বাংলাদেশ ও নিউ জিল্যান্ডের টেস্ট সিরিজ, অ্যাশেজের চতুর্থ টেস্ট ও ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় টেস্টের পারফরম্যান্সের ওপর ভিত্তি করে বুধবার র্যাঙ্কিংয়ের সাপ্তাহিক হালনাগাদ প্রকাশ করে আইসিসি। যেখানে ব্যাটসম্যানদের তালিকায় উন্নতি করেছেন মুমিনুল হক, নাজমুল হোসেন শান্তও।
মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে বাংলাদেশের ইতিহাস গড়া টেস্টে এক ইনিংসে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়ে ৮৬ রান করেন লিটন। ম্যাচটি ৮ উইকেটে জিতে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট জয়ের কীর্তি গড়ে সফরকারীরা।
দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে ব্যর্থ লিটন নিজেকে মেলে ধরেন দ্বিতীয়ভাগে। ক্রাইস্টচার্চে দলের ইনিংস ব্যবধানে হারের ম্যাচে দৃষ্টিনন্দন এক সেঞ্চুরি উপহার দেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। খেলেন ১০২ রানের ঝকঝকে ইনিংস।
এই পারফরম্যান্সে ব্যাটসম্যানদের তালিকায় ১৭ ধাপ ওপরে উঠেছেন তিনি। টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে বর্তমানে লিটনের ওপরে নেই বাংলাদেশের আর কেউ।
টেস্ট ব্যাটসম্যানদের র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের সবসময়ের দ্বিতীয় সেরা অবস্থান লিটনের। সেরা অবস্থান তামিমের ১৪তম, ২০১৭ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মিরপুর টেস্টের পর। এখন পর্যন্ত ব্যাটসম্যানদের তালিকায় সেরা ১৫তে জায়গা পাওয়া বাংলাদেশের ক্রিকেটার কেবল তারা দুইজন।
প্রথম টেস্ট জয়ে অবদান আছে মুমিনুলের। প্রথম ইনিংসে ৮৮ রান করা বাংলাদেশ অধিনায়ক দ্বিতীয়ভাগে ১৩ রান করে দলের জয় সঙ্গে নিয়ে ফেরেন। দ্বিতীয় টেস্টে অবশ্য জ্বলে উঠতে পারেননি বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। প্রথম ইনিংসে শূন্য রানে আউট হওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে করেন ৩৭। র্যাঙ্কিংয়ে আট ধাপ এগিয়ে তিনি আছেন ৩৭তম স্থানে।
বড় লাফ দিয়েছেন শান্ত। সিরিজে কেবল এক ফিফটি করেই তিনি এগিয়েছেন ২১ ধাপ, আছেন ৮৭ নম্বরে।
নিউ জিল্যান্ডের মাটিতে তিন সংস্করণ মিলিয়ে বাংলাদেশকে প্রথমবার কোনো জয় এনে দেওয়ার কারিগরদের একজন ইবাদত হোসেন। মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে ৪৬ রান দিয়ে ৬ উইকেট নেন তিনি, দেশের বাইরে যা বাংলাদেশের কোনো পেসারের সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড।
প্রথম টেস্টে ৭টি, পরের টেস্টে ২টি উইকেট নেওয়া ইবাদত বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে এগিয়েছেন ১৭ ধাপ। তার অবস্থান এখন ৮৮তম স্থানে।