টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয় ও অ্যাশেজে দারুণ সাফল্যের পর লম্বা সময়ের নতুন চুক্তি করতে চেয়েছিলেন ল্যাঙ্গার। তবে বোর্ডের প্রস্তাব ছিল স্বল্প মেয়াদের। গত শুক্রবার ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া প্রধান কোচের পদে চুক্তির মেয়াদ ৬ মাস বাড়ানোর প্রস্তাব দেয়। পরদিনই পদত্যাগের ঘোষণা দেন সাবেক ওপেনার।
বোর্ডের প্রধান নির্বাহী নিক হকলির কাছে মেইলে পাঠানো পদত্যাগপত্রে চুক্তি নিয়ে মতের অমিলের কারণটি উল্লেখ করেন ল্যাঙ্গার। একই সঙ্গে সিনিয়র ক্রিকেটার ও দলের সাপোর্ট স্টাফদের সমর্থন না থাকার কথাও লেখেন তিনি।
গত এক বছরে ল্যাঙ্গারের কোচিংয়ের ধরন নিয়ে খেলোয়াড়দের অসন্তোষের খবর শোনা গেছে অনেকবারই। পরে কোচিং স্টাইলে বদলও আনেন তিনি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বোর্ড ও ল্যাঙ্গার সমঝোতায় না পৌঁছাতে পারায় দুই পক্ষের সম্পর্কের ইতি ঘটে।
পাকিস্তান সফরের জন্য মঙ্গলবার টেস্ট দল ঘোষণা করে অস্ট্রেলিয়া। এদিনই সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ল্যাঙ্গার ইস্যু নিয়ে নিজের মত তুলে ধরেন বেইলি।
“এটা পরিষ্কার, তার চাওয়া অনুযায়ী মেয়াদে চুক্তির প্রস্তাব দেওয়া হয়নি। তাই (তার জন্য) এটা আদর্শ ছিল না। তবে আমি এই বিষয়ের সঙ্গে সম্মত নই যে, কিছু মানুষের কারণেই তার ওই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।”
২০১৮ সালে বল-টেম্পারিং কাণ্ডে ওই সময়ের টালমাটাল অস্ট্রেলিয়ার দায়িত্ব নিয়েছিলেন ল্যাঙ্গার। এরপর দলকে পথে ফেরাতে নিরলস কাজ করে যান তিনি। মাঝে কঠিন সময় কাটালেও গত কয়েক মাসে তার হাত ধরে দুর্দান্ত সাফল্য পায় অস্ট্রেলিয়া। প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের পর অ্যাশেজে ইংল্যান্ডকে ৪-০ এ ধরাশায়ী করে তারা।
দলকে ছন্দে ফেরানো কোচের পদত্যাগের ইস্যু নিয়ে বোর্ডের পরিস্থিতি সামলানোর প্রক্রিয়ার সমালোচনা করেন রিকি পন্টিং, শেন ওয়ার্নসহ সাবেক ক্রিকেটারদের অনেকেই। পাশাপাশি দুই অধিনায়ক প্যাট কামিন্স ও অ্যারন ফিঞ্চের অবস্থান নিয়েও প্রশ্ন তোলেন অনেকে।
চলমান এই ঘোলাটে অবস্থার উন্নতি দেখতে চান উসমান খাওয়াজা। অস্ট্রেলিয়ার দুই অধিনায়ককে তাই সবকিছু পরিষ্কার করার জন্য এগিয়ে আসতে বললেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান।
“বর্তমান দলটি নিয়ে অনেক সাবেক ক্রিকেটাররা কথা বলছেন। আমার মনে হয়, এক পর্যায়ে যেকোনো একজন অধিনায়ক- ফিঞ্চি বা প্যাটিকে সম্ভবত এগিয়ে আসতে হবে এবং কিছু প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে; যেন দলকে ঘিরে যে সব জল্পনা-কল্পনা চলছে সেসব থেকে মুক্তি মেলে এবং পুরো বিষয়টি শেষ হয়।”