বিপিএলের এলিমিনেটর ম্যাচে সোমবার মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে ওয়ালটন খেলেন ৪৪ বলে অপরাজিত ৮৯ রানের ইনিংস। প্রিমিয়ার ব্যাংক খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে চট্টগ্রাম পায় ১৮৯ রানের পুঁজি।
ম্যাচ শুরুর আগেই বড় ধাক্কা আসে চট্টগ্রামের জন্য। যার ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের জোরে এই পর্যায়ে আসতে পেরেছে তারা, সেই উইল জ্যাকস অসুস্থ হয়ে পড়েন মাঠে আসার ঠিক আগে। তবে তার অভাব যেন বুঝতেই দিলেন না ওয়ালটন।
জ্যাকসের মতো অবশ্য ইনিংস শুরু করেননি ওয়ালটন। তৃতীয় ওভারে যখন ব্যাটিংয়ে আসেন তিনি, চট্টগ্রাম তখন ২ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে ১৬ রানেই। পরে থিতু হয়ে যাওয়া কেনার লুইস ও শামীম হোসেনও বিদায় নিলে দল পড়ে যায় চাপে।
ওয়ালটন তখন পর্যন্ত বেশ শান্ত। ১১ ওভার শেষে চট্টগ্রামের রান ৪ উইকেটে ৭১। এরপরই অশান্ত হয়ে ওঠেন ওয়ালটন।
অফ স্পিনার মেহেদি হাসানের ফুল টস চার মারার পরের বলে বেরিয়ে এসে বোলারের মাথার ওপর দিয়ে ছক্কায় ওড়ান তিনি। আরেকটি ছক্কা হাঁকান পেসার সৈয়দ খালেদ আহমেদকে।
পরে ঝড় বয়ে যায় রুয়েল মিয়ার ওপর দিয়ে। বাঁহাতি পেসারের টানা চার বলে দুটি করে চার ও ছক্কা মারেন ওয়ালটন। সঙ্গে ২৮ বলে পূর্ণ হয়ে যায় তার ফিফটি। পঞ্চম উইকেট জুটির রানও পঞ্চাশ স্পর্শ করে ঠিক ২৮ বলেই।
এবারের বিপিএলে ওয়ালটনের প্রথম ফিফটি এটি। আগের তিন ইনিংসে তার রান ছিল ১৬, ০ ও ৩৫।
ফিফটির পরও চলতে থাকে তার বিধ্বংসী যাত্রা। পরের ওভারে আরেকটি দারুণ ছক্কা মারেন ফরহাদ রেজাকে, স্কয়ার লেগের ওপর দিয়ে। মেহেদিকে আরেকটি ছক্কা মারেন লং অনের ওপর দিয়ে।
তার সামনে হালে পানি পাননি অভিজ্ঞ থিসারা পেরেরাও। চার বলে চারবার বল ছাড়ায় সীমানা। হাওয়ায় ভেসে একবার, মাটিতে গড়িয়ে তিনবার।
শেষ ওভার শুরু করেন তিনি ৮৮ রান নিয়ে। এই ওভারে খেলতে পারেন স্রেফ একটি বল। সেঞ্চুরির দিকে ছোটার সুযোগ তাই আর হয়ে ওঠেনি। তবে বিপিএলে নিজের সেরা ইনিংসটি খেলে ফেলেন।
আগের সেরা ছিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের হয়েই ৭১।