বৃষ্টির কারণে শুক্রবার বিপিএলে প্রথম ম্যাচটি হতে পারেনি। দ্বিতীয় ম্যাচে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের সঙ্গে লড়াই মিনিস্টার ঢাকার। বৃষ্টিতে এই ম্যাচও শুরু হয়নি সময়মতো।
বৃষ্টির লুকোচুরির ফাঁকেই মাঠে ক্রিকেটাররা গা গরম করেন, কেউ কেউ আবার ছোট ছোট দল বেঁধে আড্ডা দেন। এ সময়ই শাহজাদকে দেখা গেছে ই-সিগারেট বা ভেইপ টানতে। মাঠে আফগান কিপার-ব্যাটসম্যানের ধোয়া ছাড়ার ছবি দ্রুতই ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
মাঠের ভেতরে ধূমপান করা স্পষ্টতই ক্রিকেটের আচরণবিধির লঙ্ঘন। শাহজাদের কাণ্ড খেয়াল করার পরই মিনিস্টার ঢাকার কোচ মিজানুর রহমান বাবুল ও অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল গিয়ে কিছু একটা বলেন তাকে। তখন তিনি ঢুকে যান ড্রেসিং রুমে।
বিসিবির চিফ ম্যাচ রেফারি ও টুর্নামেন্টের টেকনিক্যাল কমিটির আহবায়ক রকিবুল হাসান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, সংশ্লিষ্টদের উচিত ব্যাপারটি নজরে নেওয়া।
“অবশ্যই কোড অব কন্ডাক্ট ভঙ্গ হয়েছে এতে। খেলার মাঠে ধূমপান পুরোপুরি নিষিদ্ধ। এটা মেনে নেওয়ার মতো নয়, কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। ম্যাচ অফিসিয়ালদের উচিত তাকে সতর্ক করে দেওয়া, যাতে ভবিষ্যতে এরকম কিছু আর সে বা কেউ না করে।”
বিতর্কের সঙ্গে শাহজাদের সখ্য বেশ পুরনো। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে অসন্তোষ জানিয়ে আইসিসির তিরষ্কার পেয়েছেন তিনি। ২০১৬ বিপিএলে খেলা চলার সময় সাব্বির রহমানের সঙ্গে শারীরিক সংঘর্ষের ঘটনায় দুই ম্যাচ নিষিদ্ধ হন তিনি, পাশাপাশি জরিমানা হয় তার ম্যাচ ফির ৩০ শতাংশ।
ডোপ পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়ে ২০১৭ সালে তিনি ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ হন এক বছরের জন্য। ২০১৮ সালে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে আউট হওয়ার পর ব্যাট দিয়ে মাঠে আঘাত করে ক্ষতিগ্রস্থ করায় নিষিদ্ধ হন দুই ম্যাচ, সঙ্গে জরিমানা হয় ম্যাচ ফির ১৫ শতাংশ। ২০১৯ সালে আফগান বোর্ডের আচরণবিধি ভাঙায় আবার নিষিদ্ধ হন এক বছরের জন্য। এছাড়াও নানা সময়ে টুকটাক শৃঙ্খলাভঙ্গের ঘটনা আছে তার আরও কিছু।