বিপিএলে ড্রাফটের আগেই এবার কুমিল্লা চমক দেখায় ফাফ দু প্লেসি, সুনিল নারাইন ও মইন আলির মতো তিন তারকাকে দলে নিয়ে। ড্রাফটের পর তারা দলে নেয় ক্যামেরন দেলপোর্ট ও করিম জানাতকে।
দেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে মুস্তাফিজুর রহমানকে তারা ড্রাফটের আগেই নিশ্চিত করে ফেলে। ড্রাফট থেকে নেয় লিটন কুমার দাস, ইমরুল, মাহমুদুল হাসান জয়, মুমিনুল হক, পারভেজ হোসেন ইমন, আরিফুল হক, তানভির ইসলামদের।
নেতৃত্বে ভরসা রাখছে তারা পুরনো কাঁধে। ২০১৯ বিপিএলে দলকে শিরোপা এনে দেওয়া অধিনায়ক ইমরুলকে আবার তারা দিয়েছে দায়িত্ব।
আনুষ্ঠানিকভাবে নেতৃত্ব নিশ্চিত হওয়ার পর বুধবার মিরপুর একাডেমি মাঠে অনুশীলনের ফাঁকে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ইমরুল বললেন, এবার মাঠের ক্রিকেটে নিজেদের মেলে ধরার পালা।
“টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে প্রতিটা দলই ভালো। কেউ বলতে পারবে না যে আমরা কম ভালো দল। এখন জিনিসটা হচ্ছে, মাঠে ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে। নাম দিয়ে ক্রিকেট হয় না। যদিও আমাদের দলে অনেক বড় বড় নাম আছে। তবে মাঠে খেলেই নিজেদের প্রমাণ করতে হবে। পারফর্ম যদি ভালো করতে পারি, তাহলেই বোঝা যাবে আমরা কত ভালো দল।”
সেই বড় নামগুলির মধ্যেও বড় নিঃসন্দেহে ফাফ দু প্লেসি। সাবেক দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক প্রথমবারের মতো খেলবেন বিপিএলে।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানালেও তার কার্যকারিতা কমেনি ব্যাট হাতে। গত আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংসের শিরোপা জয়ে তিনি বড় অবদান রাখেন ১৬ ইনিংসে ৪৫.২১ গড় ও ১৩৮.২০ স্ট্রাইক রেটে ৬৩৩ রান করে। টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান স্কোরার ছিলেন তিনি, ফাইনালে ম্যাচ সেরা হন ৫৯ বলে ৮৬ রানের ইনিংস খেলে। পরে ডিসেম্বরে তিনি খেলেন টি-টেন লিগে।
৩৭ বছর বয়সী এই ক্রিকেটারের সঙ্গে বুধবার অনুশীলনে অনেকটা সময় ধরে কথা বলতে দেখা যায় ইমরুলকে। পরে নিজেদের সেই কথোপকথনের সারমর্ম তুলে ধরলেন ইমরুল।
“ফাফ দু প্লেসি অনেক বড় তারকা। বিশেষ করে টি-টোয়েন্টিতে। তার অভিজ্ঞতা আমার সঙ্গে ভাগাভাগি করছিল যে কীভাবে আইপিএল ও অন্যান্য টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে ব্যাট করে। আমি তাকে আমাদের দেশের উইকেটের কথা বললাম, শুরুতে উইকেট কেমন থাকে, চট্টগ্রামে কেমন থাকে, পরিকল্পনা কেমন হওয়া উচিত। সেও ভালো ভালো পরামর্শ দিয়েছে আমাদের, যা দলকে সহায়তা করবে। যেহেতু অনেক সিনিয়র ক্রিকেটার, মাঠের ভেতরে তার সাহায্য আমাদের প্রয়োজন।”