দলটির জার্সি উন্মোচন অনুষ্ঠানে সোমবার সন্ধ্যায় অধিনায়ক হিসেবে ঘোষণা করা হয় মাহমুদউল্লাহর নাম।
মাশরাফি, তামিম ছাড়াও মাহমুদউল্লাহ এই দলে সতীর্থ হিসেবে পাচ্ছেন রুবেল হোসেন, শফিউল ইসলাম, জহুরুল ইসলাম, শুভাগত হোম চৌধুরি, আরাফাত সানি, শামসুর রহমানের মতো দেশের সিনিয়র ক্রিকেটারদের।
এরকম একটি দলের অধিনায়ক হওয়ার শঙ্কা-সম্ভাবনার নানা দিক আছে। তবে মাহমুদউল্লাহ দেখছেন ইতিবাচক ছবিই।
“না না, কোনো চাপ নেই। আমার কোনো চাপ নেই। আমি খুবই খুশি, এরকম দল পেয়েছি। আমাদের দলের সবচেয়ে ইতিবাচক দিক হলো যে, অভিজ্ঞ ক্রিকেটার অনেক। পাশাপাশি, ম্যাচ উইনারও অনেক আছে। এটা গুরুত্বপূর্ণ। তবে দিনশেষে, দল হিসেবে আমাদের ভালো খেলতে হবে। দল হিসেবে ভালো খেলতে পারলে আমরা ভালো কিছু করতে পারব।”
“এই দায়িত্ব পেয়ে আমি সম্মানিত। সবচেয়ে বড় কথা হলো, বিপিএলে আমি সবসময়ই ঢাকায় খেলতে চেয়েছি। সেই সুযোগ পেয়েছি এবার। আরও বড় ব্যাপার হলো, তামিম, আমি, রুবেল, মাশরাফি ভাই, আমরা একসঙ্গে খেলছি। এই চারজন সম্ভবত প্রথমবার একসঙ্গে খেলছি। মাঠের বাইরে আমাদের ভালো সময় কাটবে। মাঠেও আশা করি ভালো কিছু করব।”
পরীক্ষিত সব পারফরমারকে নিয়ে গড়া দল হলেও এবারের বিপিএলে এই দলের সামনে অনেক পরীক্ষা উতরানোর ব্যাপার আছে বলে মনে করেন মাহমুদউল্লাহ।
“একটা ব্যাপার শুধু বলতে চাই, এই টুর্নামেন্টে অনেক কিছুই দেখানোর ব্যাপার আছে। আশা করি, আমার সতীর্থরাও ওই চ্যালেঞ্জটা নেবে এবং ভালো করবে। ফলাফল আল্লাহর হাতে, প্রক্রিয়া আমাদের হাতে। প্রক্রিয়া মেনে চললে আশা করি ফলও পক্ষে আসবে।”
দলের সত্বাধিকারী ও মিনিস্টার গ্রুপের চেয়ারম্যান এমএ রাজ্জাক সংবাদ সম্মেলনে জানালেন, মাশরাফি-তামিমদের সঙ্গে পরামর্শ করেই অধিনায়ক করা হয়েছে মাহমুদউল্লাহকে। তামিম পরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বললেন, মাহমুদউল্লাহর নেতৃত্ব পাওয়াটা একরকম অবধারিতই ছিল।
“টি-টোয়েন্টিতে তিনি খুবই ভালো করেছেন। তার নেতৃত্বে নিউ জিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়ার মতো দলের বিপক্ষে আমরা জিতেছি। আমি উনার ব্যাপারে মন্তব্য করার কেউ নই। কারণ উনি কী করেছেন না করেছেন, সবার সামনে তা উন্মুক্ত। বাংলাদেশের এখনকার টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক তিনি, তারই অধিনায়ক হওয়া উচিত।”