বিপিএলে মইনের মাত্র দ্বিতীয় অভিযান এটি। প্রথমবার ২০১৩ বিপিএলে খেলেছিলেন তিনি দুরন্ত রাজশাহীর হয়ে।
বিপিএলের আগেই অবশ্য বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে পা পড়েছিল মইনের। ২০১০-১১ মৌসুমে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে খেলেছিলেন তিনি মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের হয়ে।
মোহামেডানের নেতৃত্বে সেবার ছিলেন সাকিব আল হাসান। ২০১০ সালে কাউন্টি চ্যাম্পিয়শিপে মইনের সঙ্গে উস্টারশায়ারে খেলেছিলেন সাকিব। সেখান থেকে গড়ে ওঠা বন্ধুত্বের সৌজন্যেই মূলত মোহামেডানে এসেছিলেন মইন। সেবার তাদের সঙ্গে ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটিতে খেলেছিলেন তামিম ইকবালও।
মোহামেডান ওই মৌসুমে বিদেশি হিসেবে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে খেলিয়েছিল দুই পাকিস্তানি আজহার মাহমুদ, মোহাম্মদ ইউসুফ ও শ্রীলঙ্কান অলরাউন্ডার ফারভিজ মাহারুফকে। তবে মইন খেলেছিলেন ৯ ম্যাচ।
পরে ২০১৩ বিপিএলে দুরন্ত রাজশাহীর হয়ে খুব একটা সাফল্য তিনি পাননি। ৫ ম্যাচ খেলে ওভারপ্রতি প্রায় ৯ রান করে দিয়ে উইকেট নিয়েছিলেন ৩টি। ৪ ইনিংস মিলিয়ে রান করেছিলেন ৪৬।
কুমিল্লার একাদশে তিন বিদেশি কোটায় আপাতত খেলছেন ফাফ দু প্লেসি, ক্যামেরন ডেলপোর্ট ও করিম জানাত। ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার সুনিল নারাইনও আছেন দলে। তবে চোটের কারণে এখনও মাঠে নামা হয়নি তার। এবার মইন যোগ হওয়ার তারা শক্তিতে সমৃদ্ধ হয়ে উঠল আরও।
ক্যারিবিয়ায় ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে যে ২টি ম্যাচ জিতেছে ইংল্যান্ড, দুটিতেই মইন ছিলেন ম্যান অব দা ম্যাচ। এক ম্যাচে ৭ ছক্কায় খেলেন ২৮ বলে ৬৩ রানের ইনিংস। ওয়েন মর্গ্যান চোট পাওয়ায় সিরিজের শেষ তিন ম্যাচে ইংল্যান্ডকে নেতৃত্বও দেন ৩৪ বছর বয়সী অলরাউন্ডার।
বিপিএলে প্রথম তিন ম্যাচ জয়ের পর মঙ্গলবার মিনিস্টার ঢাকার কাছে হারে কুমিল্লা। তাদের পরের ম্যাচ বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে।