১৫ মার্চ থেকে প্রিমিয়ার লিগ, থাকছে বিদেশি ক্রিকেটার

এক আসর শেষে স্বরূপে ফিরছে ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ। টি-টোয়েন্টি সংস্করণ থেকে ফের ৫০ ওভারে হতে যাচ্ছে ঘরোয়া ক্রিকেটের মর্যাদাপূর্ণ এই টুর্নামেন্ট। আগামী ২ ও ৩ মার্চ হবে এবারের দলবদল, খেলা শুরু ১৫ মার্চ। 

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 Feb 2022, 04:03 PM
Updated : 13 Feb 2022, 04:03 PM

টুর্নামেন্টের আয়োজক ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিসের (সিসিডিএম) প্রধান মোহাম্মদ সালাউদ্দিন চৌধুরি রোববার সংবাদ সম্মলনে জানান, ক্লাব কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে করে প্রিমিয়ার লিগ নিয়ে সব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

“আমরা মার্চের ১৫ তারিখ থেকে টুর্নামেন্ট শুরু করতে চাই। এর আগের দিন হবে ট্রফি উন্মোচন। দল বদলটা হবে ২ ও ৩ মার্চ। আমরা ঈদের আগেই টুর্নামেন্টটা শেষ করতে চাচ্ছি।”

“৪৪ দিনের মধ‍্যে টুর্নামেন্ট শেষ করতে চাচ্ছি। ওইভাবেই রিজার্ভ ডে ও রেস্ট ডে হিসাব করেছি। ক্লাব কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছি, তাদের সম্মতি নিয়ে এটা চূড়ান্ত করা হয়েছে। প্রাথমিক পর্বে রিজার্ভ ডে থাকছে না, সুপার সিক্স পর্বে এটা থাকবে।”

মাহমারীর সময় হলেও কঠোর জৈব-সুরক্ষা বলয় থাকবে না। তবে এক ধরনের বিধিনিষেধ থাকবে বলে জানালেন সালাউদ্দিন।

“খেলোয়াড় নিবন্ধন সামনে আমরা অনলাইনে করার চিন্তা করছি। এই বছর দুইটা পদ্ধতিই থাকবে, আগের মতো ম‍্যানুয়ালি করা যাবে, আবার অনলাইনেও করা হবে।  আমরা টিকা নেওয়া বাধ‍্যতামূলক করেছি। টেন্টে ঢোকার আগে পরীক্ষা অবশ‍্যই করাতে হবে। কেবল নেগেটিভ হলেই টেন্টে ঢুকতে পারবে।”

করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এবার যত জন ইচ্ছে বিদেশি খেলোয়াড়কে নিবন্ধন করানোর সুযোগ দিয়েছে সিসিডিএম। তবে একাদশে খেলানো যাবে কেবল একজনকে।

২০২০ সালে এক রাউন্ড হয়েই করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের জন‍্য বন্ধ হয়ে যাওয়া প্রিমিয়ার লিগের আসরে ছিলেন না কোনো বিদেশি খেলোয়াড়। সময় স্বল্পতার জন‍্য গত বছর টি-টোয়েন্টি সংস্করণে হওয়া আসরেও ছিলেন না দেশের বাইরের কোনো ক্রিকেটার।

তবে এবার ক্লাবগুলো বেশি সংখ্যক বিদেশি খেলোয়াড় খেলানোর পক্ষে। আগামী মার্চে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর করবে বাংলাদেশ দল। তাই জাতীয় দলের তারকাদের অনেকেই ঢাকা লিগের অনেকটা অংশে খেলতে পারবেন না। 

তবে তাদের জন‍্য অপেক্ষার সুযোগ দেখেন না সালাউদ্দিন। একই সঙ্গে অধিক বিদেশি খেলানোরও প্রয়োজন দেখেন না তিনি।

“আমারদের ওয়ানডে ও টেস্ট দল তো আর এক নয়। যে যখন থাকবে, সে তখন খেলবে। সেজন‍্য ক্লাবগুলো বিদেশি খেলোয়াড় বেশি খেলাতে চেয়েছিল। আমরা একজন রাখার অনুমতি দিয়েছি।”