ক্লুজনারের চোখে ‘সবচেয়ে স্মার্ট মস্তিষ্ক’ মুশফিকের

একজন বাংলাদেশ ক্রিকেটের বড় তারকা, আরেকজন আলাদা জায়গা নিয়ে আছেন বিশ্ব ক্রিকেটের ইতিহাসে। এবার দুজন জুটি বাঁধছেন বিপিএলে। এবারের আসরে খুলনা টাইগার্সের নেতৃত্বে মুশফিকুর রহিম। এই দলের কোচ হিসেবে থাকছেন ল্যান্স ক্লুজনার। এই জুটি কতটা জমবে, তা বলবে সময়। তবে মাঠের অভিযান শুরুর আগে মুশফিককে স্তুতিতে ভাসালেন ক্লুজনার।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Jan 2022, 01:50 PM
Updated : 19 Jan 2022, 01:50 PM

বিশ্ব ক্রিকেটে ‘জুলু’ নামে পরিচিত সাবেক দক্ষিণ আফ্রিকান অলরাউন্ডারের কোচিং ক্যারিয়ারও এখন বেশ অনেক দিনের। বিপিএলেও কাজ করার অভিজ্ঞতা তার আছে। ২০১৯ আসরে ছিলেন তিনি রাজশাহী কিংসের কোচ। পরে প্রায় দুই বছর দায়িত্ব পালন করেন আফগানিস্তান জাতীয় দলের প্রধান কোচ হিসেবে। আফগানদের দায়িত্ব ছাড়ার পর আবার বিপিএলে ফিরেছেন তিনি নতুন দলের কোচ হয়ে।

নতুন এই অভিযানে সাফল্য পেতে ক্লুজনারকে অনেকটা নির্ভর করতে হবে মুশফিকের ওপর। মাঠের ক্রিকেটে তো নেতৃত্ব দেবেন বাংলাদেশের এই অভিজ্ঞ ক্রিকেটারই। মিরপুর একাডেমি মাঠে অনুশীলন শেষে বুধবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ক্লুজনার জানিয়ে দিলেন, মুশফিকের সামর্থ্যে তার আস্থা প্রবল।

“মুশফিকের সঙ্গে কাজ করতে আমি অপেক্ষা করে আছি। এর আগে সেই সুযোগ হয়নি আমার। সে সম্ভবত বাংলাদেশের সবচেয়ে স্মার্ট ক্রিকেট মস্তিষ্ক ও সবচেয়ে কঠিন মানসিকতার ক্রিকেটার। আমার জন্য এরকম একজন ক্রিকেটারের সঙ্গে কাজ করতে পারা সম্মানের। তার সঙ্গে সম্পর্ক গড়তে এবং তাকে সহায়তা করতে মুখিয়ে আছি আমি।”

এই সম্পর্ক গড়া এবং সহায়তার চেষ্টা, সবকিছুর মূল উদ্দেশ্য টুর্নামেন্টের শিরোপা জয়। নিজেদের লক্ষ্য জানিয়ে দিতে দারুণ অকপট ক্লুজনার।

“আমরা এখানে আছি টুর্নামেন্ট জিততে। একটু আগে ছেলেদের সঙ্গে এটা নিয়েই কথা হচ্ছিল। আমাদের জন্য এটি না পারার কারণ নেই। আমিও এখানে এসেছি শিরোপা জিততে। জানি, এখানে আরও অনেক ভালো দল আছে। তবে দিনশেষে, তিন সপ্তাহ পর আমরা যদি ট্রফির লড়াইয়ে থাকতে পারি, আমাদের জন্য হবে দারুণ অর্জন।”

সেই লক্ষ্য পূরণে ক্লুজনারের বাজি মুশফিকরাই। থিসারা পেরেরা, সিকুগে প্রসন্নর মতো অভিজ্ঞ বিদেশি ক্রিকেটার আছেন খুলনা দলে। আছেন আফগান পেসার নাভিন উল হক। তবে ক্লুজনারের মতে, ট্রফি জিততে হলে ভালো করতে হবে স্থানীয় ক্রিকেটারদের।

“আমি বিশ্বাস করি, বাংলাদেশে বিদেশিদের দিয়ে বিপিএল জেতা যায় না। আমার মনে হয়, বিপিএল জিততে হয় দেশের ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্সে। আমাদের মনোযোগ সেদিকেই যেন স্থানীয় ক্রিকেটারদের সম্ভব সেরাভাবে এক সুতোয় গাঁথতে পারি।”

“গত চার-পাঁচ বছরের অতীত বলবে, স্থানীয় ক্রিকেটাররাই দলকে শেষ পর্যন্ত টেনে নেয়। এদিকেই আমাদের মনোযোগ। বড় নাম নিয়ে ভাবনা নেই আমাদের। আমাদের চেষ্টা থাকবে স্থানীয় ক্রিকেটারদের সেরাটা বের করে আনা। বিদেশিরা তাদেরকে সহায়তা করবে।”

স্থানীয় ক্রিকেটারদের দিকে ক্লুজনারের এত মনোযোগের মূল কারণ, বাংলাদেশের কন্ডিশন। ১৯৯৯ বিশ্বকাপে ব্যাটে-বলে ঝড় তোলা এই অলরাউন্ডারের মতে, বিদেশিদের জন্য এখানকার কন্ডিশন খুব কঠিন।

“আমার মতে, বাংলাদেশ সম্ভবত ক্রিকেট খেলতে আসার জন্য সবচেয়ে কঠিন জায়গা। বিদেশি যে দলগুলি এসেছে, তাদের ক্ষেত্রে আমরা দেখেছি এটা। এজন্যই আমরা নিশ্চিত করতে চাই যেন স্থানীয়রা নিজেদের মেলে ধরতে পারে।”