অস্ট্রেলিয়া সফরে ভরাডুবির পর বুধবার ইসিবির ক্রিকেট পরিচালকের পদ থেকে ছাঁটাই হন অ্যাশলে জাইলস। পরদিন প্রধান কোচের পদ থেকে সরে দাঁড়ান ক্রিস সিলভারউড। ব্যাটিং কোচের চাকরি হারান গ্রাহাম থর্প। নড়বড়ে হয়ে পড়েছিল রুটের নেতৃত্বও।
এবারের অ্যাশেজ সিরিজে লড়াই-ই করতে পারেননি ইংল্যান্ড। পাঁচ ম্যাচের সিরিজে প্রথম তিন টেস্ট হারের পর চতুর্থটি ড্র করে কোনোমতে হোয়াইটওয়াশড হওয়ার চোখ রাঙানি এড়ায় তারা। হতাশার সিরিজটি শেষ করে ৪-০ ব্যবধানে হেরে।
অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে এর আগের সিরিজেও একই ব্যবধানে হেরেছিল ইংল্যান্ড। সেবারও অধিনায়ক ছিলেন রুট। ২০১৯-২০ মৌসুমে ঘরের মাঠেও তার নেতৃত্বে অ্যাশেজ ট্রফি ঘরে তুলতে পারেনি ইংলিশরা। সিরিজটি ড্র করেছিল ২-২ ব্যবধানে।
শুধু তাই নয়, লাল বলে গত বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে তাদের অবস্থা খুবই নাজুক। এই সময়ে ১৫ টেস্টে কেবল দুটি জয়ের মুখ দেখেছে ইংল্যান্ড। সব মিলিয়ে রুটের নেতৃত্ব নিয়ে দীর্ঘ দিন থেকেই উঠছে প্রশ্ন। তবে এ যাত্রায় টিকে গেলেন তিনি।
সবশেষ অ্যাশেজে দল বাজেভাবে হারলেও ব্যাট হাতে রুটের পারফরম্যান্স খারাপ ছিল না। ৩ ফিফটিতে সিরিজে তৃতীয় সর্বোচ্চ ৩২২ রান তার। বছর জুড়েই তিনি ছিলেন দুর্দান্ত ফর্মে। ৬ সেঞ্চুরিতে করেন এক হাজার ৭০৮ রান, টেস্ট ইতিহাসে এক পঞ্জিকাবর্ষে যা তৃতীয় সর্বোচ্চ।
অন্তর্বর্তীকালীন পরিচালকের দায়িত্ব নেওয়া অ্যান্ড্রু স্ট্রাউস শুক্রবার স্কাই স্পোর্টসকে জানান, অধিনায়ক হিসেবে রুটের মাঝে ভালো করার তাড়না দেখছেন তারা।
“জো রুটের সঙ্গে কথা বলে বুঝেছি যে এই দলকে সামনে এগিয়ে নিতে তার মধ্যে তাড়না অনেক। দায়িত্বটি পালনের জন্য সে অবিশ্বাস্য মাত্রায় অনুপ্রাণিত।”
“অ্যাশেজে বাজে পারফরম্যান্সের জন্য সে খুবই ব্যথিত ও হতাশ। তবে সে মাঠে ও মাঠের বাইরে দারুণ উদাহরণ তৈরি করেছে। তাই আমি তাকে পূর্ণ সমর্থন দেব এবং নিশ্চিত করব যেন তার চারপাশে এমন একটা কাঠামো গড়ে ওঠে যাতে সে চাপমুক্ত থাকবে। সে যেন নিজের কাজ যথাযথভাবে করতে পারে।”
আগামী ৮ মার্চ শুরু হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের প্রথম টেস্ট। পরের দুটি শুরু ১৬ ও ২৪ মার্চ। সিরিজটি আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ।