শুনানিতে ডাকা হবে মিরাজ ও চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে

নানা নাটকীয়তার পর চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের সঙ্গে মেহেদী হাসান মিরাজের বিরোধের অবসান হলেও ঘটনার রেশ শেষ হচ্ছে না এখনই। ঢাকায় ফেরার পর দুই পক্ষকেই শুনানিতে ডাকা হবে বলে জানিয়েছে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল।

ক্রীড়া প্রতিবেদকচট্টগ্রাম থেকে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 31 Jan 2022, 01:30 PM
Updated : 31 Jan 2022, 01:30 PM

নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর নানা ধোঁয়াশার মধ‍্যেই রোববার টিম হোটেল ছেড়ে ঢাকায় চলে যেতে উদ‍্যত হন মিরাজ। দিনভর উত্তেজনার পর চট্টগ্রাম ফ্র‍্যাঞ্চাইজির সত্ত্বাধিকারী রিফাত উজ জামানের হস্তক্ষেপে মেটে ঝামেলা। রাতে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দলের সঙ্গেই থাকছেন মিরাজ।

চট্টগ্রামে আপাতত ‘শান্তিপূর্ণ’ সহাবস্থান হলেও অশান্তির আঁচ স্পর্শ করেছে ঢাকায় বিসিবি কর্তাদের। মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকট স্টেডিয়ামে সোমবার বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের চেয়ারম‍্যান ও বিসিবি পরিচালক শেখ সোহেল জানান, ঘটনার পেছনের ঘটনা জানতে পদক্ষেপ নিচ্ছেন তারা।

“ঘটনাটা আমরা গতকাল শুনলাম। কালকে আমরা আলাপ-আলোচনা করেছি। আমি ছিলাম, মল্লিক (গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব) ভাই ছিল, সিইও (নিজাম উদ্দিন চৌধুরি) ছিলেন। সবার সঙ্গে কথা বলার পর আমরা যেটা দেখেছি, মিরাজেরও এখানে দোষ আছে, ম্যানেজমেন্টেরও দোষ আছে। দুই পক্ষই কিন্তু দোষী সাব্যস্ত হয়।”

“মিরাজ যে কাজটা করেছে, এত বড় মাপের খেলোয়াড় হয়ে, জাতীয় দলের খেলোয়াড় হয়ে টুর্নামেন্টের ভেতরে তার এমন ভূমিকা রাখা ঠিক ছিল না। তার অপেক্ষা করা উচিত ছিল। যেহেতু আমরা ডিসিপ্লিনারি কমিটি ছিলাম, একটু অপেক্ষা করতে পারত। ফ্র্যাঞ্চাইজিরও এখানে ঝামেলা আছে। ফ্র্যাঞ্চাইজিকেও ছাড় দেব না। শুনানি হবে কিছুদিনের মধ্যে। দুই পক্ষকে নিয়ে আমরা শুনানি করব।”

গভর্নিং কাউন্সিলের সদস‍্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিকের মতে, এই ঘটনায় চোট লেগেছে বিপিএলের ভাবমূর্তিতে।

“অবশ্যই প্রত্যেকে দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে। যদি সেটা কেউ না করে, ভবিষ্যতে সে খেলোয়াড় হোক আর ফ্র্যাঞ্চাইজি, আমরা তাকে বিপিএলে রাখব না। এটাই আমরা করতে পারি। নয়তো আমরা কোনো শাস্তি দিতে পারি। কিন্তু এটাতো কোনো সমাধান নয়। আমরা দুই পক্ষকেই শুনানির জন্য ডেকেছি। দুইজনের কথাই শুনব। কাল কিন্তু আমরা বলাতেই দুই পক্ষ আলোচনা করে এটার সমাধান করেছে।”

“একটা তো দৃশ্যমান শাস্তি, আরেকটা হলো গিয়ে...। আমরা দেখব যে, জিনিসটা যোগাযোগের ঘাটতি নাকি অন্য কিছু। সেটা তো দেখবই।”

মিরাজের মূল অভিযোগ ছিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের প্রধান পরিচলন কর্মকর্তা (সিওও) সৈয়দ ইয়াসির আলমের বিরুদ্ধে। চট্টগ্রামের এই কর্মকর্তার সঙ্গেও তারা বসবেন বলে জানালেন ইসমাইল হায়দার মল্লিক।

“চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের সিওও যদি মিরাজের প্রতি সম্মান না দেখায়, তাহলে অবশ্যই তার সঙ্গে কথা বলতেই হবে। আপনিই অধিনায়কত্ব দিয়েছেন, যদি কোনো কারণে অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেন, সেটা আপনাকেই তো ‍বুঝিয়ে বলতে হবে। যতটুকু শুনেছি বোলিং পরিবরর্তন নিয়ে তাদের সঙ্গে কিছু আলাপ-আলোচনা ছিল। ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে কিছু ইস্যু ছিল। এটা আমরা সামনা-সামনি না বসে বলতে পারব না।”

“ফ্র্যাইঞ্চাজি যেভাবে অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দিয়েছে, মিরাজও যেভাবে জৈব সুরক্ষা বলয় ভেঙে বাইরে এসে বিবৃতি দিয়েছে, তা কোনোভাবেই এটা কাঙ্ক্ষিত নয়। … সব ব্যাপারই আমরা গুরুত্বের সঙ্গে নেই। ঢাকায় এলে আমরা দুই পক্ষের কথাই শুনব। কেন, কীভাবে এটা কি কারণে হলো।”

এবার বিপএল অবশ‍্য জৈব সুরক্ষা বলয়ে হচ্ছে না। হচ্ছে ম্যানেজড ইভেন্ট এনভায়রনমেন্ট (এমইই) প্রটোকল মেনে।