গত মাসের পারফরম্যান্সের ওপর ভিত্তি করে দেওয়া এই সম্মাননা জেতা ক্রিকেটারের নাম সোমবার প্রকাশ করেছে বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্তা সংস্থা। মেয়েদের মাস সেরা হয়েছেন ইংল্যান্ডের হিদার নাইট।
জানুয়ারিতে ঘরের মাঠে ভারতকে তিন ম্যাচের সিরিজে ২-১ ব্যবধানে হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথম টেস্ট হেরে পিছিয়ে পড়া দলকে ঘুরে দাঁড়াতে বড় অবদান রাখেন পিটারসেন। ৬ ইনিংসে ৪৬ গড়ে সর্বোচ্চ ২৭৬ রান করে ডানহাতি এই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান জেতেন সিরিজ সেরার পুরস্কার। এই পারফরম্যান্স তাকে এবার এনে দিল মাস সেরার স্বীকৃতিও।
এই পুরস্কার জেতার হাতছানি ছিল ইবাদতের সামনেও। গত মাসে নিউ জিল্যান্ডে বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট জয়ে এই পেসারের ছিল বড় ভূমিকা। মাউন্ট মঙ্গানুইয়ের ওই ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে দুর্দান্ত বোলিংয়ে তিনি একাই ম্যাচ ঘুরিয়ে দেন বাংলাদেশের দিকে। ২১ ওভারে ৬ মেডেন নিয়ে ৪৬ রানে নেন ৬ উইকেট; দেশের বাইরে বাংলাদেশের যা সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড।
দুই ম্যাচের সিরিজে ৯ উইকেট নিয়ে ইবাদত জায়গা করে নিয়েছিলেন মাস সেরার সংক্ষিপ্ত তালিকায়। এর আগে বাংলাদেশ থেকে এই তালিকায় ছিলেন সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম ও নাসুম আহমেদ।
গত অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে অলরাউন্ড নৈপুণ্যে মাস সেরার লড়াইয়ে জায়গা করে নেন ব্রেভিস। ব্যাটিংয়ের ধরনে এবি ডি ভিলিয়ার্সের সঙ্গে অবিশ্বাস্য মিলের কারণে তাকে ডাকা হয় ‘বেবি এবি’ নামে। তবে সে কারণেই শুধু নয়, পারফরম্যান্স দিয়েও নিজেকে বিশ্ব ক্রিকেটে চিনিয়েছেন তিনি।
যুব বিশ্বকাপে রানের রেকর্ড গড়েন দক্ষিণ আফ্রিকার তুমুল প্রতিভাবান এই ১৮ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান। ৬ ইনিংসে ৮৪.৩৩ গড়ে ৫০৬ রান করে পেছনে ফেলেন ২০০৪ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে ভারতীয় ব্যাটসম্যান শিখর ধাওয়ানের ৮৪.১৬ গড়ে করা ৫০৫ রানের আগের রেকর্ড।
শ্রীলঙ্কার চামারি আতাপাত্তু, ওয়েস্ট ইন্ডিজের ডিয়ান্ড্রা ডটিনকে পেছনে ফেলে মাস সেরার স্বীকৃতি জিতেছেন ইংলিশ অধিনায়ক নাইট। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অ্যাশেজে একমাত্র টেস্টে ২১৬ রান করেন তিনি। এর মধ্যে প্রথম ইনিংসে খেলেন অপরাজিত ১৬৮ রানের ইনিংস, যা মেয়েদের টেস্ট ক্রিকেটে কোনো অধিনায়কের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।
আইসিসির ভোটিং একাডেমি ও ক্রিকেট সমর্থকদের যৌথ ভোটে নির্বাচন করা হয় মাসের সেরা দুই ক্রিকেটার। ভোটিং একাডেমিতে আছেন জ্যেষ্ঠ ক্রীড়া সাংবাদিক, সাবেক ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকাররা। তারা ভোট দেন ই-মেইলে, আইসিসির নিবন্ধিত সমর্থকদের ভোট দিতে হয় আইসিসির ওয়েবসাইটে।
সেরার রায়ে ভোটিং একাডেমির ভোট বিবেচনায় নেওয়া হয় শতকরা ৯০ ভাগ, সমর্থকদের ভোট বাকি ১০ ভাগ।