হতাশায় শেষ আফ্রিদির পিএসএল ক্যারিয়ার

প্রাথমিক পর্বেই এখনও বাকি চারটি ম্যাচ। কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্স ফাইনাল খেললে সংখ্যাটা বাড়বে আরও। কিন্তু চোটের থাবায় আসর শেষের অনেক আগেই শেষ হয়ে গেল শহিদ আফ্রিদির পিএসএল অধ্যায়।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 Feb 2022, 02:31 PM
Updated : 13 Feb 2022, 02:45 PM

এবারের আসরই পিএসএলে তার সবশেষ মাঠে নামা, টুর্নামেন্ট শুরুর আগে জানিয়েছিলেন এই লেগ স্পিনিং অলরাউন্ডার। শেষটায় দারুণ কিছু করে রাঙাতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু হতাশায় শেষ হলো পাকিস্তানের ঘরোয়া এই ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে তার ৭ বছরের পথচলা।

লম্বা সময় ধরে পিঠের চোট ভোগাচ্ছে আফ্রিদিকে। তবুও খেলে যাচ্ছিলেন তিনি। আসরের শুরুতেও মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে ব্যথা। এরপরও মাঠে নামার জন্য প্রস্তুতি নিতে থাকেন।

সামনে বাধা হয়ে আসে করোনাভাইরাস। দ্বিতীয়বারের মতো এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে খেলতে পারেননি প্রথম কয়েকটি ম্যাচ। সেরে উঠে যখন ফিরলেন মাঠে, পেতে হলো অপ্রীতিকর একটি রেকর্ডের স্বাদ। ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের বিপক্ষে প্রথম দেখায় বল হাতে দিলেন ৬৭ রান। পিএসএলের ইতিহাসে চার ওভার করা কোনো বোলারের যা সর্বোচ্চ খরচ।

পরে আরও দুটি ম্যাচে খেলেন তিনি। ঘুরে দাঁড়িয়েছিলেন বেশ ভালোভাবেই। কিন্তু এবার পিএসএল অধ্যায়ের ইতি টেনে দিতে হলো আফ্রিদিকে। ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের বিপক্ষেই দ্বিতীয় দেখার ম্যাচটি হয়ে রইল এই টুর্নামেন্টে তার শেষ।

৪১ বছর বয়সী আফ্রিদি রোববার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পিএসএলকে বিদায়ের ঘোষণা দেন।

“বিদায় পিএসএল। মারাত্মক ব্যথায় ভুগছে আমার শরীর। ভালোভাবে শেষটা করতে চেয়েছিলাম। আমার লোয়ার-ব্যাকে চোট গত ১৫-১৬ বছর ধরেই এবং আমি এটা নিয়েই খেলে যাচ্ছি। কিন্তু এখন এর তীব্রতা বেড়ে গেছে, যার প্রভাব পড়েছে কুঁচকি ও হাঁটুতে এবং পায়ের আঙ্গুলেও চরম ব্যথা।”

“চেষ্টা করেছি এর সঙ্গে মানিয়ে নিতে। কিন্তু ব্যথা আর সহ্য করতে পারছি না। সর্বোপরি, যখন স্বাস্থ্য ভালো থাকে, পুরো পৃথিবীকেই পাশে পাওয়া যায়।”

পেশাওয়ার জালমি, করাচি কিংস, মুলতান সুলতান্সের হয়ে খেলার পর এবার কোয়েটার হয়ে খেললেন আফ্রিদি। ২০১৭ সালে পেশাওয়ার জালমির হয়ে শিরোপা জয়ের অভিজ্ঞতা রয়েছে আফ্রিদির। এখন পর্যন্ত এই প্রতিযোগিতায় ৫৩ ম্যাচ খেলে তার শিকার মোট ৪৭ উইকেট, রান করেছেন ৪৬৯।

পিএসএলকে বিদায় বললেও ক্রিকেট খেলা যে এখনই ছাড়ছেন না, আফ্রিদির কথায় সেটা স্পষ্ট। আবারও সমর্থকদের সামনে মাঠ মাতাতে চান তিনি।

“ফিটনেস ফিরে পেতে পুনর্বাসনে যাব আমি। সামনে ক্রিকেটের অনেক খেলা আছে, যেমন কেপিএল (কাশ্মীর প্রিমিয়ার লিগ) ও টি-টেন লিগ। তাই আমার ভক্তদের সামনে আমি দ্রুতই ফিরে আসব।”