টেইলরকে বিদায়ী উপহার দিতে পারার তৃপ্তি ল্যাথামের

বিদায়ী টেস্ট নিয়ে অনেক কিছু ভেবে থাকতে পারেন রস টেইলর। তবে বাস্তবে যা হলো, তেমন কিছু নিশ্চয়ই তার ভাবনার সীমানাতেও ছিল না। নিউ জিল্যান্ডের সফলতম ব্যাটসম্যান টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন শেষ বলে উইকেট নিয়ে। দারুণ ক্যাচ নিয়ে উইকেট নেওয়ায় অবদান যার, সেই টম ল্যাথাম উচ্ছ্বসিত তাদের ক্রিকেট নায়কের এই প্রাপ্তিতে।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 Jan 2022, 12:05 PM
Updated : 11 Jan 2022, 12:05 PM

ক্রাইস্টচার্চ টেস্টের তৃতীয় দিনের শেষবেলায় আসে সেই মুহূর্তটি। উইকেটে তখন বাংলাদেশের শেষ জুটি। ২০১৩ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টে বল হাতে নেওয়ার পর এই প্রথমবার বোলিংয়ে আসেন টেইলর।

উইকেট নিতে তার লাগে স্রেফ ৩ বল। উড়িয়ে মারতে গিয়ে ল্যাথামের হাতে ধরা পড়েন ইবাদত হোসেন।

ম্যাচের পর ল্যাথাম শোনালেন টেইলরকে বোলিংয়ে আনার প্রেক্ষাপট ও প্রাপ্তির আনন্দ।

“দর্শকদের কাছ থেকে তো বটেই, ছেলেদের (সতীর্থরা) কাছ থেকেও চাপ আসছিল রসকে বোলিং দিতে। আম্পায়ারদের ভূমিকাও ছিল। আলো কমে আসছিল, তারা বলছিল যে সিমারদের বল করাতে পারব না। এরপর তো স্রেফ একটি পথই খোলা থাকে, রসকে বোলিং দেওয়া। শেষটা যেভাবে হলো, এর চেয়ে ভালো চিত্রনাট্য আর হতে পারে না।”

“(বল যখন আকাশে) সবাই চাচ্ছিল, আমি যেন ক্যাচ নিতে পারি। এভাবে টেস্ট থেকে বিদায় নিতে পারাটা স্পেশাল। নিউ জিল্যান্ড ক্রিকেটের জন্য ১৭ বছর ধরে রস ছিল অসাধারণ। আজকে রাতে ওর পরিবারের সঙ্গে উদযাপন করতে মুখিয়ে আছি আমরা।”

দীর্ঘ পথচলায় টেইলরের কাছ থেকে পাওয়া শিক্ষা ও নিউ জিল্যান্ডের ক্রিকেটে তার অবদানের কথাও তুলে ধরলেন ল্যাথাম।

“(শিখতে পেরেছি) তার ধীরস্থির ধরন এবং বিশ্বের সব জায়গায় রান করেছে সে, কীভাবে সে সেসব করতে পেরেছে। কীভাবে সে ভিন্ন ভিন্ন বোলারদের দেখে। দল হিসেবে আমাদের ওপর এবং নিউ জিল্যান্ড ক্রিকেটের ওপর তার প্রভাব অনেক।”

“প্রজন্ম থেকে প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করেছে সে। আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে ক্রিকেট খেলতে। সে এমন একজন, সবসময় যার ওপর ভরসা রাখতাম। তার সঙ্গে ক্রিকেট খেলতে পারা ওবং তার শেষ টেস্ট একসঙ্গে খেলতে পারা, বেশ স্পেশাল।”