বিসিবি শুক্রবার রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শাহজাদের শাস্তির কথা জানায়। এদিনই মাঠে ধূমপান করতে দেখা যায় তাকে। আনুষ্ঠানিকভাবে এই বিস্ফোরক ব্যাটসম্যানকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।
বৃষ্টির কারণে শুক্রবার বিপিএলে দুটি ম্যাচের কোনোটিই হয়নি।
দ্বিতীয় ম্যাচে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের সঙ্গে লড়াই ছিল মিনিস্টার ঢাকার। বৃষ্টির লুকোচুরির ফাঁকেই মাঠে ক্রিকেটাররা গা গরম করছিলেন, কেউ কেউ ছোট ছোট দল বেঁধে আড্ডা দিচ্ছিলেন। এ সময়ই শাহজাদকে দেখা গেছে ই-সিগারেট বা ভেইপ টানতে। মাঠে আফগান কিপার-ব্যাটসম্যানের ধোয়া ছাড়ার ছবি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
দোষ স্বীকার করে ম্যাচ রেফারি নিয়ামুর রশীদ রাহুলের দেওয়া শাস্তি শাহজাদ স্বীকার করে নেওয়ায় কোনো আনুষ্ঠানিক শুনানির প্রয়োজন হয়নি।
মাঠের ভেতরে ধূমপান করা স্পষ্টতই ক্রিকেটের আচরণবিধির লঙ্ঘন। শাহজাদের ওই কাণ্ড খেয়াল করার পরই মিনিস্টার ঢাকার কোচ মিজানুর রহমান বাবুল ও অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল গিয়ে কিছু একটা বলেন তাকে। তখন তিনি ঢুকে যান ড্রেসিং রুমে।
বিসিবির চিফ ম্যাচ রেফারি ও টুর্নামেন্টের টেকনিক্যাল কমিটির আহবায়ক রকিবুল হাসান তখন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, সংশ্লিষ্টদের উচিত ব্যাপারটি নজরে নেওয়া। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এলো বিসিবির শাস্তির ঘোষণা।
বিতর্কের সঙ্গে শাহজাদের সখ্য বেশ পুরনো। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে অসন্তোষ জানিয়ে আইসিসির তিরষ্কার পেয়েছেন তিনি। ২০১৬ বিপিএলে খেলা চলার সময় সাব্বির রহমানের সঙ্গে শারীরিক সংঘর্ষের ঘটনায় দুই ম্যাচ নিষিদ্ধ হন তিনি, পাশাপাশি জরিমানা হয় তার ম্যাচ ফির ৩০ শতাংশ।
ডোপ পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়ে ২০১৭ সালে তিনি ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ হন এক বছরের জন্য। ২০১৮ সালে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে আউট হওয়ার পর ব্যাট দিয়ে মাঠে আঘাত করে ক্ষতিগ্রস্থ করায় নিষিদ্ধ হন দুই ম্যাচ, সঙ্গে জরিমানা হয় ম্যাচ ফির ১৫ শতাংশ। ২০১৯ সালে আফগান বোর্ডের আচরণবিধি ভাঙায় আবার নিষিদ্ধ হন এক বছরের জন্য। এছাড়াও নানা সময়ে তার টুকটাক শৃঙ্খলাভঙ্গের ঘটনা আছে আরও কিছু।