-ব্যাটসম্যান সোহানের। ট্রফি নিয়ে দুই অধিনায়কের ফটো সেশনে সাকিবের অনুপস্থিতিতে তিনিই ছিলেন দলের প্রতিনিধি।
ব্যাট হাতে সময়টা ভালো যাচ্ছে না সোহানের। সেই প্রসঙ্গে বলতে গিয়েই তিনি টেনে আনেন সাকিবের কথা।
“সত্যি বলতে সাকিব ভাই খুব ভালো ফর্মে আছেন। একাই উনি ২-৩ জনের কাজ করে দিচ্ছেন। যেটা আমাদের দলের জন্য দারুণ কাজে লাগছে।”
দলকে ফাইনালে নেওয়ার পথে ১০ ইনিংসে তিন ফিফটিতে ২৭৭ রান করেছেন সাকিব। সর্বোচ্চ অপরাজিত ৫১। রান করেছেন ১৪৫.৭৮ স্ট্রাইক রেটে।
বাঁহাতি স্পিনে ১৩.৬৩ গড়ে নিয়েছেন ১৫ উইকেট। ওভার প্রতি দিয়েছেন কেবল ৫.১৩ রান। আসরে সর্বাধিক উইকেট নেওয়া ১০ বোলারের মধ্যে কেবল তারই ইকোনমি ছয়ের নিচে।
টানা পাঁচ ম্যাচে সেরা খেলোয়াড়ের শিরোপা জেতার পথে প্রশংসার জোয়ারে বারবার ভেসেছেন সাকিব। সিলেটে একটি সংবাদ সম্মেলনে তরুণ সতীর্থ মুনিম শাহরিয়ার তাকে বলেছিলেন সুপারম্যান।
সাকিবকে অনেক ভালো করে চেনেন ফাইনালের প্রতিপক্ষ কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। জাতীয় দলের দীর্ঘ দিনের সতীর্থের সঙ্গে শিরোপা লড়াই উপভোগ করার কথা জানালেন তিনি।
“সাকিব তো বাংলাদেশ দলের অধিনায়কত্ব করেছে, ওর অভিজ্ঞতা আরও বেশি। ও মাঠের ভেতরে অনেক ‘প্রো-অ্যাক্টিভ’ থাকে, আমিও চেষ্টা করছি, যেহেতু এটা আমার বিপিএলে তৃতীয়বার অধিনায়কত্ব।”
ফটোসেশনে সাকিব না থাকায় একটু হতাশা আছে ইমরুলের। জানালেন, শুক্রবারের ফাইনালে বাঁহাতি অলরাউন্ডারকে মাঠে দেখতে আশাবাদী তিনি।
“সাকিব এলে আরেকটু ভালো লাগতো। জিনিসটা ভালো হতো কারণ সে একটা দলের অধিনায়ক। যেহেতু তার স্বাস্থ্যগত ইস্যু, আজকে শুনলাম তার পেটের পীড়া, তাই আসতে পারেনি। অসুবিধা নাই, কালকের ম্যাচে তো আমাদের দুজনের দেখা হবে আবার।”