নাটক শেষে চট্টগ্রামেই থাকছেন মিরাজ

নেতৃত্ব হারানোর পর চট্টগ্রামে মেহেদী মিরাজকে ঘিরে সৃষ্ট জটিলতার অবসান হয়েছে। বিপিএলের চট্টগ্রাম চ‍্যালেঞ্জার্স ফ্র‍্যাঞ্চাইজির সত্ত্বাধিকারী রিফাত উজ জামানের হস্তক্ষেপে মিটেছে ঝামেলা। নিজের ভুলের জন‍্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন দলটির প্রধান পরিচলন কর্মকর্তা ইয়াসির আলম।

ক্রীড়া প্রতিবেদকচট্টগ্রাম থেকে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 Jan 2022, 05:12 PM
Updated : 30 Jan 2022, 05:12 PM

চট্টগ্রামের একটি হোটেলে রোববার রাতে মিরাজকে নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসেন রিফাত। শুরুতে ইয়াসির থাকলেও সংবাদ সম্মেলন শুরুর আগেই চলে যান তিনি।  

শুরুতেই ফ্র‍্যাঞ্চাইজির পক্ষ থেকে রিফাত জানান, যোগাযোগের ঘাটতি এবং সেখান থেকে শুরু হওয়া ভুল বোঝাবুঝির জন‍্য এই ঘটনা এতদূর গড়িয়েছে। নেতৃত্ব না থাকার ব্যাপারটি ম্যাচ শুরুর মাত্র তিন ঘণ্টা আগে মিরাজকে জানানো ঠিক হয়নি, এটা মানছেন তিনি। বিষয়টি জানা মাত্র মিরাজের সঙ্গে নিজেই কথা বলার সিদ্ধান্ত নেন।

“সব মিলিয়ে অল্প কিছু সময়ের মধ‍্যে এখানে কয়েকটা ঘটনা ঘটে গেছে। শেষ কয়েক দিন ধরে যোগাযোগে একটা ঘাটতি ছিল।… সেখানে অনেকটা বিস্ময়করভাবে একজন অধিনায়ক (নাঈম ইসলাম) হয়েছেন, যিনি সহ-অধিনায়ক ছিলেন। এই জিনিসগুলো মিরাজ প্রপারলি ব্রিফড ছিল না।”

“মিরাজ বলেছে, ‘আমি যদি জানতাম তাহলে, এটা তো বড় কিছু না। বিপিএল এটা হয় কিন্তু এটা হওয়ার তো একটা ধরন আছে। এতে আমি ‘শকড।’ সে বলেছে, ‘আমি তো পরিষ্কারভাবে জানতাম না। যদি আমি জানতাম তাহলে তো আমি শকড হতাম না। আমার জন‍্য অনেক শকিং ছিল ম‍্যাচের দিন জানানো হয়েছে যখন।’ আর তার এই কথায় আমি  পুরোপুরি একমত।”

রিফাত জানান, বিকাল থেকে সন্ধ‍্যা অবধি আলোচনায় সমাধান হয়েছে সব ভুল বোঝাবুঝির। যিনি দলের সঙ্গে থাকলে আর খেলবেন না বলেছিলেন মিরাজ, সেই ইয়াসিরের সঙ্গেও হয়েছে তার খোলামেলা কথা।

“তারা দুজনই জানে, তাদের মধ‍্যে যে যোগযোগে ত্রুটি ছিল, সেগুলো এখন আর নেই। আর ইয়াসিরের দিক থেকে যে যোগাযোগে ঘাটতি ছিল, সে যে ভুল করেছে, সেগুলোর জন‍্য সে ‘সরি’ বলেছে। একই সঙ্গে কথাগুলো পরিষ্কার করে নিয়েছে, কোথায়, কোথায় কোন জায়গায় গ‍্যাপ হয়েছিল। ওই জায়গাটা তারা দুই জনে সমাধান করে নিয়েছে। কথা বলেছেন, সেটা আমার সামনেই হয়েছে। ইয়াসিরের ব‍্যাপারটা সলভড।”

মিরাজ জানান, সাধারণ খেলোয়াড় হিসেবে খেলে যেতে তার আপত্তি নেই। কিন্তু আর কখনোই চট্টগ্রামের নেতৃত্ব ফিরতে চান না তিনি।

“যেভাবে সব হয়েছিল, আমি অপমানিত বোধ করছিলাম। উনাদের ফ্র‍্যাঞ্চাইজি, উনারা যাকে ইচ্ছে অধিনায়ক বানাবেন, যাকে ইচ্ছে খেলাবেন। তারা না চাইলে তো আমি খেলতেও পারব না। আমি তো নেতৃত্ব চেয়ে নিইনি। যেভাবে ম‍্যাচ শুরুর মাত্র কয়েক ঘণ্টা আমাকে দলের ম‍্যানেজার (ফাহিম মুনতাসির সুমিত) বলেন, আমি আর নেতৃত্বে নেই, এটা খুব শকিং ছিল আমার জন‍্য।”

“আগে থেকে জানলে আমিই সতীর্থদের বলতাম। আমারও একটা প্রস্তুতি থাকত। এভাবে ম‍্যাচের কিছুক্ষণ আগে বলাটা আমি মানতে পারিনি। আমি এই দলে একজন খেলোয়াড় হিসেবে খেলে যাব। কিন্তু উনারা কখনও যদি অধিনায়ক করতেও চান, আমি (রিফাত) ভাইয়ার সামনেই বলছি, নেব না।”

বিকালে টিম হোটেল ছাড়তে ছাড়ার সময় মিরাজ তার মায়ের অসুস্থতার লিখেছিলেন ফ্র্যাঞ্চাইজিকে পাঠানো মেইলে। রিফাত জানান, তারা এক জন‍্য মিরাজকে তার মায়ের কাছে পাঠানোর একটি পথ খুঁজছেন। মিরাজ নিজেও বলেন, মায়ের পাশে থাকার পাশাপাশি এসব থেকে দূরে থাকে দুয়েকটা ম‍্যাচে বিশ্রাম নিতে চেয়েছিলেন।