জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে শনিবারের দ্বিতীয় ম্যাচে সিলেট সানরাইজার্সের বিপক্ষে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের ১৬ রানের জয়ে পরপর তিন বলে উইকেট নিয়ে বড় অবদান রাখেন মৃত্যুঞ্জয়।
৪ ওভারে ৩৩ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরার পুরস্কার পাওয়ার পর উচ্ছ্বাসভরা কণ্ঠে বলেন, অভিষেকে এতো ভালো কিছু তার ভাবনাতেও ছিল না।
“প্রত্যেক খেলোয়াড়েরই স্বপ্ন থাকে পাঁচ উইকেট নেওয়ার এবং হ্যাটট্রিক করার। তবে এইরকম পর্যায়ে, প্রথম ম্যাচেই সেটা আশা করিনি। তবে বাস্তবায়ন যেহেতু ভালো হয়েছে সেক্ষেত্রে এটি একটি প্রাপ্তি বলা যায়।”
পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে প্রথম বল হাতে পান মৃত্যুঞ্জয়। প্রথম দুটি বল ওয়াইড করলেও ওভারে শেষ পর্যন্ত দেন কেবল ৭ রান। নবম ওভারে ফিরে প্রথম দুই বলে হজম করেন বাউন্ডারি। পরের চার বলে ঘুরে দাঁড়িয়ে দেন কেবল ২।
নিজের তৃতীয় ওভারেই ঘুরিয়ে দেন ম্যাচের মোড়। পরপর তিন বলে বিদায় করেন এনামুল হক, মোসাদ্দেক হোসেন ও রবি বোপারাকে। পরে ম্যাচের শেষ ওভারে দেন ৭ রান।
মৃত্যুঞ্জয় জানান শুরুটা ভালো হওয়ায় আত্মবিশ্বাসী ছিলেন তিনি যে ভালো কিছু করা সম্ভব।
“সত্যি কথা বলতে গেলে, প্রথম দিকে নার্ভাস ছিলাম না। কারণ, প্রথম দিকে আমার পরিকল্পনাই ছিল ইয়র্কারটা ভালোভাবে করব এবং প্রথম ওভারেই বাস্তবায়ন ভালো হয়েছে। তো এই কারণে প্রথম দিকে চাপ ছিল না।”
“আর আমার আত্মবিশ্বাস ছিল যে শেষের দিকে... যেহেতু আমার প্রথম দুইটা ওভার ভালো হয়েছে, ইয়র্কারগুলো ভালো হচ্ছিল, তো এই কারণে শেষের দিকেও আত্মবিশ্বাসটা ভালো ছিল যে, ইয়র্কারটা ভালো হবে এবং সেটা হয়েছেও।”