আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বললেন পেরেরা

শ্রীলঙ্কার হয়ে সাদা বলের ক্রিকেট খেলা হয় না তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে। সবশেষ টেস্ট খেলেছেন বছর খানেক হলো। অনিয়মিত এই আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের এবার ইতিই টেনে দিলেন লঙ্কান অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার দিলরুয়ান পেরেরা।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Jan 2022, 10:04 AM
Updated : 26 Jan 2022, 10:04 AM

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে পেরেরার বিদায় জানানোর কথা বুধবার নিশ্চিত করে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট (এসএলসি)। ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলা চালিয়ে যাবেন বলে চিঠিতে বোর্ডকে জানিয়েছেন ৩৯ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার।

২০০৭ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে দিয়ে আন্তর্জাতিক আঙিনায় পা রাখেন পেরেরা। দেশের হয়ে শেষ ম্যাচটাও খেললেন তিনি ইংলিশদের সঙ্গেই, গত বছরের জানুয়ারিতে গল টেস্টে।

১৪ বছরের এই পথচলায় তিনি ওয়ানডেতে খেলেছেন কেবল ১৩ ম্যাচ। যেখানে ১৩ উইকেট নেওয়ার সঙ্গে রান করেছেন ১৫২। এই সংস্করণে তার সবশেষ ম্যাচ ২০১৮ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে এশিয়া কাপে।

২০১১ সালে লঙ্কানদের হয়ে টি-টোয়েন্টি অভিষেক তার। ২০ ওভারের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচটিও ওই বছরই। এই সংস্করণে ৩ ম্যাচ খেলে উইকেট ৩টি।

আন্তর্জাতিক আঙিনায় পেরেরার পারফরম্যান্স, পরিচিতি ও নিজের ছাপ রাখা, সবই ছিল মূলত টেস্ট ক্রিকেটে। যদিও টেস্ট ক্যাপ পেতেই তার বয়স হয়ে যায় প্রায় ৩২ বছর। তবে মুত্তিয়া মুরালিধরন পরবর্তী যুগে রঙ্গনা হেরাথের সঙ্গে মিলে কার্যকর একটি স্পিন জুটি তিনি গড়ে তুলতে পারেন। বিশেষ করে দেশের মাঠে।

হারিয়ে যাওয়া সময়টা পুষিয়ে দিতে থাকেন দ্রুতই। অভিষেক টেস্টে পাকিস্তানের বিপক্ষে আটে নেমে ৫ ঘণ্টার বেশি উইকেটে কাটিয়ে ৯৫ রানের ইনিংস খেলেন। দ্বিতীয় টেস্টেই বাংলাদেশের বিপক্ষে মিরপুরে স্বাদ পান ৫ উইকেটের।

পরের সিরিজেই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২ টেস্টে ১৬ উইকেট নিয়ে ম্যান অব দা সিরিজ হন। টেস্ট দলের গুরুত্বপূর্ণ অংশও হয়ে ওঠেন।

এরপর ভালো-মন্দ মিলিয়ে চলতে থাকে ক্যারিয়ার। বলে ধার হারিয়ে ২০১৯ সাল থেকে অবশ্য অনিয়মিত হয়ে পড়েছিলেন দলে। এবার থেমে গেল পাকাপাকিভাবে।

৪৩ টেস্টের ক্যারিয়ারে ৩৫.৯০ গড়ে তার উইকেট ১৬১টি। আটবার করে শিকার করেছেন ইনিংসে চারটি ও পাঁচটি করে উইকেট। ম্যাচে ১০ উইকেট আছে দুবার। দুটিই গলে, একবার প্রতিপক্ষ ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা, আরেকবার অস্ট্রেলিয়া।

১৬১ উইকেটের ১০৮টিই দেশের মাঠে ২৩ টেস্টে। বিদেশে ২০ টেস্টে শিকার কেবল ৫৩টি।

ব্যাট হাতে ৭ ফিফটিতে রান করেছেন ১ হাজার ৩০৩। সাত ও আট নম্বর পজিশনে ব্যাটিং করে এসেছে তার সব অর্ধশতক।