প্রথম দিন সাকিবদের খেলা নেই। জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে স্বাগতিক চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের মুখোমুখি হবে খুলনা টাইগার্স। দিনের অন্য ম্যাচে সিলেট সানরাইজার্সের মুখোমুখি হবে মিনিস্টার গ্রুপ ঢাকা।
বরাবরই চট্টগ্রামের ২২ গজ ব্যাটসম্যানদের আনন্দভূমি। টুর্নামেন্টের সব আসর মিলিয়ে দলীয় সর্বোচ্চ ১৩ ইনিংসের প্রথম ছয়টিসহ ১০টিই হয়েছে এই জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে।
মিরপুরে রানের জন্য হাঁসফাঁস করা ব্যাটসম্যানরা চট্টগ্রামে এসে এবারও দারুণ খুশি। তাদের মধ্যে আছেন খুলনা অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান একই সঙ্গে মনে করিয়ে দিলেন, রান পেতে হলে দ্রুত কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে ব্যাটসম্যান।
“চট্টগ্রাম অন্যতম ‘হাইস্কোরিং গ্রাউন্ড।’ শুধু গত বছর নয়, এখানে বিপিএলের যতগুলো ম্যাচ হয়েছে, সব সময় বড় রান হয়েছে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমরা যেন কন্ডিশনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারি। কারণ, ঢাকা ও চট্টগ্রামের উইকেটের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে।”
“আমরা যত তাড়াতাড়ি মানিয়ে নিতে পারব, আমাদের জন্য ততই ভালো হবে। আশা করছি, উইকেট ভালো হবে। ‘ট্রু অ্যান্ড ফ্রেশ’ উইকেট এবং অবশ্যই ব্যাটিং সহায়ক উইকেট হবে।”
মিরপুরে বোলারদের জন্য অনেক সময়ই বাড়তি সুবিধা থাকে। কখনও কখনও ঠিক জায়গায় বল রাখতে পারলে বাকিটা উইকেটই করে দেয়। সেই সুবিধা মিলবে না চট্টগ্রামে। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ মনে করেন, এই ধরনের উইকেটে সবার স্কিলের পরীক্ষা হয়।
“উইকেট তো অবশ্যই ভালো। প্রত্যেক ব্যাটসম্যান ও বোলারের চ্যালেঞ্জ নিয়ে খেলাটাই গুরুত্বপূর্ণ। যত ভালো উইকেটে খেলবে ব্যাটসম্যানরা, তত রান করে আত্মবিশ্বাস পাবে এবং বোলাররাও অনেক কিছু শিখতে পারবে।”
“আমি মনে করি, ভালো উইকেটে খেলাটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ভালো ক্রিকেট খেললে নিজের আত্মবিশ্বাস ভালো থাকে এবং দলের জন্যও অবদান রাখা যায়। এখানে ভালো উইকেট আছে, সবাই সেভাবেই মানসিক প্রস্তুতি নেবে।”
মিরপুরে টুর্নামেন্টের প্রথম পর্বে সিলেট সানরাইজার্স অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ মিনিস্টার ঢাকা দলকে হারিয়ে দিয়েছে তিন স্পিনারের দারুণ বোলিংয়ে। সেই স্পিনারদের একজন ও সিলেটের অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেনও জানেন, চট্টগ্রামে কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে তাদের।
“চট্টগ্রামে তো সব সময় বোলারদের জন্য বাড়তি চ্যালেঞ্জ থাকেই। আমরা জানি চট্টগ্রামের উইকেট খুব ভালো থাকে ব্যাটসম্যানদের জন্য। আমাদের শক্তির জায়গা স্পিন, এটা ঠিক আছে। তবে আমাদের স্পিনাররা কিন্তু ‘বিগ টার্নার’ না। বেশিরভাগ বোলারের বল স্কিড একটু বেশি করে। আমরা স্পিনাররা চেষ্টা করব ভালো জায়গাতে বোলিং করার।”
একটা শঙ্কার জায়গা অবশ্য আছে। টানা তিন দিন ধরে চট্টগ্রামে সূর্যের দেখা খুব একটা মেলেনি। তেমন একটা রোদ পায়নি উইকেট। তাই একটু স্যাঁতস্যাঁতে থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে শুরুর দিকে ব্যাটিং স্বর্গ পাওয়া যায় কিনা, সংশয় থাকছে।
মিরপুরে এবার অবশ্য দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে বেশ রান হয়েছে। এতে শিশিরের প্রভাব ছিল প্রচণ্ড। চট্টগ্রামে শিশির বেশ অননুমেয়। কখনও কখনও থাকেও না। তাই দিন-রাতের ম্যাচে রানের পার্থক্য নাও থাকতে পারে। ঢাকার মতো চট্টগ্রামে টস অতোটা গুরুত্বপূর্ণ নাও হতে পারে।