বিপিএলে নিজেদের দুটি শিরোপাই কুমিল্লা জিতেছে সালাউদ্দিনের কোচিংয়ে। এবারও কোচ হিসেবে তাকে বেশ আগেই নিশ্চিত করে ফেলে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। পরে তারা বড় চমক দেখায় স্টিভ রোডসকে এনে। বাংলাদেশের সাবেক প্রধান কোচকে তারা দলে যুক্ত করে পরামর্শক হিসেবে।
কোচ ও পরামর্শকের ভূমিকা অনেক সময় কাছাকাছিই। তাদের নিজেদের মধ্যে যেমন, তেমনি ক্রিকেটারদের মধ্যেও তাই সংশয় তৈরি হওয়ার অবকাশ থাকে। তবে রোডস সেই সুযোগই রাখতে চান না।
মিরপুর একাডেমি মাঠে অনুশীলন শেষে মঙ্গলবার বিকেলে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এই ইংলিশ কোচ সুনির্দিষ্ট করেই তুলে ধরলেন দুজনের ভূমিকা।
“আপনারা সবাই জানেন, সালাউদ্দিন খুবই সফল একজন কোচ। সেটা শুধু বিপিএলেই নয়, বরং দারুণ সব ক্রিকেটারকে তুলে আনায় তার ভূমিকাতেও। আশা করি, প্রধান কোচ হিসেবে তার সাফল্য অব্যাহত থাকবে। সে-ই প্রধান কোচ। আমি এখানে এসেছি শুধু ক্রিকেটারদের জন্য নয়, কোচদের সহায়তার জন্যও। আশা করি, আমার অভিজ্ঞতা ও ক্রিকেট জ্ঞান দিয়ে এখানে-সেখানে কিছু যোগ করতে পারব।”
রোডস ইংলিশ কাউন্টি ক্রিকেটের অভিজ্ঞ একজন কোচ। বাংলাদেশ জাতীয় দলের প্রধান কোচ হিসেবে ছিলেন যথেষ্ট সফল। সালাউদ্দিন বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের সফল কোচ। অনেকের মতে, দেশের কোচদের মধ্যে তিনিই সেরা। ঘরোয়া ক্রিকেটে নিজের দায়িত্বে তিনি স্বাধীনতা নিয়ে নিজের মতো করে কাজ করতে পছন্দ করেন।
দুজনই দলের শীর্ষ পর্যায়ে থাকলেও মনোমালিন্য হবে না বলেই বিশ্বাস রোডসের। সালাউদ্দিনকে প্রাপ্য সম্মান ও কাজের জায়গা দিয়েই নিজের কাজে এগোতে চান ৫৭ বছর বয়সী এই কোচ।
“সালাউদ্দিনের সঙ্গে আমার সম্পর্ক সত্যিই দারুণ এবং আশা করি এটা (দুজনের সংযোগ) খুব ভালোভাবে কাজে দেবে। ক্রিকেটাররা যেন জানে যে সালাউদ্দিনই প্রধান কোচ, এটা গুরুত্বপূর্ণ। আমি এখানে আছি স্রেফ একটু সহায়তা করার জন্য। আপনাদের মাধ্যমে সমর্থকদেরও এই বার্তা দিতে চাই যে সে প্রধান কোচ।”
“কুমিল্লা দারুণ এক সংগঠন, ভিক্টোরিয়ান্সরা দারুণ সফল। দীর্ঘদিন যেন এটা চলতে থাকে এবং আমি যদি সেই সাফল্যের অংশ হতে পারি… এই পথে তাদের সহায়তা করতে চাই, সেজন্যই আমি এখানে।”