এবার বিপিএলের প্লেয়ার্স ড্রাফটের আগেই গেইলকে চূড়ান্ত করে ফরচুন বরিশাল। সাকিব আল হাসানের দলে খেলতে রোববার সকালে ঢাকায় পা রাখেন ৪২ বছর বয়সী এই ক্যারিবিয়ান ব্যাটসম্যান।
বিপিএলের প্রথম আসরে বরিশালের ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়েই খেলেছিলেন গেইল। সেবার দল ছিল বরিশাল বার্নার্স। সেবার উদ্বোধনী ম্যাচে সেঞ্চুরির পর আরেকটি ম্যাচেও দেখা পেয়েছিলেন শতরানের। ৫টি ম্যাচ খেলেছিলেন তিনি প্রথম আসরে।
দ্বিতীয় আসরে তিনি স্রেফ একটি ম্যাচ খেলেন ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্সের হয়ে। ম্যাচের কয়েক ঘণ্টা আগে ঢাকায় পা রেখে ওই ম্যাচে সেঞ্চুরি করে আবার ফিরে যান।
পরে ২০১৫ আসরে ৪টি ম্যাচ খেলেন বরিশাল বুলসের হয়ে, ২০১৬ সালে চিটাগং ভাইকিংসের হয়ে ৫টি। ২০১৭ ও ২০১৯ আসরে খেলেন রংপুর রাইডার্সে। সবশেষ ২০২০ সালে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের হয়ে খেলেন ৪ ম্যাচ।
সব মিলিয়ে বিপিএলে ৪২ ইনিংস খেলে ৪১.১৬ গড়ে তার রান ১ হাজার ৪৮২। স্ট্রাইক রেট ১৫৬.৫৯, টুর্নামেন্টে হাজার রান করা ব্যাটসম্যানদের মধ্যে তার স্ট্রাইক রেটই সেরা। তার ৫ সেঞ্চুরির রেকর্ডের ধারেকাছে নেই কেউ।
ঢাকায় আসার পর গেইলের কোভিড পরীক্ষা। ছবি: ফরচুন বরিশাল।
৬৯ বলের ইনিংসে সেদিন ১৮টি ছক্কা মেরেছিলেন তিনি। টি-টোয়েন্টিতে ব্যক্তিগত ইনিংসে সবচেয়ে বেশি ছক্কার বিশ্বরেকর্ড সেটি।
মাত্র ৪২ ইনিংসেই ১৩২টি ছক্কা মেরেছেন তিনি বিপিএলে। টুর্নামেন্টে সবচেয়ে বেশি ছক্কার রেকর্ডের দুইয়ে থাকা ইমরুল কায়েসের ছক্কা ৮১ ইনিংসে মোটে ৭৪টি!
সব মিলিয়ে এই টুর্নামেন্টে তার রেকর্ড দারুণ। যদিও বয়সের থাবায় তার সেরা ফর্ম অতীত হয়ে গেছে বেশ আগেই। বিপিএলের গত আসরে খুব একটা ভয়ঙ্কর হতে পারেননি তিনি। সাম্প্রতিক সময়ে অন্যান্য ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগগুলোতেও তার ব্যাটে ভাটার টান ফুটে উঠেছে স্পষ্ট। এবার তো আইপিএলের নিলামেই নিজের নাম তোলেননি তিনি।
তবে বিপিএল তার প্রিয় বিচরণ ক্ষেত্র। ফরচুন বরিশালের ভিডিও বার্তায় বললেন, এবারও এখানে নিজেকে মেলে ধরতে চান তিনি।
“ফরচুন বরিশাল… ক্রিস গেইল, ইউনিভার্স বস, আমাকে নেওয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা। সবার সঙ্গে দেখা করতে মুখিয়ে আছি আমি, দারুণ কিছু করার অপেক্ষায় আছি। প্রথম জয়ের জন্য অভিনন্দন, পরের ম্যাচের জন্য শুভ কামনা। আমি যখন দলে যোগ দেব, ইউনিভার্স বস তার কাজ শুরু করে দেবে। উষ্ণ আতিথেয়তার জন্য ধন্যবাদ।”
টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে এবার চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে হারিয়েছে বরিশাল। দ্বিতীয় ম্যাচে সোমবার দুপুরে তাদের প্রতিপক্ষ মিনিস্টার ঢাকা। এই ম্যাচের আগেই তার ২৪ ঘণ্টার কোয়ারেন্টিন শেষ হয়ে যাবে। কোভিড নেগেটিভ হওয়া সাপেক্ষে এই ম্যাচ দিয়েই মাঠে নামতে দেখা যেতে পারে তাকে।