আইসিসির ওয়েবসাইটে সোমবার সেরাদের নাম ঘোষণা করা হয়। বর্ষসেরা নারী ক্রিকেটারের পুরস্কার জিতেছেন ভারতের ব্যাটার স্মৃতি মান্ধানা।
চার বছর আগে যুব বিশ্বকাপে খেলা শাহিন শাহ আফ্রিদির ২০২১ সাল কাটে অসাধারণ। তিন সংস্করণ মিলিয়ে ৩৬ ম্যাচে ২২.২০ গড়ে নেন ৭৮ উইকেট। সেরা ৫১ রানে ৬ উইকেট।
তিন সংস্করণে বছর জুড়েই আলো ছড়ান তিনি, বিশেষ করে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টিতে কাটে মনে রাখার মতো একটি বছর।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে হওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে গতি আর স্কিল দিয়ে সবাইকে মুগ্ধ করেন আফ্রিদি। প্রথম ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে শুরুতে দারুণ দুটি ডেলিভারিতে দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও লোকেশ রাহুলকে আউট করে তিনিই বেঁধে দেন সুর। যে কোনো সংস্করণের বিশ্বকাপে ১৩ বারের চেষ্টায় প্রথমবারের মতো চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের হারাতে পারে পাকিস্তান, যেখানে জয়ের নায়ক আফ্রিদি।
আসরে পাকিস্তানের সেমি-ফাইনালে খেলার পথে ছয় ম্যাচে তিনি উইকেট নেন ৭টি।
২০ ওভারের সংস্করণে গত বছরে ২১ ম্যাচে তার প্রাপ্তি ২৩ উইকেট। ইনিংসের শুরুতে ও ডেথ ওভারে গতি, সুইং আর ইয়র্কারে নাজেহাল করে ছেড়েছেন ব্যাটসম্যানদের।
টেস্ট ক্রিকেটে নিউ জিল্যান্ডে বছরের শুরুটা তেমন ভালো না হলেও দেশের মাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দারুণ বোলিং করেন তিনি। বছরের বাকিটায় তা ধরে রাখেন জিম্বাবুয়ে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও বাংলাদেশ সফরে। সব মিলিয়ে এই সময়ে ৯ টেস্টে ১৭.০৬ গড়ে উইকেট নেন ৪৭টি।
আফ্রিদি মনে করেন, পাকিস্তানের জয়ে বড় ভূমিকা রাখার কারণেই মিলেছে এই পুরস্কার।
“চেষ্টা ছিল পাকিস্তানের জন্য ভালো করার। এই সময়ে আমরা বেশ ভালো কিছু ম্যাচ জিতেছি। সব সময়ই চেষ্টা থাকে পাকিস্তানের হয়ে ভালো খেলার, এই চেষ্টাটা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।”
“আমাদের বর্তমান পাকিস্তান দলে সবাই সবাইকে সহায়তা করে। আরেকজনের সাফল্যে খুশি হয়। দলের বন্ধন চমৎকার। সবাই ভালো কিছু পারফরম্যান্স উপহার দিয়েছে। তবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে জয়ের কথা আমার সব সময় মনে থাকবে। এটা একটা ঐতিহাসিক ম্যাচ ছিল। অনেক দর্শক ভারতের ম্যাচ দেখে। আমার জন্য ২০২১ সালের ‘হাইলাইট’ ছিল ভারত ম্যাচ।”
কেবল দ্বিতীয় নারী ক্রিকেটার হিসেবে একাধিকবার বর্ষসেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জিতলেন মান্ধানা। ২০১৮ সালে বর্ষসেরা নারী ক্রিকেটারের সঙ্গে ওয়ানডে খেলোয়াড়ের পুরস্কারও জিতেছিলেন তিনি।
মান্ধানার আগে ভারতের প্রথম নারী ক্রিকেটার হিসেবে বর্ষসেরার পুরস্কার জেতেন ঝুলন গোস্বামী, ২০০৭ সালে।
মহামারীকালে ৩৬৪ দিন বাইরে থাকার পর গত ৭ মার্চ মাঠে ফিরে ভারত। এরপর থেকে ২২ আন্তর্জাতিক ম্যাচে ৩৮.৮৬ গড়ে ৮৫৫ রান করেন মান্ধানা। এক সেঞ্চুরির পাশে ছিল পাঁচ ফিফটি। ভারতের মেয়েদের প্রথম দিন-রাতের টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হোবার্টে খেলেন ১২৭ রানের চমৎকার ইনিংস। ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরির জন্য জেতেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার।
২০২১ সালের বর্ষসেরা আম্পায়ারের পুরস্কার পেয়েছেন মারায়াস এরাসমান।