ইয়র্কশায়ারের প্রধান কোচ হলেন গিবসন

ইংলিশ কাউন্টি দল ইয়র্কশায়ারের প্রধান কোচের দায়িত্ব নিলেন বাংলাদেশের সাবেক বোলিং কোচ ওটিস গিবসন। কাউন্টি ক্রিকেটের দীর্ঘ ইতিহাসে দ্বিতীয় কৃষ্ণাঙ্গ প্রধান কোচ হলেন সাবেক এই ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Jan 2022, 03:56 PM
Updated : 19 Jan 2022, 03:56 PM

৫২ বছর বয়সী গিবসনকে তিন বছরের চুক্তিতে নিয়োগ দেওয়ার বিষয়টি বুধবার এক বিবৃতিতে জানায় ইয়র্কশায়ার।

সম্প্রতি নিউ জিল্যান্ড সফর দিয়ে শেষ হয় বাংলাদেশের দায়িত্বে গিবসনের মেয়াদ। বিসিবির সঙ্গে তিনি চুক্তি নবায়ন করেননি। এরপর পাকিস্তান সুপার লিগের দল মুলতান সুলতানসের সহকারী ও ফাস্ট বোলিং কোচের দায়িত্ব নেন তিনি। আগামী মাসে এই টুর্নামেন্ট শেষের পরই তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে ইয়র্কশায়ারের দায়িত্ব নেবেন।

গিবসন ইয়র্কশায়ারের অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড্যারেন গফের কাছে রিপোর্ট করবেন এবং মূল দলের পারফরম্যান্স এবং ম্যানেজমেন্টের সবকিছু দেখভাল করবেন। শিগগিরই তার দুজন সহকারী কোচ নিয়োগ দেওয়া হবে।

ইয়র্কশায়ারের সাবেক ক্রিকেটার আজিম রফিক ক্লাবে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে বর্ণবাদের শিকার হওয়ার অভিযোগ করার পর ক্লাবটি সম্প্রতি তাদের আগের কোচিং ও মেডিকেল স্টাফদের বরখাস্ত করে। এর মধ্যে প্রধান কোচের দায়িত্বে থাকা অ্যান্ড্রু গেলসহ আছেন ১৬ জন। এরপরই নিয়োগ দেওয়া হলো গিবসনকে।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে দুই টেস্ট ও ১৫ ওয়ানডে খেলা গিবসনের প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ার দারুণ সমৃদ্ধ। বিশেষ করে ইংলিশ কাউন্টিতে ইনিংসে ১০ উইকেটের সবকটি নেওয়ার কীর্তিসহ তার রেকর্ড দুর্দান্ত। পরে কোচিংয়ে তিনি খ্যাতি অর্জন করতে শুরু করেন ইংল্যান্ড থেকেই। ২০০৭ সাল থেকে তিন দফায় ছিলেন ইংল্যান্ডের বোলিং কোচ।

কোচ হিসেবে সেরা সাফল্য অবশ্য তার নিজ দেশ ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়েই। ২০১০ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত ছিলেন ক্যারিবিয়ানদের কোচ। তার কোচিংয়েই ২০১২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পরে দায়িত্ব নেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রধান কোচের।

২০২০ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশ জাতীয় দলের বোলিং কোচ হওয়ার ঠিক আগে বিপিএলে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের কোচ ছিলেন তিনি। বিপিএল চলার সময়ই বিসিবি তার সঙ্গে আলোচনা করে এবং পরে তাকে দেয় দায়িত্ব।

বাংলাদেশের দায়িত্বেও তাকে যথেষ্ট সফল বলতে হবে। কাজ শুরুর পর থেকেই বাংলাদেশের পেস বোলিং সংস্কৃতি বদলানো, পেসারদের আরও বেশি সুযোগ দেওয়া নিয়ে উচ্চকিত ছিলেন তিনি। পেসারদের তৈরি করে দেওয়াতেও তার চেষ্টা চোখে পড়ে সবারই। তাসকিন আহমেদের বদলে যাওয়া, মুস্তাফিজুর রহমানের স্কিল বাড়ানো, ইবাদত হোসেন চৌধুরির সাম্প্রতিক উত্থান, হাসান মাহমুদ, শরিফুল ইসলামের মতো তরুণদের উন্নতি, সবকিছুতেই তার বড় অবদান আছে।

ইয়র্কশায়ারের দায়িত্ব পেয়ে উচ্ছ্বসিত গিবসনের কাজ শুরু করতে যেন তর সইছে না।

“ইয়র্কশায়ার কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাবের প্রধান কোচ হিসেবে দায়িত্ব পেয়ে আমি খুবই সম্মানিত এবং উচ্ছ্বসিত। এটি ইংলিশ কাউন্টি ক্রিকেটে সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ ভূমিকাগুলির একটি। প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের সঙ্গে কাজ করে ক্লাবকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমি মুখিয়ে আছি।”