এক ভোটের ব্যবধানে অস্ট্রেলিয়ার সেরা স্টার্ক

প্রায় এক যুগের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার। বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক হওয়া থেকে শুরু করে অ্যাশেজ জয়, কত সাফল্য, কত অর্জন। এত বেলা পেরিয়ে, এত পথ মাড়িয়ে অবশেষে নিজ দেশের সেরার সম্মান পেলেন মিচেল স্টার্ক। বিশ্বের সেরা ফাস্ট বোলারদের একজন ৩২তম জন্মদিনের আগের দিন পেলেন সুসংবাদ। প্রথমবার জিতলেন তিনি অস্ট্রেলিয়ার বর্ষসেরা ক্রিকেটারের খেতাব ‘অ্যালান বোর্ডার মেডেল।’

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 Jan 2022, 05:54 AM
Updated : 29 Jan 2022, 08:19 AM

স্রেফ এক ভোটের ব্যবধানে বাঁহাতি ফাস্ট বোলার পেছনে ফেলেন অলরাউন্ডার মিচেল মার্শকে। পাশাপাশি বর্ষসেরা ওয়ানডে ক্রিকেটারও নির্বাচিত হয়েছেন স্টার্ক।

মেয়েদের বর্ষসেরাও হয়েছেন প্রথমবার একজন। সেরা খেতাব ‘বেলিন্ডা ক্লার্ক মেডেল’ জিতেছেন অ্যাশলি গার্ডনার। প্রথম আদিবাসী ক্রিকেটার হিসেবে সেরার সম্মান পেলেন ২৪ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডার।

গত বছরের ২৬ জানুয়ারি থেকে এই বছরের ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত সময়ের পারফরম্যান্সকে বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে এবারের অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট অ্যাওয়ার্ডস-এ। ক্রিকেটার, আম্পায়ার ও সংবাদকর্মীদের ভোটে নির্ধারিত করা হয় বিজয়ী।

কোভিড মহামারী ও জৈব-সুরক্ষা বলয়ের কারণে গতবারের মতো এবারও প্রথাগত সেই জাঁকালো আয়োজনে পুরস্কার দেওয়া সম্ভব হয়নি। ক্যানবেরায় চলতি মেয়েদের অ্যাশেজ টেস্টের তৃতীয় দিনের লাঞ্চ বিরতিতে ঘোষণা করা হয় জয়ীদের নাম।

মহামারীর সময়ে পুরস্কারের জন্য বিবেচনায় নেওয়া সময়ে স্রেফ ৫টি টেস্ট খেলেছে অস্ট্রেলিয়া, সবকটি সদ্যসমাপ্ত অ্যাশেজে। ওয়ানডে খেলেছে তারা মোটে ৩টি। এই সময়ে মূলত টি-টোয়েন্টির ব্যস্ততা ছিল তাদের, যেখানে খেলেছে ২২টি ম্যাচ।

স্টার্ক বর্ষসেরা হয়েছেন ১০৭ ভোট পেয়ে। মার্শের ভোট ১০৬টি। ট্রাভিস হেড পান ৭২ ভোট।

মেয়েদের সেরা অ্যাশলি গার্ডনার। 

মেয়েদের বর্ষসেরায় গার্ডনার পেয়েছেন ৫৪ ভোট। ৪৭ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় বেথ মুনি, অ্যালিসা হিলির ভোট ৩৯টি।

বর্ষসেরা ওয়ানডে ক্রিকেটার হয়েছেন স্টার্ক ১৫ ভোট পেয়ে। সেখানে ম্যাথু ওয়েড দুইয়ে ৬ ভোট পেয়ে।

স্টার্কের জীবনসঙ্গী অ্যালিসা হিলি পেয়েছেন মেয়েদের বর্ষসেরা ওয়ানডে ক্রিকেটারের সম্মান।

ছেলেদের বর্ষসেরা টেস্ট ক্রিকেটার ট্রাভিস হেড। এবার অ্যাশেজ দিয়ে দলে ফিরেই ম্যান অব দা সিরিজ হন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। তবে মাত্র ৩ টেস্ট খেলেই তাকে জোর চ্যালেঞ্জ জানান পেসার স্কট বোল্যান্ড। শেষ পর্যন্ত হেড পেয়েছেন ১২ ভোট, বোল্যান্ড ১০ ভোট। স্টার্ক এখানে তৃতীয় ৭ ভোট পেয়ে।

এই সময়ে অস্ট্রেলিয়া সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলেছে যে সংস্করণে, সেখানেই সম্ভাব্য বিজয়ী ছিল সবচেয়ে অনুমিত। ভোটের ব্যবধানেও পড়েছে সেটির প্রতিফলন। ৫৩ ভোট পেয়ে বর্ষসেরা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটার মিচেল মার্শ। ২৯ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় জশ হেইজেলউড, অ্যাশটন অ্যাগার পেয়েছেন ২৬টি।

গত বছর ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর থেকে নিজেকে নতুন করে মেলে ধরেন মার্শ। এরপর বাংলাদেশ সফরেও ভালো করার পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দলের শিরোপা জয়ে তিনি রাখেন বড় অবদান। ফাইনালে দারুণ ইনিংস খেলে হন ম্যাচের সেরা।

মেয়েদের বর্ষসেরা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটার বেথ মুনি।‘

এছাড়া ঘরোয়া ক্রিকেটে ছেলেদের বর্ষসেরা হয়েছেন ট্রাভিস হেড, মেয়েদের সেরা এলিস ভিলানি।