তিন দিনেই ইনিংস ব্যবধানে পরাজয়ের ম্যাচে লিটন খেলেন ১০২ রানের মাস্টারক্লাস ইনিংস। দারুণ সব পুল, ড্রাইভ আর আপার কাটে সাজানো তার ১১৪ বলের ইনিংস। ১৪ চারের পাশে ছক্কা একটি।
যে কর্তৃত্ব নিয়ে কিউই পেসারদের সামাল দিয়েছেন লিটন, বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের জন্য বিরল। তাই বড় হারের মুখে থেকেও তার ব্যাটিং উপভোগ করেছেন মুমিনুলরা।
“লিটন টেকনিক্যালি অনেক সাউন্ড। লিটনের ব্যাটিং দেখলে তো মনে হয়, ও অনেক বেশি সময় পায়। বিশ্বমানের খেলোয়াড়দের মতো।”
“ব্যাটিং দেখতে খুব ভালো লাগছিল। আমরা সবাই খুব খুশি হয়েছি। এই বছরে টানা দুই সিরিজে দুটি সেঞ্চুরি করেছে সে, দলের সবাই খুশি। আমিও খুব উপভোগ করেছি ওর ব্যাটিং।”
দেশের মাটিতে সবশেষ সিরিজে পাকিস্তানের বিপক্ষে ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরির দেখা পান লিটন। এবার দেশের বাইরেও পেলেন তিন অঙ্কের দেখা।
ইনিংসের শুরুতে ছিলেন সাবধানী, প্রথম ৩০ বলে করেন কেবল ৬ রান। ৪৬তম বলে মারেন প্রথম বাউন্ডারি। পরে একটার পর বাউন্ডারি আসতে থাকে তার ব্যাট থেকে। মুমিনুল মনে করেন, এগুলো একটাও বানিয়ে মারা নয়, বাজে বলের সদ্ব্যবহার করেছেন লিটন।
“আমার মনে হয়েছে, খারাপ বল ছাড়া অন্য কোনো বলে ও চড়াও হয়নি। যে বলগুলো স্কোর করার মতো, সেগুলো কাজে না লাগাতে পারলে রান হবে না। আমার মনে হয়, দীর্ঘ একটা সময় অপেক্ষা করতে করতে যখন খারাপ বল বেশি পরিমানে পেয়েছে তখন চড়াও হয়েছে।”