২০২০ সালে জাতীয় দল থেকে ছিটকে যাওয়ার পর ঘরোয়া ক্রিকেটেই টিকে আছে মাশরাফির ক্যারিয়ার। এবারের আগে সবশেষ মাঠে নেমেছিলেন ওই বছরের ১৮ ডিসেম্বর। বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে খেলেছিলেন জেমকন খুলনার হয়ে।
এরপর গোটা ২০২১ সালে মাঠে নামা হয়নি। বিপিএল হয়নি ওই বছর। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ টি-টোয়েন্টি হলেও ফিটনেস সমস্যায় তখন খেলতে পারেননি। পরে ফিটনেস নিয়ে কাজ করে, ওজন অনেক কমিয়ে নিজেকে তৈরি করে রাখেন বিপিএলের জন্য। প্লেয়ার্স ড্রাফটে তাকে দলে নেয় মিনিস্টার ঢাকা।
তবে বিপিএল শুরুর আগে আবার বাধে বিপত্তি। ফিটনেস ট্রেনিংয়ের সময় টান লাগে পিঠে। প্রচণ্ড ব্যথায় বোলিংয়ে বিরতি পড়ে। পরে ব্যথানাশক ইনজেকশন নিয়ে সেখান থেকে আপাত পরিত্রাণ মিললেও নতুন বাধা হয়ে আসে গ্লুটসের চোট। এই চোটের কারণেই মূলত টুর্নামেন্টে ঢাকার প্রথম তিন ম্যাচে তিনি খেলতে পারেননি।
মাঠে ফিরতে গত কয়েকদিনে অনুশীলন চালিয়ে যান তিনি। পুরো রান আপে বোলিং অনুশীলন করে অবশেষে মাঠে নামার মতো অবস্থায় তৈরি করতে পারলেন নিজেকে।
এবারের আগে এত লম্বা সময় মাঠের লড়াই থেকে দূরে থাকতে হয়েছিল তাকে একবারই। সেই ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে, যখন চোটের কারণে ছিলেন বাইরে। ২০০১ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০০৩ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তখন ছিল ৪০৮ দিনের বিরতি।
জাতীয় দল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে অবসর না নিলেও মাশরাফির আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের শেষ বলে ধরে নেওয়া যায় নিশ্চিতভাবেই। তবে কদিন আগেও তিনি বলেছেন, ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলে যাবেন বিপিএল ও ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে।