এবারের বিপিএলও ভালো কাটছিল না কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের অধিনায়কের। চট্টগ্রামের বিপক্ষে অধিনায়কোচিত ইনিংসের আগে বেশ ভুগছিলেন তিনি; খেলেন ১০, ১৫, ১ ও ২৮ রানের চারটি ইনিংস।
এর আগে প্রথম শ্রেণির দুই টুর্নামেন্ট জাতীয় ক্রিকেট লিগ ও বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগও কাটে বাজে। জাতীয় লিগে খুলনা বিভাগের হয়ে ৬ ম্যাচে ৯ ইনিংস মিলিয়ে করেন কেবল ১৯৭ রান। একমাত্র ফিফটিতে খেলেন ৭৬ রানের ইনিংস। গড় মাত্র ২১.৮৮। অবস্থার উন্নতি হয়নি বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগেও। ইসলামী ব্যাংক পূর্বাঞ্চলের হয়ে ৩ ম্যাচে ৬ ইনিংসে ২৫ গড়ে করেন ১৫০ রান। নেই কোনো পঞ্চাশ, সর্বোচ্চ ৪৬।
বড় দৈর্ঘ্যের ক্রিকেটে বিবর্ণ ইমরুল কিছুটা আলোর দেখা পান রঙিন পোশাকে। বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের ওয়ানডে সংস্করণে তিন ম্যাচে করেন দুই ফিফটি। ১৬৫ রান করে ছিলেন টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক।
এরপর বিপিএলে সাদামাটা শুরুর পর আভাস দিলেন ছন্দে ফেরার। তবে এইটুকুতে সন্তুষ্ট নন রাজ্জাক। মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রোববার ‘ইমরুলের জাতীয় দলে ফেরার প্রশ্নে’ বলেন, ইমরুলের ব্যাটে আরও ধারাবাহিকতা চান তিনি।
“ইমরুলের কথা বললেন, ইমরুল গত ম্যাচটা ভালো খেলেছে। (ধারাবাহিক) পারফরম্যান্স করছে এটা বললে ঠিক হবে না। ও কিন্তু অনেকদিন ভালো খেলেনি। আপনি জাতীয় লিগ থেকে যদি চিন্তা করেন, তাহলে কিন্তু ‘আপ টু দা মার্ক’ না। কিন্তু আমি ওকে দোষ দিচ্ছি না। কারণ, খেলোয়াড়দের ভালো সময়, খারাপ সময় থাকবেই। আপনি যেহেতু বললেন, পারফরম্যান্স করছে, তাই বললাম। গত ম্যাচে খুব ভালো খেলেছে সন্দেহতীতভাবে।”
“যেহেতু টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট চলছে, ওইদিকে টি-টোয়েন্টি সিরিজ আছে। অবশ্যই দেখার বিষয়। খেয়াল রাখা হচ্ছে (জাতীয় দলের) বাইরে থাকাদেরও। এতে আমাদেরও সুবিধা হয়েছে, তেমনি খেলোয়াড়দের জন্যও সুবিধা হয়েছে। যদি পারফর্ম করে বা ওইরকম প্রমিনেন্ট হয় তাহলে অবশ্যই সুযোগ থাকবে।”
২০১০ সালে দেশের হয়ে টি-টোয়েন্টি অভিষেকে শূন্য রানে আউট হয়েছিলেন ইমরুল। রান করতে পারেননি পরের ম্যাচেও। এরপর টুকটাক রান করে আবার টানা দুই ম্যাচে ফেরেন শূন্য রানে। ১৩ ইনিংসে তার রান মোটে ১১৯, স্ট্রাইক রেট ৮৮.৮০। গড় ৯.১৫, সর্বোচ্চ ৩৬। ওই একবারই ত্রিশের ঘরে যেতে পারেন।
ইমরুল তার ১৪ টি-টোয়েন্টির সবশেষটি খেলেছেন সেই ২০১৭ সালে। এই সংস্করণে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার যা পারফরম্যান্স, তাতে ঘরোয়া ক্রিকেটে অভাবনীয় কিছু না করলে বিবেচনায় আসা কঠিনই হবে। সেটাই যেন মনে করিয়ে দিলেন রাজ্জাক।
“পারফরম্যান্সের ওপর ভিত্তি করেই দল করা হবে। যারা পারফরম্যান্স করে না, আমি মনে করি, তাদেরকে নিয়ে লাফালাফি করা ঠিকও না।”