বিপিএলে মঙ্গলবার ফরচুন বরিশালের হয়ে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে ঠিত ৫০ রানের ইনিংস খেলেন সাকিব। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স বোলারদের ভুগিয়ে ৩১ বলের ইনিংসে ছক্কা মারেন সমান ৩টি করে।
এই ম্যাচের আগে এই সংস্করণে তার সবশেষ ফিফটি ছিল ২০১৯ সালের ২১ সেপ্টেম্বরে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ত্রিদেশীয় সিরিজের ম্যাচে সেদিন বাংলাদেশকে জয় এনে দেওয়ার পথে তিনে নেমে ৪৫ বলে খেলেন অপরাজিত ৭০ রানের দারুণ ইনিংস।
এরপর আইসিসির নিষেধাজ্ঞায় এক বছর কেটেছে মাঠের বাইরে। মাঠে ফেরার পরও পেরিয়ে গেছে ইনিংসের পর ইনিংস। কয়েকবার চল্লিশে গেলেও পঞ্চাশে পা রাখা তার হয়ে উঠছিল না। অবশেষে ৪৫ ইনিংস পর ফুরোলো অপেক্ষা।
এই ম্যাচে সপ্তম ওভারে ক্রিজে যান সাকিব। প্রথম বলটি খেলেন ডট। পরের বলে সিঙ্গেল নিয়ে শুরু করেন এগিয়ে চলা। আফিফ হোসেনের ফ্লাইটেড ডেলিভারিতে কাভার দিয়ে মারেন চার। উইল জ্যাকসের ফ্লাইটেড ডেলিভারিতে চার মারেন এক্সট্রা কাভার ফিল্ডারের মাথার উপর দিয়ে।
বাঁহাতি ব্যাটসম্যানকে থামাতে চট্টগ্রাম অধিনায়ক নাঈম ইসলাম অফ স্পিন চালিয়ে যাচ্ছিলেন টানা। সাকিবও সেই চ্যালেঞ্জ আলিঙ্গন করেন সাদরে। মেহেদি হাসানের বলেও কাভার দিয়েই মারেন চার।
তার সেরাটা বেরিয়ে আসে পঞ্চদশ ওভারে। বিপিএলে এখন পর্যন্ত দারুণ বোলিং করা বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদকে টানা তিন বলে মারেন তিন ছক্কা। হাঁটু গেড়ে মিড উইকেটের পাশ দিয়ে মারেন প্রথম ছক্কা, পরেরটি লং অন দিয়ে। এরপর নাসুমের মাথার উপর দিয়ে সীমানার বাইরে পাঠিয়ে পৌঁছে যান ক্যারিয়ারের ২০তম ফিফটির খুব কাছে।
অলরাউন্ডার মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরির বলে সিঙ্গেল নিয়ে স্পর্শ করেন পঞ্চাশ। ইনিংসটা অবশ্য বড় হয়নি আর। পরের বলেই ছক্কার চেষ্টায় ধরা পড়েন ডিপ মিডউইকেটে।
সাকিব ঝড়ের পরও শেষ দিকে দ্রুত উইকেট হারিয়ে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে ১৪৯ রানে গুটিয়ে যায় ফরচুন বরিশাল।