বাংলাদেশের হয়ে ১১ টেস্ট, ৬৬ ওয়ানডে ও ৪৪ টি-টোয়েন্টি খেলা সাব্বির জাতীয় দলের বাইরে আছেন বেশ কিছুদিন ধরেই। সবশেষ তাকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দেখা গেছে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে, চট্টগ্রামে আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে।
জাতীয় দল থেকে বাদ পড়ার পর তেমন কিছু করতে পারেননি ঘরোয়া ক্রিকেটেও। ক্রমে তাই তিনি চলে যেতে থাকেন দৃশ্যপটের আড়ালে। সম্প্রতি জাতীয় লিগে স্রেফ একটি ম্যাচ খেলে পারফর্ম করতে পারেননি, বিসিএলে তো সুযোগই পাননি।
যে সংস্করণকে মনে করা হয় তার ব্যাটিংয়ের সবচেয়ে উপযোগী, সেই টি-টোয়েন্টির সবশেষ ঘরোয়া আয়োজনেও তিনি ছিলেন ব্যর্থ। গত জুনে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ টি-টোয়েন্টিতে লেজেন্ডস অব রূপগঞ্জের হয়ে ১২ ইনিংস খেলে ফিফটি করতে পারেননি একটিও। ২২৯ রান করেন ২২.৮০ গড় ও স্রেফ ১০৪.৫৬ স্ট্রাইক রেটে।
এখন তিনি নিজেকে ফিরে পাওয়ার আশায় আছেন বিপিএলে। এবারের আসরে খেলবেন তিনি চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সে। মিরপুর একাডেমি মাঠে দলের অনুশীলনের ফাঁকে বুধবার তিনি বললেন, এই আসরের জন্য লম্বা সময় ধরে প্রস্তুতি নিয়েছেন নিজ শহর রাজশাহীতে।
“বিপিএলের ভাবনায় গত আড়াই-তিন মাস ধরে অনুশীলন করছি রাজশাহীতে। যেগুলো দরকার ছিল, শট খেলার বা দুর্বল জায়গা নিয়ে কাজ করেছি। ফিটনেস নিয়ে কিছু কাজ করেছি। আশা করি, বিপিএল যেন ভালোভাবে কাটাতে পারি এবং নিজের যে লক্ষ্য আছে, সেটা যেন পূরণ করতে পারি।”
নিজের সেই লক্ষ্যের কথাও সাব্বির খোলাসা করে দিলেন সরাসরিই।
“আমার জন্য শুধু নয়, সবারই জন্যই, যারা জাতীয় দলের বাইরে আছেন, তাদের জন্য সবচেয়ে বড় মঞ্চ এই বিপিএল। আশা করি, সবাই যেন ভালো খেলে ফিরে আসতে পারে। আমিও যেন ভালো খেলে ফিরে আসতে পারি, এই আশা থাকবে।”
লক্ষ্যের কথা বললেন বটে, তবে অতীত অভিজ্ঞতায় তার নিজের মনেই সংশয় সেই লক্ষ্য পূরণে। ৩০ বছর বয়সী ক্রিকেটার তাই এগোতে চান একটি করে ম্যাচ ধরে।
“আমি কোনো লক্ষ্য অর্জন করতে পারি না। এটা অনেক আগে থেকেই। তবে ম্যাচ বাই ম্যাচ খেলব ইনশাল্লাহ। শতভাগ দেওয়ার চেষ্টা করব সবসময় যেন দলে আমার ইনপুট ভালো হয় এবং সবদিক থেকে যেন অলরাউন্ড পারফর্ম করতে পারি।”
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স দল গড়েছে তারুণ্যে জোর দিয়ে। অভিজ্ঞ ক্রিকেটার দলে খুব একটা নেই। অভিজ্ঞ হিসেবে সাব্বিরের দায়িত্ব তাই একটু বেশিই থাকবে।
সেই দায়িত্ব পূরণে শুধু ব্যাট হাতে নয়, অবদান রাখতে চান তিনি বোলিংয়েও।
“অনুশীলন করছি। বোলিং করেছি, রাজশাহীতেও বোলিং করেছি। দলের প্রয়োজন পড়লে আমি আছি অবশ্যই এবং দলের যেটা প্রয়োজন, শতভাগ তা দেওয়ার চেষ্টা করব।”